নয়াদিল্লি: আর মাত্র কয়েক সপ্তাহের অপেক্ষা। তারপরেই ভারতের মাটিতে শুরু হয়ে যাবে ৫০ ওভারের বিশ্বকাপ (ODI World Cup 2023)। একেবারে শেষ পর্যায়ে চলছে প্রস্তুতি। তবে বিশ্বকাপ নিয়ে সমস্যা যেন শেষই হচ্ছে না।
প্রথমে বিশ্বকাপের সূচি বদল, তারপর টিকিট বিক্রি সংক্রান্ত না না সমস্যা, অভিযোগে জর্জরিত ভারতীয় ক্রিকেট সংস্থা। এরই মাঝে ফের এক নতুন সমস্যার উদয় হয়েছে। শোনা যাচ্ছে বিশ্বকাপের অন্যতম ভেন্যু ধরমশালায় এইচপিসিএ ক্রিকেট স্টেডিয়ামের ((HPCA Cricket Stadium) আউটফিল্ড নিয়ে সমস্যা রয়েছে। চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহেই আইসিসির তরফে প্রতিনিধি দল বিশ্বকাপের ম্যাচগুলি আয়োজন করা বিভিন্ন মাঠ পরিদর্শনে এসেছিলেন। মাঠগুলির প্রস্তুতি খতিয়ে দেখাই ছিল লক্ষ্য।
আইসিসির পিচ কনসালটেন্ট অ্যান্ডি অ্যাটকিনসন নাকি ধরমশালার মাঠের আউটফিল্ড নিয়ে সন্তুষ্ট নন। খবর অনুযায়ী, বিসিসিআইয়ের তরফে দিনকয়েকের মধ্যেই আরেক প্রতিনিধি দল ধরমশালা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে যাবে। ধরমশালার মাঠের আউটফিল্ড ফাঙ্গাসভর্তি, যা দেখে সঙ্গে সঙ্গেই অ্যাটকিনসন অসন্তোষ প্রকাশ করেন বলে খবর।
৭ অক্টোবর বাংলাদেশ ও আফগানিস্তান ম্যাচই এই স্টেডিয়ামের প্রথম বিশ্বকাপ ম্যাচ। বর্তমানে মাঠের পরিস্থিতি যাই হোক না কেন, বিসিসিআই ও হিমাচল প্রদেশ ক্রিকেট সংস্থা আশাবাদী যে প্রথম ম্যাচের আগেই এই স্টেডিয়ামের আউটফিল্ড ঠিক হয়ে যাবে এবং ভালভাবেই বিশ্বকাপের ম্যাচগুলি আয়োজন করা সম্ভব হবে। প্রসঙ্গত, বিশ্বকাপে ধরমশালায় ভারত ও নিউজিল্যান্ডের ম্যাচ আয়োজিত হবে ২২ অক্টোবর।
ধরমশালার মাঠ নিয়ে সমস্যা কিন্তু এই প্রথম নয়। চলতি বছরের মার্চ মাসেই ভারত ও অস্ট্রেলিয়ার একটি টেস্ট ম্যাচ আয়োজিত হওয়ার কথা ছিল ধরমশালায়। তবে ম্যাচের একদিন আগেও এই সমস্যার সমাধান না হওয়ায় ম্যাচ সরিয়ে নিয়ে যাওয়ায় ইনদওরে। তবে তারপরে অবশ্য আইপিএলের দুইটি ম্যাচ আয়োজিত হয় এই স্টেডিয়ামে। সেই ম্যাচ দু'টিতে অবশ্য আউটফিল্ড নিয়ে কোনও সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়নি।
এ বছর হিমাচল প্রদেশে প্রবল পরিমাণ বৃষ্টি হয়েছে। সেই কারণে গোটা রাজ্যজুড়েই প্রচুর ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। তবে আউটফিল্ডের এই সমস্যার তার জেরে হয়েছে বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন না।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম টেলিগ্রামেও। যুক্ত হোন
https://t.me/abpanandaofficial
আরও পড়ুন: শৈলশহরে শিশিরে ঘুরে যেতে পারে ম্যাচের মোড়, বিশ্বকাপে ধর্মশালায় ধুন্ধুমারের অপেক্ষা