লন্ডন: একজন কিছুদিন আগেই ক্রিকেট থেকে অবসর নিয়েছেন। আরেকজনও তাঁর কেরিয়ারের সায়াহ্নে। দুজনেই কিংবদন্তি। ইংল্যান্ডের জিমি অ্যান্ডারসন এবার দরাজ সার্টিফিকেট দিলেন বিরাট কোহলি। গত এক দশকের ওপরে বারবার মাঠের লড়াইয়ে দুজন দুজনকে টেক্কা দেওয়ার চেষ্টা করে গিয়েছেন। এবার বিরাটকে দরাজ সার্টিফিকেট দিলেন অ্যান্ডারসন। 


সম্প্রতি টেইলএন্ডারসের পডকাস্টে এসেছিলেন ইংল্য়ান্ডের প্রাক্তন পেসার জিমি অ্যান্ডারসন। সেখানেই তিনি বলেন, ''রান তাড়া করতে নেমে বা দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে বিরাটের থেকে সেরা ব্যাটিং করতে আমি আজ পর্যন্ত আর কাউকে দেখিনি আমি ক্রিকেটের ইতিহাসে। রান তাড়া করতে নেমে ওঁর রেকর্ড সত্যিই অভাবনীয়। দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে যে কতগুলো সেঞ্চুরি করেছে ওঁ, তা অবিশ্বাস্য।''


বিরাটের রান তাড়া করতে নেমে এই রেকর্ড কীভাবে সম্ভব? ইংল্যান্ডের প্রাক্তন পেসার বলেন, ''আমার মনে হয় নিজের ওপর অগাধ বিশ্বাসের ফল। এরকম বারবার দেখা গিয়েছে যে চাপের মুখে ওঁ কতটা ভাল খেলে। ওঁ নিজেকে, নিজের মনকে সেভাবেই প্রস্তুত করে বিরাট।'' 


অস্ট্রেলিয়ার প্রাক্তন ক্রিকেটার মাইকেল বেভানকে বলা হয় বিশ্বের অন্যতম সেরা ফিনিশার। অস্ট্রেলিয়ার জার্সিতে নব্বইয়ের দশকের থেকে ২০০৫ সালের আগে পর্যন্ত বাঁহাতি বেভানই ছিলেন বিশ্বের সেরা ফিনিশার। তবে বিরাটকে তাঁর থেকেও বড় ফিনিশার মনে করেন অ্যান্ডারসন। তিনি বলছেন, ''আমি বিষয়টাকে এভাবে দেখছি যে রান তাড়া করতে নেমে কে বেশি সফল। মাইকেল বেভান অস্ট্রেলিয়ার জার্সিতে ছয় নম্বরে মূলত খেলতেন। ৫০-৬০ রানের প্রচুর ইনিংস খেলেছেন। ম্য়াচ ফিনিশ করেছেন। কিন্তু বিরাট তিন নম্বরে নেমে থাকেন। অসংখ্য সেঞ্চুরি তো রয়েইছে। এমনকী ওঁ শেষ মুহূর্তে পর্যন্ত অনেক ম্য়াচে টিকে থেকে ভারতকে ম্য়াচ জিতিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে আমি নিঃসন্দেহে বলতে পারি বিরাটই গ্রেটেস্ট ফিনিশার, অন্তত সাদা বলের ফর্ম্য়াটে রান তাড়া করার ক্ষেত্রে।''


২০১৫ সালের পর থেকে সাদা বলের ফর্ম্য়াটে অ্য়ান্ডারসনকে দেখা যায়নি। তাই টেস্ট ফর্ম্য়াটেই মূলত বিরাটের সঙ্গে লড়াই ছিল ইংরেজ পেসারের। মোট ৩৬ বার টেস্টে ২ জনে মুখোমুখি হয়েছেন। বিরাট ৩০৫ রান করেছেন। অ্যান্ডারসন ৭ বার আউট করেছেন কোহলিকে। এরমধ্যে ২০১৪ সালে ভারতের ইংল্যান্ড সফরে চারবার অ্যান্ডারসনের শিকার হয়েছিলেন প্রাক্তন ভারত অধিনায়ক।


সাদা বলের ফর্ম্যাটে বিরাট ওয়ান ডে-তে ২৯৫ ম্যাচে ১৩,৯০৬ রান করেছেন। ৫০টি সেঞ্চুরি করেছেন। ১৮৩ ব্যক্তিগত স্কোর।