মেলবোর্ন: দেওয়ালে পিঠ ঠেকে যাওয়ার পরেও যারা লড়াই করতে জানে, তাঁরাই সেরাদের তালিকায় নিজেদের নাম লেখায়। ডেভিড ওয়ার্নার (David Warner) কোনওদিনও মাঠ হোক বা মাঠের বাইরে, লড়াই থেকে পিছিয়ে আসেননি। মঙ্গলবার গোটা ক্রিকেটবিশ্ব আরও একবার ওয়ার্নারের লড়াকু মানসিকতার সাক্ষী থাকল। প্রচন্ড গরম, পেশির টান সব কিছুকে উপেক্ষা করে এক অবিস্মরণীয় দ্বিশতরানে সমালোচকদের যোগ্য জবাব দিলেন ওয়ার্নার।
যোগ্য জবাব
বিগত তিন বছরে টেস্ট ক্রিকেটে ওয়ার্নার একটিও শতরান হাঁকাতে পারেননি। তাঁর ফর্ম নিয়ে সমালোচনা চলছিলই। কিন্তু সমালোচকদের জবাব দিতে নিজের শততম টেস্ট ম্যাচকেই বেছে নিলেন ওয়ার্নার। দক্ষিণ আফ্রিকার (Australia vs South Africa) কাগিসো রাবাডা, এনরিখ নোখিয়ার আগুনে গতি সামলে দুরন্ত দ্বিশতরানে তাঁর 'বন্ধু' জো রুটের পাশে এক অনবদ্য তালিকায় জায়গা করে নিলেন ওয়ার্নার। রুটের পর মাত্র দ্বিতীয় ব্যাটার হিসাবে নিজের শততম টেস্টে দ্বিশতরান হাঁকালেন ওয়ার্নার। পাশাপাশি অস্ট্রেলিয়াকে ম্যাচে চালকের আসনেও বসিয়ে দিলেন।
পেশির টান
ওয়ার্নার ব্যক্তিগত ৩২ রানে দ্বিতীয় দিনের শুরুটা করেছিলেন। শুরু থেকেই দুরন্ত ছন্দে দেখায় ওয়ার্নারকে। প্রোটিয়াদের একাধিক চার মেরে নিজের রানের গতি বাড়ান তিনি। ওয়ার্নারের সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝির পর মার্নাস ল্যাবুশেন নিজের উইকেট হারালেও, অজি ওপেনার কিন্তু নিজের একাগ্রতা হারাননি। স্টিভ স্মিথকে সঙ্গে নিয়ে পার্টনারশিপে ২৩৯ রান যোগ করেন ওয়ার্নার। রাবাডের বিরুদ্ধে চার মেরে নিজের শতরান পূর্ণ করেন ওয়ার্নার। আর চার মেরেই তিনি দ্বিশতরানও পূর্ণ করেন। তবে দ্বিশতরানের পরেই তাঁর শরীর আর তাঁর সঙ্গ দেয়নি। প্রচন্ডে তাপে দীর্ঘক্ষণ ব্যাট করার ফলে পেশির টানে জর্জরিত হন ওয়ার্নার। শেষমেশ একাধিক অস্ট্রেলিয়ান সাপোর্ট স্টাফরা তাঁকে মাঠ থেকে সাজঘরে নিয়ে যান।
এটি ওয়ার্নারের কেরিয়ারের ২৫তম টেস্ট শতরান ছিল। বিশ্বক্রিকেটে মাত্র সাতজন ব্যাটারই ওয়ার্নারের থেকে অধিক টেস্ট শতরান করেছেন। প্রসঙ্গত, এই ইনিংসেই তিনি আট হাজার টেস্ট রানের গণ্ডি পার করে অস্ট্রেলিয়ার সপ্তম সর্বোচ্চ টেস্ট রানসংগ্রাহক হয়ে যান। ওয়ার্নার শতরান হাঁকালেও স্মিথকে ৮৫ রানেই সাজঘরে ফিরতে হয়। দিনের শেষে অস্ট্রেলিয়ার স্কোর তিন উইকেটের বিনিময়ে ৩৮৬ রান। দক্ষিণ আফ্রিকার থেকে ১৯৭ রানে এগিয়ে অজিরা।
আরও পড়ুন: চোট সারিয়ে মাঠে ফেরার পথ চলা শুরু, অনুশীলনে নেমে পড়লেন রোহিত