ফিল্ডিং কোচ অভয় শর্মা, বোলিং কোচ পরশ মামরে সহ সাপোর্ট স্টাফরাও পাবেন ২০ লক্ষ টাকা করে।
এতদিন প্রতিষ্ঠিত রীতি অনুসারে যাঁরা ২২ গজে যুদ্ধ করে খেতাব জয় করেছেন, সেই ক্রিকেটারদেরই আর্থিক পুরস্কারের সিংহভাগ দেওয়া হত। এবার ব্যতিক্রম। বিসিসিআই প্রধান কোচকেই বেশি অর্থ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল।
বিসিসিআইয়ের নীতি নির্ধারণ টিমের এক সদস্য বলেন, ভারতে গুরু-শিষ্য পরম্পরার ধারা আছে। সেখানে গুরুই সবসময় বেশি সম্মান পান। নিঃসন্দেহে কোচের পদমর্যাদা বেশি গুরুত্ব পায়।
যদিও এটা মনে রাখতে হবে, ২০০৮ সালের ভারতীয় টিমের কোচ ডেভ হোয়াটমোর, ২০১২ সালের টিমের কোচ ভরত অরুণদের কেউই কিন্তু বিরাট কোহলি বা উন্মুক্ত চাঁদের নেতৃত্বাধীন টিমের ছেলেদের চেয়ে বেশি পাননি।
অস্ট্রেলিয়া বধ করা টিমকে অভিনন্দন জানিয়ে বিসিসিআইয়ের প্রশাসক কমিটির প্রধান বিনোদ রাই বলেন, দেশকে গর্বিত করেছে, অনূর্ধ্ব-১৯ দলকে আমার অভিনন্দন। প্রধান কোচ রাহুল দ্রাবিড় নিজে ভালবেসে, আন্তরিকতার সঙ্গে ক্রিকেট খেলেছেন। দেখে ভাল লাগছে যে, ছেলেরা সেই মূল্যবোধ ধরে রেখেছে। বিসিসিআইয়ের অস্থায়ী সভাপতি সি কে খন্না বলেছেন, ছেলেরা বিরাট পরিণত মানসিকতা দেখাল। প্রথম ম্যাচ থেকেই দাপটের সঙ্গে খেলেছে। সবসময় ওদের চ্যাম্পিয়ন বলেই মনে হয়েছে। ছেলেদের, রাহুলকেও আমার অন্তরের গভীর থেকে বাহবা দিচ্ছি। রাহুল এই দলের স্তম্ভের মতো।
বেঙ্কটেশ প্রসাদের নেতৃত্বাধীন অনূর্ধ্ব-১৯ টিমের সিলেকশন কমিটিও যাতে আর্থিক পুরস্কার পায়, তিনি সেজন্য সুপারিশ করবে বলে জানান খন্না।