কাবুল: টেস্ট ক্রিকেট থেকে বিরতি নিচ্ছেন রশিদ খান (Rashid Khan)। আফগানিস্তানের (Afganistan Cricket) তারকা ক্রিকেটার দীর্ঘদিন ধরে পিঠের চােটের সমস্যায় ভুগছেন। তার জন্য়ই নাকি এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কিন্তু রশিদ (Rashid Khan) কি পুরোপুরি টেস্ট ক্রিকেট থেকে অবসর নিচ্ছেন। তা এখনও জানা না গেলেও, সূত্রের খবর, আপাতত আসন্ন কয়েকটি টেস্ট থেকে নিজেকে সরিয়ে নিয়েছেন আফগান তারকা। তাঁর পিঠ এবং কোমরের দিকে মাংস পেশিতে চোট রয়েছে জানা যাচ্ছে। শোনা যাচ্ছে রশিদের অস্ত্রোপচার হতে পারে। তার জন্যই আপাতত টেস্ট ক্রিকেট থেকে বিরতি নিয়েছেন রশিদ। হয়ত এই বছরে কোনও টেস্টেই আফগানিস্তানের জার্সিতে দেখা যাবে না রশিদকে।


আফগানিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের তরফে এই বিষয়ে নিশ্চিত করা হয়েছে। আগামী ৯ সেপ্টেম্বর থেকে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে গ্রেটার নয়ডায় নিজেদের 'হোম' টেস্ট ম্য়াচ খেলবে আফগানিস্তান। রশিদ না থাকায় সেই ম্য়াচে আফগান শিবিরকে নেতৃত্ব দেবেন হসমতউল্লাহ শাহিদি। ২০১৬ সালের পর থেকেই আফগানিস্তান ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় তারকা রশিদ খান। টেস্টে ৫ ম্য়াচে খেলে ৩৪ উইকেট নিয়েছেন এখনও পর্যন্ত। তিনিই লাল বলের ফর্ম্যাটে আফগানিস্তানের সর্বাধিক উইকেট শিকারি। লোয়ার অর্ডারে ব্যাটের হাতও দুর্দান্ত রশিদের। লেগস্পিনার হিসেবে রশিদের সামনে যে বিশ্বের বড় বড় ব্যাটাররাও কুপোকাত হয়ে যান। এই পরিস্থিতিতে তাঁর অনুপস্থিতিতে টেস্টে যে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে কিছুটা চাপেই থাকবে আফগান শিবির তা বলাই বাহুল্য। ব্যাট হাতেও অর্ধশতরানের ইনিংস খেলেছেন রশিদ। 


উল্লেখ্য, রশিদ খানের হাত ধরেই গত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে চমক দেখিয়েছিল আফগানিস্তান। সেমিতে প্রোটিয়দের বিরুদ্ধে হেরে যেতে হয় আফগানদের। ম্য়াচের পর রশিদ বলছিলেন,  ''আমাদের জন্য একটা কঠিন সময়, কঠিন রান ছিল। আমরা আরও ভাল কিছু করতেই পারতাম। কিন্তু এটাই টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের মজা। মানসিকভাবে যে কোনও পরিস্থিতির জন্য তৈরি থাকতে হয় এই ফর্ম্য়াটে। ওঁদের বোলিং অসাধারণ হয়েছে। এককথায় দুর্দান্ত। আমরা একেবারেই ভাল ব্যাটিং করতে পারিনি।'' গত কয়েক বছরে আমূল পরিবর্তন হয়েছে আফগান দলের। ধাপে ধাপে উন্নতি করেছে তারা। এই প্রথম আইসিসি ইভেন্টের সেমিও খেলে ফেললেন নবিরা। তবে রশিদ আর পেছনে ফিরে তাকাতে রাজি নন। তিনি বলছেন, ''এটা সবে শুরু, আমাদের মধ্যে বিশ্বাস জন্মেছে যে আমরা যে কোনও দলকে হারানোর ক্ষমতা রাখি। শুধু এখন সঠিকভাবে এগোতে হবে আমাদের।