ব্রিসবেন: অস্ট্রেলীয় বোলারদের বল তাঁর শরীরে আঘাত করেছে। মিচেল স্টার্ক-প্যাট কামিন্সদের বাউন্সার আছড়ে পড়েছে কখনও হেলমেটে, কখনও কনুইয়ে। কিন্তু তিনি লড়াই ছাড়েননি। গাব্বায় ভারতের জয়ের ভিত তৈরি করে দিয়েছিলেন চেতেশ্বর পূজারা। এবার তাঁর সেই নাছোড় মনোভাবের প্রশংসা করলেন বিষাণ সিংহ বেদী-কীর্তি আজাদরা।


গাব্বায় চেতেশ্বর পূজারা অর্ধশতরান করেছেন। নিজের কেরিয়ারের সবচেয়ে মন্থর অর্ধশতরান। কিন্তু সুনীল গাওস্করের মতো কিংবদন্তি মনে করেন, ওই সময়টা চেতেশ্বর যদি রুখে না দাঁড়াতেন, তাহলে কিন্তু টিম ইন্ডিয়ার জয় পাওয়া মুশকিল ছিল। গাওস্কর বলেন,"পূজারার কথা ভুলে যাবেন না। আমি নিশ্চিত মাঝের সময়টা ও যদি খেলাটা না ধরত তাহলে ভারতের জয় পাওয়াটা সহজ হত না। স্টার্ক, কামিন্স, হ্যাজেলউড টানা ওর শরীর লক্ষ্য করে বল করে গিয়েছে। হেলমেটে লেগেছে, গ্লাভসে লেগেছে, পাঁজরে লেগেছে। কিন্তু লড়াই ছাড়েনি। অসাধারণ সংকল্প দেখিয়েছে। নতুন বল নেওয়ার আগে পর্যন্ত ভারতের জয়ের রাস্তা নিশ্চিত করেছিল চেতেশ্বর।"

শুধু সানি নন, অজয় জাডেজা থেকে শুরু করে গ্লেন ম্যাকগ্রা, শেন ওয়ার্ন প্রত্যেকেই পূজারার প্রশংসা করেছেন। দেশের স্বার্থে, দলের স্বার্থে সবচেয়ে কঠিন স্পেল তিনি সামলেছেন। শরীরে অসংখ্য আঘাত নিয়েও মাটি কামড়ে পড়েছিলেন। তাঁর শরীরে একের পর এক আঘাত করে গতি কমেছে অস্ট্রেলিয়ান পেসারদের। সহজ হয়েছে বাকিদের কাজ। যে ইনিংস দেখার পর অনেকে পূজারার সঙ্গে রাহুল দ্রাবিড়ের তুলনা শুরু করেছেন।



পূজারার প্রশংসা করে একটি ছবি ট্যুইট করেন প্রাক্তন ক্রিকেটার কীর্তি আজাদ। সেই ছবিতে দেখা যাচ্ছে, বল করছেন অস্ট্রেলিয়ার স্পিনার নাথান লায়ন। ঘিরে ধরেছেন ফিল্ডাররা। আর ব্যাট করছে একটি পাহাড়। মজার ছবিটি পোস্ট করে আজাদ লেখেন, 'আরে ওটা কোনও পাহাড় নয়, আমাদের পূজারা।' সেই ছবিটি রিট্যুইট করেন কিংবদন্তি স্পিনার বেদী। সেটি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়। অনেকেই মন্তব্য করেন, পূজারার প্রতিরোধ ছাড়া গাব্বায় ইতিহাস তৈরি সম্ভব হতো না ভারতীয় দলের।