নয়াদিল্লি: ক্রিকেটার শাকিব আল হাসান (Shakib Al Hasan) যে নিজের কেরিয়ারের একেবারে সায়াহ্নে পৌঁছে গিয়েছেন, তা সবাই জানেন। তবে এখনও সব ফর্ম্যাট থেকে অবসর ঘোষণা করেননি তিনি। কিন্তু সাম্প্রতিক ঘটনায় তাঁর কেরিয়ার নিয়েই প্রশ্নচিহ্ন উঠে গেল। গত সেপ্টেম্বরেই ইংল্যান্ডে শাকিবের বোলিং অ্যাকশন নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল। ইসিবি তাঁকে নির্বাসিত করেছিল। নির্বাসন তোলার জন্য দ্বিতীয়বারের পরীক্ষাতেও ব্যর্থ হলেন শাকিব।


কাউন্টি ক্রিকেটে রিপোর্ট হওয়ার পর লবরো ইউনিভার্সিটিতে পরীক্ষায় তিনি ব্যর্থ হয়েছিলেন। তারপরেই ইসিবি বোলার শাকিবকে নির্বাসিত করে। আইসিসির নিয়মবিধির ১১.৩ ধারা অনুয়ায়ী সেই কারণে তিনি আইসিসিসহ সমস্ত ক্রিকেট সংস্থার শীর্ষ স্তরের ক্রিকেটে বোলিং করা থেকে নির্বাসিত হন। অবৈধ বোলিং অ্যাকশনকে ঠিকঠাক করে বৈধ প্রমাণ না করা পর্যন্ত তাঁর বোলিং করা নিষিদ্ধই। সম্প্রতি যা রিপোর্ট, তাতে শাকিব নিজের দ্বিতীয় বোলিং টেস্টেও ব্যর্থ হয়েছেন।


চেন্নাইয়ে গত মাসে তাঁর বোলিং অ্যাকশনের স্বতন্ত্র পরীক্ষা হয়। সেখানেও তারকা বাঁ-হাতি বোলার ব্য়র্থ হয়েছেন। ফলত তাঁর বোলিংয়ের ওপর নিষেধাজ্ঞা অব্যাহতই থাকছে। গত বছর ব্রিটেনে নিজের প্রথম পরীক্ষায় ব্য়র্থ হয়েছিলেন বাংলাদেশি তারকা। এবার চেন্নাইয়ে দ্বিতীয় পরীক্ষাতেও ব্য়র্থ তিনি। তবে ক্রিকেটার শাকিবের ওপর কিন্তু কোনও নিষেধাজ্ঞা নেই। তিনি কেবল ব্যাটার হিসাবে খেলা চালিয়েই যেতে পারেন। শুধু বোলিংটা করতে পারবেন না তিনি।


তা সত্ত্বেও তারকা অলরাউন্ডারকে কিন্তু বাংলাদেশি নির্বাচকরা তাঁকে দলে রাখার প্রয়োজন মনে করেননি। জাতীয় দলে ব্রাত্য হওয়ার পর তাঁর ওয়ান ডে কেরিয়ার নিয়ে যে বিরাট প্রশ্নচিহ্ন উঠে গেল, তা বলাই বাহুল্য়। গত বছরে ভারতীয় সফরের পর থেকে তিনি আর জাতীয় দলের হয়ে খেলেননি। তিনি আদৌ আর সুযোগ পাবেন কি না, সেই নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। 


শাকিবের পাসাপাশি বাংলাদেশের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির দল থেকে লিটন দাসও বাদ পড়েছেন। সাম্প্রতিক সময়ে লিটন তেমন রান পাননি। ২০২৩ সালের বিশ্বকাপের পর থেকে ১৩টি ইনিংসে একটি অর্ধশতরানও হাঁকাতে পারেননি লিটন। শেষ সাত ইনিংসের মধ্য়ে ছয়বার তো তিনি দুই অঙ্কের রান অবধি করতে পারেননি। তাই লিটনের বাদ হওয়া খুব একটা আশ্চর্যজনক নয় বলেই মনে করছেন অনেকে। 


আরও পড়ুন: ভেঙে গেল সব রেকর্ড, কোহলি, সচিনদেরও অধরা ইতিহাস গড়লেন মুম্বইয়ের তরুণী ইরা যাদব