মীরপুর: ঘরের মাঠে আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে একমাত্র টেস্টে খেলতে নেমেছিল বাংলাদেশ। আর ম্যাচের চতুর্থ দিনেই বিশাল জয় ছিনিয়ে নিল লিটন দাসের দল। ৫৪৬ রানে আফগান বাহিনীকে হারিয়ে একুশ শতকের সবচেয়ে বড় জয় ছিনিয়ে নিল টাইগার বাহিনী। টেস্ট খেলিয়ে দেশগুলোর মধ্যে তৃতীয় সবচেয়ে বড় ব্যবধানে জয় ছিল এটি। কোনও এশিয়ার দলেরও এটি সবচেয়ে বড় ব্যবধানে জয়। এই তালিকায় সবার ওপরে রয়েছে ইংল্যান্ড। ১৯২৮ সালে অস্ট্রেলিয়া বিরুদ্ধে ৬৭৫ রানে জয় ছিনিয়ে নিয়েছিল ইংল্যান্ড এক ম্যাচে। দ্বিতীয় ম্যাচটিও কাকতালীয়ভাবে এই ২ প্রতিপক্ষ ছিল আমনে সামনে। তবে এবার অস্ট্রেলিয়া ইংল্যান্ডকে ১৯৩৪ সালে টেস্টে ৫৬২ রানে হারিয়ে দিয়েছিল। 


আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে একমাত্র টেস্টে প্রথম থেকেই দাপট দেখাচ্ছিল বাংলাদেশ। প্রথম ইনিংসে ৩৮২ রান তুলেছিল বাংলাদেশ। জবাবে আফগানিস্তানের প্রথম ইনিংস মাত্র ১৪৬ রানে শেষ হয়ে যায়। দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে ৪২৫/৪ স্কোরে ডিক্লেয়ার দেয় বাংলাদেশ। জবাবে দ্বিতীয় ইনিংসেও চাপে আফগানিস্তান। ৪৫ রানে ২ উইকেট হারিয়েছেন আফগানরা। ম্যাচ জিততে ৬১৭ রান দরকার ছিল আফগানিস্তানের এদিনের খেলার শুরুতে। যা কার্যত অসম্ভব ছিল। অলৌকিক কিছু হলে তবেই এই ম্যাচে অন্য কোনও ফল সম্ভব, এমনই মনে হয়েছিল। কিন্তু তা হল না। ১১৫ রানেই দ্বিতীয় ইনিংস শেষ হয়ে যায় আফগানদের। তাদের হয়ে সর্বোচ্চ ৩০ রান করে রহমন শাহ। বাংলাদেশের বোলারদের মধ্যে তাসকিন আহমেদ এই ইনিংসে ৪ উইকেট নেন। ৩ উইকেট নেন শরিফুল ইসলাম। ১টি করে উইকেট নেন এবাদত হোসেন ও মেহেদি হাসান মিরাজ।                    


এর আগে, আফগানিস্তানের অধিনায়ক হাশমাতুল্লাহ শাহিদি টস জিতে মীরপুরের শের ই বাংলা ন্যাশানল স্টেডিয়ামে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর দ্বিতীয় ওভারেই ব্যাট করতে নামতে হয়েছিল তাঁকে (Ban vs Ire)। প্রথম ইনিংসে ১৭৫ বলে ২৩টি চার ও ২টি ছক্কা মেরে ১৪৬ রান করেছিলেন নাজমুল হোসেন শান্ত (Najmul Hossain Shanto)। টেস্টের আঙিনায় আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ স্কোর। জিম্বাবোয়ের সিন উইলিয়ামস ২ বছর আগে ১৫১ রান করেছিলেন। সেটিই ছিল আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ টেস্ট ইনিংস। সেই রেকর্ড ভেঙে দেন বাংলাদেশের ব্যাটার। দ্বিতীয় ইনিংসে ১৫১ বলে ১২৪। ফের ব্যাট হাতে নায়ক শান্ত। ম্যাচে মোট ২৭০ রান করেন শান্ত। বাংলাদেশের হয়ে এক টেস্টে সবচেয়ে বেশি রান করার নজির রয়েছে মোমিনুল হকের। ২৮১ রান করেছিলেন মোমিনুল। দ্বিতীয় স্থানে শান্ত। গোটা ম্যাচে শান্ত মেরেছেন ৩৮টি বাউন্ডারি।