নয়াদিল্লি: দলীপ ট্রফিতে নজির গড়লেন অনসুল কাম্বোজ। হরিয়ানার এই ২৩ বছরের পেসার দলীপ ট্রফিতে ইন্ডিয়া 'সি' দলের হয়ে খেলতে নেমে এক ইনিংসে ৮ উইকেট তুলে নিলেন। ইন্ডিয়া 'বি' দলের হয়ে খেলতে নেমে এই নজির গড়েন। ইন্ডিয়া 'বি' ব্যাটিং লাইন আপের বিরুদ্ধে খেলতে নেমে এই দুরন্ত স্পেলেই নজর কেড়ে নিলে কাম্বোজ। প্রথম ইনিংসে বল হাতে ২৭.৫ ওভার বল করে ৬৯ রান খরচ করে ৮ উইকেট ঝুলিতে পুরে নেন। অনসুলের শিকারের মধ্যে উল্লেখযোগ্য নাম মুশির খান, সরফরাজ খান, রিঙ্কু সিংহ ও নীতিশ রেড্ডি। অনসুলের এই পারফরম্য়ান্সের সুবাদেই প্রথম ইনিংসের শেষে ইন্ডিয়া 'সি' ১৯৩ রানের বিশাল লিড নিয়েছে বলে।


এখনও পর্যন্ত দলীপ ট্রফির ইতিহাসে এক ইনিংসে সর্বাধিক উইকেট নেওয়ার নজির রয়েছে দেবাশিস মোহান্তির দখলে। তিনি পূর্বাঞ্চলের হয়ে দক্ষিণাঞ্চলের বিরুদ্ধে ৪৬ রানের বিনিময়ে ১০ উইকেট নিয়েছিলেন এক ইনিংসে। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন ১৯৬৩ সালে দলীপ ট্রফিতে পঞ্চিমাঞ্চলের হয়ে খেলা বালু গুপ্তে। তিনি ৫৫ রানের বিনিময়ে ৯ উইকেট নিয়েছিলেন। ২০২৩ সালে সেন্ট্রাল জোনের হয়ে খেলতে নেমে ৬৪ রানের বিনিময়ে আট উইকেট নিয়েছিলেন পূর্বাঞ্চলের বিরুদ্ধে। এছাড়াও আর্শাদ আয়ুব ৬৫ রানের বিনিময়ে ৮ উইকেট নিয়েছিলেন দলীপ ট্রফিতে ১৯৮৭ সালে। 


ইন্ডিয়া 'বি' দলের হয়ে একমাত্র অভিন্য়ু ঈশ্বরণ ও উইকেট কিপার নারায়ণ জগদীশান ছাড়া আর কোনও ব্যাটারই প্রভাব ফেলতে পারেননি। ঈশ্বরণ ২৮৬ বলে ১৫৭ রানের ইনিংস খেলে অপরাজিত থাকেন। অন্য়দিকে জগদীশান ৭০ রানের ইনিংস খেলেন। 


দলীপ ট্রফিতে গতকাল ইন্ডিয়া 'ডি' দলের বিরুদ্ধে দুরন্ত শতরান হাঁকিয়েছিলেন ইন্ডিয়া 'এ' দলের ২ তরুণ ব্যাটার প্রথম সিংহ ও তিলক ভার্মা। প্রথম ইনিংসের শুরু থেকেই দুর্দান্ত ছন্দে ছিলেন। ১২২ রানে তিনি যখন সৌরভ কুমারের বলে আউট হলেন, ততক্ষণে ইন্ডিয়া 'এ' দুইশো রানের গণ্ডি পার করে ফেলেছে। তিলকের সঙ্গে শতরানের পার্টনারশিপও হয়ে গিয়েছে। দুই উইকেট হারিয়েই মধ্যাহ্নভোজে যায় ইন্ডিয়া 'এ'। তবে তারপরে দ্বিতীয় সেশনের শুরুতেই রিয়ান পরাগ মাত্র ২০ রানে সাজঘরে ফেরেন। তবে পরাগ বড় রানের ইনিংস খেলতে না পারলেও, তিলককে যোগ্য সঙ্গ দেন শ্বাশত শেরাওয়াত। চতুর্থ উইকেটে তাঁদের ১১৬ রানের পার্টনারশিপ ইন্ডিয়া 'এ'-কে ম্যাচে অনেকটাই এগিয়ে দেয়। সারাংশ জৈনের বলে কাট মেরে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে নিজের পঞ্চম সেঞ্চুরিটি পূরণ করেন তিলক বর্মা।