করাচি: পুরোপুরি টালমাটাল পরিস্থিতি। একে পাকিস্তান ক্রিকেট দলের (Pakistan Cricket Team) খারাপ সময় কাটছেই না। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে (T20 World Cup 2024) জঘন্য পারফরম্য়ান্স। গ্রুপ পর্ব থেকে বিদায় নেওয়া। প্লেয়ারদের পারফরম্য়ান্স নিয়েও কাটাছেঁড়া চলছে। পাকিস্তানের অধিনায়ক হিসেবে বাবর আজমকেও সমালোচনার শীর্ষে রাখা হয়েছে। কিন্তু এরমধ্যেই খবর বাবর নাকি আদালতের দ্বারস্ত হতে চলেছেন। প্রাক্তন ক্রিকেটার থেকে শুরু করে ক্রিকেট বিশেষজ্ঞরা তুমুল সমালোচনা করেছিলেন বাবরের। এবার তাঁদের বিরুদ্ধেই নাকি আদালতে যেতে চলেছেন ডানহাতি ব্যাটার। প্রাক্তন ক্রিকেটারদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি যিনি বাবরের ওপর সুর চড়িয়েছেন তাঁদের মধ্যে অন্যতম প্রাক্তন ক্রিকেটার আহমেদ শেহজাদ। এছাড়াও পারকিস্তানের অনেক ইউটিউব চ্যানেলেও সমালোচনা করা হয়েছিল বাবর ও তার দলের। সেই সবকিছুর বিরুদ্ধেই এবার আদালতে যেতে চলেছেন বাবর আজম।
অধিনায়ক হিসেবে মাঠে তাঁর বিভিন্ন সিদ্ধান্ত নিয়ে তো প্রশ্ন উঠেইছে। এমনকী ব্যাট হাতেও ব্যর্থ হতে হয়েছিল বাবরকে। মোট ১২০ বলে বাবর আজম করেছেন ১২২ রান। কানাডার বিরুদ্ধে ৩৩ বলে ৩৩ রানের ইনিংস খেলেছিলেন ও আয়ারল্যান্ডের বিরুদ্ধে ৩৪ বলে ৩২ রান করেন। ভারতের বিরুদ্ধেও ১০ বলে মাত্র ১৩ রান করে প্যাভিলিয়নে ফেরেন পাক অধিনায়ক। এরপরই আলোচনা শুরু হয়ে গিয়েছে যে আদৌ কি বাবর যোগ্য অধিনায়ক হিসেবে দলের সঙ্গে গিয়েছিলেন। যুক্তরাষ্ট্র থেকে এখনও নাকি ফেরেননি বাবররা। তাঁর সঙ্গে রয়েছেন আরও কয়েকজন পাক ক্রিকেটার।
উল্লেখ্য, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্য়াচে সুপার ওভারে যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে হেরে সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছিল পাক শিবিরকে। আগুনে ঘি ঢেলে দিয়েছে ভারতের বিরুদ্ধে হার। সেই ম্য়াচে অল্প রান তাড়া করতে নেমেও হারতে হয়েছে। বিশেষ করে লোয়ার অর্ডার একেবারে দায়িত্ব সামলাতে পারেনি। বেশ কয়েকজন ব্যাটারের দায়িত্ববোধ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। রিজওয়ানের মত সিনিয়র ক্রিকেটারের ক্রিজে টিকে থেকেও স্ট্রাইক রেট খারাপ হওয়ায় তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। তাই আগামী বাংদেশ সিরিজেও হয়ত অনেক সিনিয়র ক্রিকেটারদের বাদ দেওয়ার ভাবনা চিন্তা করছে পিসিবি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক সূত্র জানিয়েছে,
''পাকিস্তানের ক্রিকেট দলের অন্দরমহলে একটা বড় আলোচনা চলছে। সামনেই বাংলাদেশের বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজ। সেই ম্য়াচে বাবর, রিজওয়ান, শাহিনের মত সিনিয়রদের বিশ্রাম দেওয়া হতে পারে।'' যদিও সেই সূত্র আরও বলেন, ''এখনও পর্যন্ত অফিশিয়ালি কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। কারণ শেষ পর্যন্ত মাসুদ ও গিলেসপিই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন। আগামী কয়েক সপ্তাহে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডেও কিছু বদল দেখা যেতে পারে। নির্বাচক কমিটিতেও বদল আসতে পারে।''