Ranji Trophy: ২৮২ রানের পুঁজি হাতে, ফুটছে বাংলা, মঙ্গলবার ইডেনে রঞ্জি ম্যাচের রুদ্ধশ্বাস পরিণতির অপেক্ষা
Eden Gardens: বাংলা শিবির যদিও ফুটছে। ফলাফল যাই হোক, মঙ্গলবার, ম্যাচের শেষ দিন ক্রিকেটের নন্দনকাননে থ্রিলার অপেক্ষা করে রয়েছে।

সন্দীপ সরকার, কলকাতা: ইডেন গার্ডেন্সের (Eden Gardens) ক্লাব হাউসের বাইরে রোজ বিকেলে ভিড় জমাচ্ছেন ক্রিকেটপ্রেমীরা। অনেকেই এসেছেন তাঁকে এক ঝলক দেখার জন্য। তাঁর সঙ্গে ছবি তুলতে, কিংবা অটোগ্রাফ নিতে। হাসিমুখে অনেকেরই আব্দার মেটাচ্ছেন। সোমবার গাড়িতে উঠে মাঠ ছাড়ার সময় বেশ খোশমেজাজেই ছিলেন। ইনিংস ডিক্লেয়ার করে গুজরাতকে আজই ব্যাট করতে পাঠিয়ে দিলে ভাল হতো না? কাল কি প্রতিপক্ষকে অল আউট করার পর্যাপ্ত সময় পাওয়া যাবে?
গাড়ির দরজা বন্ধ করার আগে এবিপি লাইভ বাংলার প্রশ্ন শুনে মহম্মদ শামি হাসতে হাসতে বললেন, 'আরে, কাল সুবহ পেল দেঙ্গে।' বাংলা তর্জমা করলে দাঁড়ায়, কাল সকালেই পিষে ফেলব। যোগ করলেন, 'আপনারা শুধু একটু প্রার্থনা করুন।'
ভারতীয় দলের আর এক তারকা ফাস্টবোলার আকাশ দীপ বাংলার হয়ে পরের ম্যাচে খেলতে পারবেন না। দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে ভারতীয় এ দলে রয়েছেন। তাই ত্রিপুরার বিরুদ্ধে আগরতলার ম্যাচে বিকল্প কিছু ভাবতে হবে বাংলা শিবিরকে। তবে গুজরাতের বিরুদ্ধে শেষ দিন ঝাঁপাবেন আকাশ। বললেন, 'এই উইকেটে বল করা খুব সহজ নয়। তবে কাল সকালে সর্বস্ব উজার করে দেব।'
২৮২ রানের লিড হয়ে গিয়েছে। মঙ্গলবার বৃষ্টির আশঙ্কা রয়েছে জেনেও বাংলা ইনিংসের সমাপ্তি ঘোষণা না করায় প্রশ্নের মুখে পড়তে হল কোচ লক্ষ্মীরতন শুক্লকেও। লক্ষ্মী বললেন, 'আর ২৫-৩০ মিনিট ব্যাট করে তিনশোর ওপর টার্গেট দিয়ে ছেড়ে দেব।' সঙ্গে আশ্বাস, 'আমরা জিতব। ৬ পয়েন্ট নিয়ে মাঠ ছাড়ব।'
আশা রয়েছে। আশঙ্কাও আছে। দোলাচলের মধ্যেও স্বপ্ন দেখছেন বাংলার ক্রিকেটপ্রেমীরা। সোমবার গুজরাতের প্রথম ইনিংস ১৬৭ রানে শেষ করে দেওয়া গিয়েছে। প্রথম ইনিংসে মহার্ঘ ১১২ রানের লিড পেয়েছে বাংলা। দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে অবশ্য পরপর কয়েকটা উইকেট পড়েছে। হাফসেঞ্চুরি করেছেন সুদীপ কুমারব ঘরামি। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ স্কোরার অনুষ্টুপ মজুমদার। ৪৪ রান করে ক্রিজে তিনি। যদিও ২৪ রানের মাথায় বোল্ড হয়ে গিয়েছিলেন। নো বল হওয়ায় বেঁচে যান। সঙ্গে রয়েছেন সূরয সিন্ধু জয়সওয়াল। বাংলার স্কোর ১৭০/৬।
গুজরাত কি ৩২০ রানের কাছাকাছি লক্ষ্য পেলে ঝাঁপাবে? কোচ রমেশ পওয়ার বললেন, 'ম্যাচের পরিস্থিতি আর পিচ দেখে সিদ্ধান্ত নেব। তবে ম্যাচটা তো এক সময় বাংলার দিকে ঝুঁকে ছিল। সেখান থেকে ছেলেরা যেভাবে লড়াই করে ঘুরিয়েছে, অনবদ্য। আণরা হাল ছাড়ছি না।' প্রথম ইনিংসে ২৫২ বলেও গুজরাত অধিনায়ক মনন হিঙ্গরাজিয়াকে আউট করতে পারেননি বাংলার বোলাররা। দ্বিতীয় ইনিংসেও কি তিনি জ্বলে উঠবেন ব্যাট হাতে? মঙ্গলবার সকালে আর কতক্ষণ ব্যাটিং করবে বাংলা? কত রানের লক্ষ্য দেবে? কত ওভারের মধ্যে গুজরাতকে অল আউট করা সম্ভব?
প্রশ্ন অনেক। উত্তরের জন্য আর কয়েক ঘণ্টার অপেক্ষা। বাংলা শিবির যদিও ফুটছে। ফলাফল যাই হোক, মঙ্গলবার, ম্যাচের শেষ দিন ক্রিকেটের নন্দনকাননে থ্রিলার অপেক্ষা করে রয়েছে।




















