ঢাকা: বাংলাদেশের ক্রিকেটের ইতিহাসে এক উজ্জ্বল দিন ছিল ১১ নভেম্বর। কেন বলুন তো? আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে ওয়ান ডে সিরিজ হারলেও সেই সিরিজেই ২২ বছরের এক তরুণ পেসারের দাপট নজর কেড়েছে বিশ্বের। শারজা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে এক বিরল কীর্তি গড়েছেন তিনি। যা বাংলাদেশ ক্রিকেটে একদিন কেউ করেননি। কথা হচ্ছে নাহিদ রানাকে নিয়ে। তিনিই এই মুহূর্তে বাংলাদেশ ক্রিকেটের ইতিহাসে দ্রুততম বোলার। সেদিনই নিজের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক করেন নাহিদ। আর সেদিনই নজির গড়ে ফেললেন তরুণ পেসার।
টেস্ট ক্রিকেটে তাঁর পারফরম্য়ান্স প্রশংসা কুড়িয়েছিল। রোহিত শর্মা, বিরাট কোহলি, বাবর আজমের মত ব্যাটারদের চাপে ফেলেছিলেন গতিতে। এবার ওয়ান ডে ফর্ম্য়াটেও অভিষেকে জ্বলে উঠলেন। আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে তৃতীয় ওয়ান ডে ম্য়াচে নাহিদ রানা ঘণ্টায় ১৫০.৯ কিমি গতিতে বল করেছিলেন। যা বাংলাদেশ ক্রিকেটের ইতিহাসে করা কোনও বোলারের দ্রুততম গতির বল।
চলতি বছর ২৪ মার্চ আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেকের পর থেকে ৫টি টেস্ট এখনও পর্যন্ত খেলেছেন নাহিদ। ৪.১৯ ইকনমি রেটে মোট ১৪ উইকেট নিয়েছেন তিনি। নিজের অভিষেক ওয়ান ডে ম্য়াচে ২ উইকেট নিয়েছেন নাহিদ। এর আগে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ২০ ম্য়াচে ঝুলিতে রয়েছে তাঁর ৭৭ উইকেট। ১১টি লিস্ট এ ম্য়াচেও ২৮ উইকেট নিয়েছেন। উল্লেখ্য, এর আগে টেস্টে ১৫২ কিলোমিটার গতিতে বল করেছিলেন নাহিদ। সাদা পোশাকেই ১৪৯ কিমি/ঘণ্টা গতিতেও বল করেছিলেন একবার। বাংলাদেশের ক্রিকেট ইতিহাসে দ্রুততম বল করার তালিকায় এবাদত হোসেন রয়েছেন। ২০২৩ সালে ওয়ান ডে ম্য়াচে ১৪৯.৬ কিমি প্রতি ঘণ্টা গতিতে বল করেছিলেন তিনি। প্রাক্তন পেসার রুবেল হোসেন ২০০৯ সালে একটি টি-টোয়েন্টি ম্য়াচে ১৪৯.৫ কিমি/ঘণ্টা গতিতে বল করেছিলেন। ২০২১ সালে একটি টি-টোয়েন্টিতে তাসকিন আহমেদ ১৪৯.৩ কিমি/ঘণ্টা গতিতে বল করেন। অর্থাৎ এখনও পর্যন্ত সবার ওপরে নাহিদই। দেড়শো কিমি প্রতি ঘণ্টা গতিতে বল বাংলাদেশ ক্রিকেটের ইতিহাসে এর আগে কেউ করেননি।
ম্য়াচের আগে সেদিন মুস্তাফিজুর রহমানের হাত থেকে ওয়ান ডে ক্যাপ তুলে নেন নাহিদ। যদিও দলকে সিরিজ জেতাতে পারেননি তিনি।