সুরাট: মহিলাদের টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টের কোয়ার্টারফাইনালে জায়গা করে নিল বাংলা সিনিয়র দল। নাগাল্যান্ডের বিরুদ্ধে ১১৫ রানে জয় ছিনিয়ে নিল তারা। সুরাটে আয়োজিত ম্যাচে জয় ছিনিয়ে নিল বাংলা মহিলা ক্রিকেট দল। প্রবাল দত্তর কোচিংয়ে বাংলা দল খেলছে টুর্নামেন্ট। কোয়ার্টার ফাইনালের ম্য়াচে মধ্য প্রদেশের বিরুদ্ধে আগামী ৮ নভেম্বর মুম্বইয়ে খেলতে নামবে তারা। গ্রুপ সি-তে এই মুহূর্তে ৬ ম্য়াচে ২০ পয়েন্ট ঝুলিতে পুরে নিয়েছে বাংলা মহিলা ক্রিকেট দল। তারা গ্রুপে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে এই মুহূর্তে।


বাংলা দল প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ২০ ওভারে ২ উইকেট হারিয়ে ১৫৭ রান বোর্ডে তুলেছিল বাংলা। দলের হয়ে ধারা গুজ্জর ৪৬ বলে ৬১ রানের ইনিংস খেলেন। মিতা পাল ৪৮ বলে ৪৯ রানের ইনিংস খেলেন। তনুশ্রী সরকার ১৭ বলে ঝোড়ো ৩৪ রানের ইনিংস খেলেন। এরপর রান তাড়া করতে নেমে নাগাল্যান্ড ১৭.৪ ওভারে মাত্র ৪২ রানে অল আউট হয়ে যায়। 


বাংলা দলের বোলারদের মধ্যে ঝুমিয়া খাতুন ২ রানের বিনিময়ে ৩ উইকেট নেন। মনিকা মাল ১০ রানের বিনিময়ে ২ উইকেট নেন। সাইকা ঈশাক ১ রানের বিনিময়ে ১ উইকেট নেন। সুস্মিতা গঙ্গোপাধ্যায় ১২ রানের বিনিময়ে ১ উইকেট নেন। অরুণা বর্মন ১২ রানের বিনিময়ে ১ উইকেট নেন। 


এদিকে, ঘরের মাঠে রঞ্জি ট্রফিতে বাংলা দল খেলতে নেমে কেরলের বিরুদ্ধে। রবিবার শেষ বেলায় কেরল ৫১/৪ হয়ে কাঁপছিল। সেখান থেকে সোমবার সকালে ৮৩/৬। ঈশানের পঞ্চবাণ। পাঁচ উইকেট নিয়ে ঘরোয়া ক্রিকেটে প্রত্যাবর্তনের মঞ্চকে স্মরণীয় করে রাখলেন চন্দননগরের পেসার।


বাংলার ক্রিকেটপ্রেমীরা সে সময় ভেবেছিলেন, একশোতেই বুঝি মুড়িয়ে দেওয়া যাবে প্রতিপক্ষকে। তারপর ঝড়ের গতিতে রান তুলতে পারলে কে বলতে পারে মরা ম্যাচেও প্রাণের সঞ্চার হবে না? বাংলার কোচ লক্ষ্মীরতন শুক্ল যে রবিবারই ঘোষণা করে দিয়েছেন, বৃষ্টি ও ভেজা মাঠে পৌনে দুদিন নষ্ট হওয়ার পরেও জয়ের জন্য ঝাঁপাবেন।


কিন্তু অন্যরকম কিছু ভেবেছিলেন জলজ ও আট নম্বরে ব্যাট করতে নামা সলমন নিজার। সপ্তম উইকেটে দুজনে ১৪০ রান যোগ করে ম্যাচের রম পাল্টে দিলেন। জলজ ফিরে গেলেও ন’নম্বরে ব্যাট করতে নেমে প্রতিরোধ গড়ে তুলেছেন কেরলের উইকেটকিপার মহম্মদ আজহারউদ্দিন। ৩০ রানে অপরাজিত তিনি। সঙ্গে সলমন ব্যাট করছেন ৬৪ রানে। অষ্টম উইকেটে দুজনে এখনও পর্যন্ত ৪৪ রান যোগ করেছেন। খেলে দিয়েছেন ১৪.৫ ওভার। ১০২ ওভার ব্যাট করে তৃতীয় দিনের শেষে কেরলের স্কোর ২৬৭/৭। সারাদিনে পড়ল মাত্র ৩ উইকেট। উঠল ২১৬ রান।