লন্ডন: টি-টােয়েন্টি ক্রিকেটে বিশ্বের এক নম্বর ব্যাটার ছিলেন একটা সময়। খুব বেশিদিনের কেরিয়ার নয়। তবে ৩৭ বছর বয়সে এবার আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় জানালেন ডেউইড মালান। ইংল্যান্ডের এই বাঁহাতি ওপেনার টেস্টে ২২ টি ম্য়াচ খেলেছেন। ৩০টি ওয়ান ডে ও ৬২টি টি-টোয়েন্টি ম্য়াচে দেশের প্রতিনিধিত্ব করেছেন মালান। জস বাটলার ছাড়া ইংল্য়ান্ডের দ্বিতীয় ব্য়াটার হিসেবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের তিন ফর্ম্য়াটেই শতরান হাঁকানোর নজির গড়েছেন। যদিও গত বছর ওয়ান ডে বিশ্বকাপে ইংল্য়ান্ড দলে ছিলেন না মালান। এমনকী অস্ট্রেলিয়ার বিরদ্ধে সাদা বলের ফর্ম্যাটে জাতীয় দলে সযোগ না পেয়েই কি এবার ক্রিকেটকে বিদায় জানানোর সিদ্ধান্ত নিলেন মালান। 


২০১৭ সালে টি-টোয়েন্টিতে অভিষেক হয়ে মালানের। দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে সেই ম্য়াচে ৪৪ বলে ৭৮ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেলেছিলেন তিনি। এরপর অ্যাশেজের মঞ্চে টেস্টে অভিষেক হয় বাঁহাতি ব্যাটারের। নিজের একমাত্র টেস্ট শতরানটি করেছিলেন অস্ট্রেলিআর বিরুদ্ধে। ২২৭ বলে ১৪০ রানের ইনিংস খেলেন তিনি। পারথে সেই টেস্টে জনি বেয়ারস্টোর সঙ্গে জুটি বেঁধে বড় রান বোর্ডে যোগ করেছিলেন। তবে টি-টোয়েন্টি ফর্ম্যাটেই বেশি উজ্জ্বল ছিলেন মালান। ২০১৯ সালে ওয়ান ডে বিশ্বকাপের পর কুড়ির ফর্ম্যাটে ইংল্যান্ড দলের ধারাবাহিক সদস্য হয়ে উঠেছিলেন মালান। নেপিয়ারে কিউয়িদের বিরুদ্ধে ৪৮ বলে শতরানের ইনিংস সবার নজর কেড়েছিল।


 






২০২০ সালের সেপ্টেম্বরে টি-টোয়েন্টি ফর্ম্য়াটে আইসিসির যে ক্রমতালিকায় বেরিয়েছিল। সেখানে ব্যাটারদের তালিকায় শীর্ষে উঠে এসেছিলেন মালান। মাত্র ২৪ ইনিংসে ১০০০ রান পূরণ করেছিলেন। ২০২২ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপজয়ী ইংল্যান্ড দলের সদস্য ছিলেন মালান। যদিও কুঁচকির চোটের জন্য শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে গ্রুপ লিগের ম্য়াচের পর ছিটকে যেতে হয় তাঁকে। 


টেস্টে ক্রিকেটে ২০২২ সালে হোবার্টে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে শেষবার সাদা পােশাকে খেলতে দেখা গিয়েছিল মালানকে। ওয়ান ডে ফর্ম্যাটে ২০২৩ সালে ১১ নভেম্বর পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ইডেনে শেষবার খেলতে নেমেছিলেন। গত বছর ৫ সেপ্টেম্বর ইংল্যান্ডের জার্সিতে শেষ টি-টোয়েন্টি খেলেছেন। এই বছর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে জাতীয় দলে সুযোগ না পাওয়ার পর থেকেই হয়ত অবসরের ভাবনা চিন্তা শুরু করে দিয়েছিলেন। অবশেষে সিদ্ধান্তটা নিয়েই ফেললেন।