বার্মিংহাম: শুক্রবার (৫ অগাস্ট) গভীর রাতে ভারতের হয়ে ষষ্ঠ স্বর্ণপদকটি জিতে নিয়েছেন প্যারা ভারোত্তোলক সুধীর। লং জাম্পে মুরলি শ্রীশঙ্করের ঝুলিতে এসেছে রুপো। গতবারের কমনওয়েলথ গেমসে তৃতীয় স্থানে শেষ করেছিল ভারত। চলতি গেমসে সপ্তম দিনের শেষে স্থানে কোন রয়েছে ভারতীয় দল?
সপ্তম স্থানে ভারত
বার্মিংহামে চলতি কমনওয়েলথ গেমসে আপাতত পদক তালিকায় সপ্তম স্থানে রয়েছে ভারতীয় দল। ইতিমধ্য়েই ছয়টি সোনা, সাতটি রুপো এবং সমসংখ্যক ব্রোঞ্জ মিলিয়ে মোট ২০টি পদক জিতে নিয়েছেন ভারতীয় অ্যাথলিটরা। তবে গতবার গোল্ড কোস্টে তৃতীয় স্থানে শেষ করলেও, গেমসের প্রথম সপ্তাহ শেষে অনেকটাই পিছিয়ে রয়েছে ভারত।
ভারতের ঠিক আগেই রয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। প্রোটিয়ারা ভারতের থেকে একটি বেশি, সাতটি স্বর্ণপদক (মোট ২১টি পদক) জিতে আপাতত ছয় নম্বরে রয়েছে। ভারতের থেকে একটি স্বর্ণপদক বেশি জিতে পঞ্চম স্থানে রয়েছে স্কটল্যান্ড। তবে তাদের মোট পদকসংখ্যা (৩৩) ভারতের থেকে অনেকটাই বেশি। প্রথম দুই স্থানে যথাক্রমে অস্ট্রেলিয়া ও ইংল্যান্ডের দাপট। তারা যথাক্রমে ৫০টি (মোট ১৩০) ও ৪২টি (মোট ১১৫) স্বর্ণপদক জিতে ইতিমধ্যেই ভারতের অন্তত নাগালের বাইরে চলে গিয়েছে। কানাডা ও নিউজিল্যান্ড যথাক্রমে পদক তালিকায় তৃতীয় ও চতুর্থ স্থানে রয়েছে। তবে আসন্ন দিনে ভারতের পদক তালিকায় বেশ কিছুটা এগোতে পারে।
সুধীরের সোনা
ভারোত্তোলন ইতিহাস গড়ার কাজ অব্যাহত। ভারতকে চলতি কমনওয়েলথ গেমসে ষষ্ঠ সোনা এনে দিলেন প্যারা ভারোত্তোলক সুধীর (Sudhir)। সুধীর শুধু কমনওয়েলথ গেমসের ইতিহাসে প্যারা ভারোত্তোলনে ভারতের প্রথম পদকই জিতলেন না, জিতলেন গেমসের সর্বকালীন রেকর্ড গড়ে। ভারোত্তোলনের হেভিওয়েট বিভাগে সুধীর ২১২ কেজি ভারোত্তোলন করে ১৩৪.৫ পয়েন্ট সংগ্রহ করেন। ফলে কমনওয়েলথ গেমসে তৈরি হয় নতুন রেকর্ড। এর জেরেই চলতি গেমসে ভারতকে ষষ্ঠ সোনা এনে দেন তিনি
সুপার ফোর
বক্সিংয়ে ভারতের চার তারকা, অভিজ্ঞ অমিত পাংহাল, রোহিত টোকাসের, পাশাপাশি তরুণ সাগর আহলওয়াত, জেসমিন লাম্বোরিয়াও নিজেদের পদক সুনিশ্চিত করে ফেলেছেন। এখন অপেক্ষা সেই পদকের রঙ জানার। সদ্য ২৯-এ পা দেওয়া ভারতীয় বক্সার রোহিত, ৫-০ হারান নিউয়ি-এর জাভিয়ের মাটটা'আফা-ইকিনোফোকে। নিউজিল্য়ান্ডের প্রতিপক্ষ ট্রয় গার্টনের বিরুদ্ধে ৪-১ ব্যবধানে জয় ছিনিয়ে নিলেন জেসমিন। পুরুষদের ৫১ কেজির কোয়ার্টার ফাইনালে স্কটল্যান্ডের লেনন মুলিগানের মুখোমুখি হয়েছিলেন অমিত। সেখানে ৫-০ ব্যবধানে জয় পেয়ে সেমিতে উঠে গেলেন তিনি। সাগর কেডি এভান্সকে ৫-০ হারিয়ে দেন।
সেরা লাফিয়েও দ্বিতীয়
লং জাম্প ফাইনালে নিজের সর্বকালের সেরা ৮.০৮ মিটার লাফ দিয়ে রুপো জেতেন মুরলি শ্রীশঙ্কর (Muralli Sreeshankar)। মুরলির ৮.০৮ মিটার লাফই ছিল সর্বোচ্চ, তাও তিনি রুপো পেলেন কেন? কারণ বাহামাসের লাকুয়ান নায়ারনও একই দূরত্ব অতিক্রম করেন। তবে দুই জাম্পারের দূরত্ব সমান হওয়ার ফলে পদকের রঙ তাদের দ্বিতীয় সেরা প্রয়াস অনুযায়ীই নির্ধারিত হয়। মুরলির দ্বিতীয় সেরা জাম্প যেখানে ৭.৮৪ মিটার ছিল, সেখানে বাহামাসের লং জাম্পার নিজের দ্বিতীয় সেরা প্রয়াসে ৭.৯৮ মিটার অতিক্রম করেন।
আরও পড়ুন: ইডেনে একদিনের শিবির নাইটদের, থাকছে বাংলার মহিলা ক্রিকেট দল