কোরিন্থিয়ান্স: রবিবার বিশ্ব ফুটবলের মহারণ। কোপা আমেরিকা ফাইনালের পর ফের মুখোমুখি ব্রাজিল-আর্জেন্তিনা। এবার বিশ্বকাপের যোগ্যতা অর্জনকারী পর্বে সাক্ষাৎ হচ্ছে দুই দেশের। পারবেন কি নেমার দ্য সিলভা স্যান্টোস জুনিয়ররা লিওনেল মেসিদের হারিয়ে প্রতিশোধ নিতে?


দুই দেশের মুখোমুুখি সাক্ষাতের ইতিহাস বলছে, সামান্য এগিয়ে ব্রাজিল। দুই দেশ এখনও পর্যন্ত ১১২ বার একে অপরের মুখোমুখি হয়েছে। ৪৬ ম্যাচে জিতেছে ব্রাজিল। ৪১ ম্যাচে জিতেছে আর্জেন্তিনা।


কোপা আমেরিকায় মাত্র মাস দু'য়েক আগেই মারাকানায় ব্রাজিলের স্বপ্নভঙ্গ ঘটিয়ে দেশের জার্সিতে প্রথম আন্তর্জাতিক খেতাব জিতেছিলেন লিওনেল মেসি। তারপর অল্প সময়েই ফুটবলবিশ্বে অনেক বদল ঘটে গিয়েছে। বার্সেলোনা ছেড়ে প্যারিস সাঁ জারমাঁতে (পিএসজি) যোগ দিয়েছেন মেসি। পিএসজি-তে নেমার আবার তাঁরই সতীর্থ।


তবে জাতীয় দলের হয়ে সোমবার মধ্যরাতে (ভারতীয় সময় অনুযায়ী) বিশ্বকাপের যোগ্যতা অর্জন পর্বের ম্যাচে মেসি-নেমার একে অন্যের বিরুদ্ধে মাঠে নামবেন। চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী আর্জেন্তিনার বিরুদ্ধে কোপা আমেরিকায় ফাইনালে হারের প্রতিশোধ নিতে নিঃসন্দেহে মুখিয়ে থাকবেন নেমাররা। পাশপাশি দুই লাতিন আমেরিকার ফুটবল মহাতারকা, মেসি-নেমারের দ্বৈরথের দিকেও চোখ থাকবে গোটা ফুটবল বিশ্বের।


কোপা আমেরিকার পর সদ্যই গত সপ্তাহে পিএসজির হয়ে নিজেদের প্রথম ম্যাচ খেলেছেন মেসি ও নেমার দুইজনেই। চলতি মাসের বিশ্বকাপ যোগ্যতা অর্জন পর্বের প্রথম ম্যাচে দুই মহাতারকাই মাঠে নেমেছেন। তবে লাতিন আমেরিকার দুই শক্তিধর দেশের মহারণের আগে মেসি ভুগছেন চোট সমস্যায়, তো নেমারের ম্যাচ ফিটনেস নিয়ে রয়েছে সংশয়। চিলির বিরুদ্ধে ব্রাজিল জিতলেও নেমারের ফিটনেস নিয়ে অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন।


ব্রাজিলের বিরুদ্ধে ম্যাচের আগে সতর্ক স্কালোনি বলেছেন, “অতীত নিয়ে আমার কোনও আগ্রহ নেই। ভাবতেও চাই না। কারণ, ব্রাজিলের বিরুদ্ধে খেলা সব সময়ই কঠিন।” অন্য়দিকে ব্রাজিলের কোচ তিতে বলেছেন, “এই মুহূর্তে দলে যারা রয়েছে, তারা এর আগে কখনও একসঙ্গে খেলেনি। এই কারণেই বোঝাপড়ার অভাব ছিল। প্রথম একাদশ গড়াটাই এখন আমার কাছে সব চেয়ে কঠিন পরীক্ষা।”