Ranji Trophy: শামির জবাব দেওয়ার মঞ্চে ৬ পয়েন্ট বাংলার, জয় দিয়ে শুরু রঞ্জি ট্রফি অভিযান
Ranji Trophy: মুখে যাই বলুন, মাঠে যে তাঁকে পারফর্ম করে দেখাতে হবে, ভালই উপলব্ধি করেছিলেন শামি। উত্তরাখণ্ডের বিরুদ্ধে ম্যাচের শেষ দিন বল হাতে জ্বলে উঠলেন ডানহাতি ফাস্টবোলার।

সন্দীপ সরকার, কলকাতা: শনিবার মধ্যাহ্নভোজের বিরতির পরই ক্লাব হাউসের দোতলায় পাশাপাশি দুই বক্সে এসে বসলেন জাতীয় দলের দুই প্রাক্তন ক্রিকেটার। একজন কিংবদন্তি। ক্রিকেট প্রশাসনে সদ্য শুরু করেছেন নিজের দ্বিতীয় ইনিংস। তিনি, সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়।
আর একজন বাংলার সর্বকালের অন্যতম সেরা ফাস্টবোলার। বহু ম্যাচ জিতিয়েছেন বাংলাকে। তিনি, অশোক ডিন্ডা।
আর দু'জনই দেখে গেলেন, রুদ্ধশ্বাস শেষ দিনে ঘুরে দাঁড়াল বাংলা। উত্তরাখণ্ডকে ৮ উইকেটে হারিয়ে ছিনিয়ে নিল ৬ পয়েন্ট। জয় দিয়ে শুরু করল রঞ্জি ট্রফি অভিযান। যে জয়ের নায়ক মহম্মদ শামি, সৌরভ ও ডিন্ডা - দুজনেরই অত্যন্ত কাছের মানুষ।
ফর্ম, ফিটনেস নিয়ে নিরন্তর প্রশ্ন উঠছে। প্রশ্ন তুলছেন ভারতের সিনিয়র নির্বাচক কমিটির চেয়ারম্যান অজিত আগরকর। পাল্টা বিবৃতি দিয়েছেন শামিও। তবে মুখে যাই বলুন, মাঠে যে তাঁকে পারফর্ম করে দেখাতে হবে, ভালই উপলব্ধি করেছিলেন শামি। উত্তরাখণ্ডের বিরুদ্ধে ম্যাচের শেষ দিন বল হাতে জ্বলে উঠলেন ডানহাতি ফাস্টবোলার।
তৃতীয় দিনের শেষে দ্বিতীয় ইনিংসে উত্তরাখণ্ডের স্কোর ছিল ১৬৫/২। ১১০ রানের খামতি মিটিয়ে বাংলার চেয়ে ৫৫ রানে এগিয়ে গিয়েছিল উত্তরাখণ্ড। ম্যাচ ড্র হবে কি না, তা নিয়ে শুরু হয়েছিল জল্পনা। ইডেনের পিচ নিয়ে প্রশ্ন উঠছিল। বলা হচ্ছিল, নিষ্প্রাণ পিচে সুবিধা পাচ্ছেন না ফাস্টবোলাররা।
তবে শনিবার ছিল পেসারদের ঘুরে দাঁড়ানোর দিন। শুক্রবারের স্কোরের সঙ্গে আর ১০০ রান যোগ করে উত্তরাখণ্ড অল আউট হয়ে গেল। বাকি আট উইকেট তুলে নিলেন বাংলার বোলাররা। যার মধ্যে চার উইকেট নিলেন মহম্মদ শামি। সব মিলিয়ে ম্যাচে সাত উইকেট শামির। ম্যাচের সেরাও হলেন তিনি।
যা নিয়ে সৌরভ বললেন, 'শামি ভাল বোলার। যত খেলবে তত ছন্দে ফিরবে। খেলুক না আরও।' আর শামির সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে বহু ম্যাচে বাংলাকে জিতিয়েছেন যিনি, সেই ডিন্ডা বললেন, 'শামি হাল ছাড়ার ছেলে নয়। ফের নিজেকে প্রমাণ করল।'
২৬৫ রানে উত্তরাখণ্ডের দ্বিতীয় ইনিংস শেষ হওয়ার পর বাংলার সামনে লক্ষ্য দাঁড়িয়েছিল ১৫৬ রানের। ২ উইকেট হারিয়ে ২৯.৩ ওভারে সেই লক্ষ্যপূরণ করল বাংলা। সুদীপ চট্টোপাধ্যায় ১৬ রান করে বোল্ড হয়ে যান। ৪৭ বলে ৪৬ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেললেন সুদীপ ঘরামি। ৭১ রানে অপরাজিত রয়ে গেলেন অধিনায়ক অভিমন্যু ঈশ্বরণ। বিশাল ভাটি ১৬ রান করে ক্রিজে রইলেন।




















