কলকাতা: সদ্য এটিকে মোহন বাগান (Atk Mohun Bagan) শিবিরে যোগ দিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার তারকা ডিফেন্ডার ব্রেন্ডান হ্যামিল (Brendan Hamill)। আর দলে যোগ দিয়েই নিজের লক্ষ্য স্থির করে ফেলেছেন তিনি। ভারতের প্রথম দল হিসেবে এটিকে মোহনবাগান এএফসি কাপে চ্যাম্পিয়ন হয়ে ইতিহাস গড়তে পারে বলেই ধারণা এই সেন্টার ব্যাকের (Center Back)। এটিকে মোহন বাগানের সঙ্গে লাইভ চ্যাটে কী কী বললেন হ্যামিল, তা তুলে ধরা হল -
নিজের লক্ষ্য হ্যামিলের
ওয়েস্টার্ন সিডনি ওয়ান্ডারার্সের সঙ্গে ২০১৪-র এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জেতার অভিজ্ঞতা রয়েছে হ্যামিলের। তাই তিনি জানেন কতটা পরিশ্রম করলে বা কত ভাল ফুটবল খেললে এই পর্যায়ের টুর্নামেন্টে সেরার শিরোপা অর্জন করা যায়। তাঁর সেই অভিজ্ঞতা থেকে তিনি বলেন, 'আমাদের এ বার বোধহয় কাজে লেগে পড়তে হবে। যে কোনও সাফল্যের চাবিকাঠি হল কঠোর পরিশ্রম। চ্যাম্পিয়ন্স লিগের মতো টুর্নামেন্টে সেরা হতে গেলে কী লাগে, সে ধারণা আমার আছে। এর নীলনকশা আমার জানা আছে।'' তিনি আরও বলেন, ''তবে আসল খেলাটা ৯০ মিনিটে হয় এগারো বনাম এগারোর মধ্যে। আমরা যদি কঠোর পরিশ্রম করি। সঠিক ভাবে এগোই এবং একসঙ্গে কাজ করতে পারি, তা হলে এএফসি কাপে সফল হতেই পারি''।
প্রসঙ্গ আইএসএল
আইএসএলে খেলা প্রসঙ্গে হ্যামিল বলেন, ''আর তর সইছে না। এখন পর্যন্ত আমার যা অভিজ্ঞতা হয়েছে, তাতে বলতে পারি ক্লাবের সমর্থকেরা প্রচণ্ড আবেগপ্রবণ। আমার সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডল ওঁদের পাঠানো মেসেজের সমুদ্রে উপছে পড়ছে। ওঁদের আবেগ উপলব্ধি করতে পারছি। ওঁদের সামনে খেলতে নামার তর সইছে না আমার। সোশ্যাল মিডিয়াতেই এত ভালবাসা পাচ্ছি, মাঠে নেমে গোল করলে, ম্যাচ জিতলে কী হবে, ভাবতে পারছি না।''
গত দু’বারই লিগ শিল্ড ও চ্যাম্পিয়নের খেতাবের কাছ থেকে ফিরে যাওয়ার পরে এ বারের হিরো আইএসএল এটিকে মোহনবাগানের কাছে একটা বড় চ্যালেঞ্জ। গত দু’বারই গোয়ায় এই লিগ হওয়ায় বাংলার সমর্থকেরা তাদের প্রিয় দলের খেলা মাঠে এসে দেখতে পারেননি। এ বার সেই সুযোগ হয়তো পাবে তারা। সমর্থকদের সামনে সবুজ-মেরুন শিবিরের চ্যালেঞ্জটা আরও কঠিন হয়ে উঠতে পারে।
রক্ষণ সামলানোর জন্য অস্ট্রেলিয়ান লিগের এই তারকা ফুটবলারকে এ বার হিরো আইএসএলে খেলতে দেখা যাবে সবুজ-মেরুন জার্সি গায়ে। আসন্ন এএফসি কাপ নক আউট পর্বের জন্য এশীয় কোটার একজন ফুটবলারের সন্ধানে ছিলেন এটিকে মোহনবাগানের স্প্যানিশ কোচ হুয়ান ফেরান্দো। সে জন্যই দলের চতুর্থ বিদেশি হিসেবে হ্যামিলকে নিয়ে আসা হয়েছে। এখন দেখার ভারতে কতটা সফল হন হ্যামিল।