সেঞ্চুরিয়ন: একার লড়াই। বছর দুই আগে সেঞ্চুরিয়ানে সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছিলেন তিনি। ফের একবার যখন গোটা দল ব্যাট হাতে ব্যর্থ হল, তখন জ্বলে উঠলেন কেএল রাহুল (KL Rahul)। ছক্কা মেরে হাঁকালেন সেঞ্চুরি। বছর দুই আগে এই সেঞ্চুরিয়ানেই ১২৩ রানের ইনিংস খেলেছিলেন কেএল রাহুল। সেই ধারা অব্যাহত রইল। ১৩৩ বলে নিজের টেস্ট কেরিয়ারের অষ্টম শতরান হাঁকালেন রাহুল।
দ্বিতীয় দিনে রাহুল ৭০ রানে নিজের ইনিংস শুরু করেন। ভারতীয় দলের স্কোর ছিল আট উইকেটের বিনিময়ে ২০৮ রান। সেখানে রাহুলের দৌলতেই ২৪৫ রান তুলতে পারল টিম ইন্ডিয়া। এদিনও ভিজে মাঠের জেরে নির্ধারিত ,সময়ের পরেই ম্যাচ শুরু হয়। মেঘলা আকাশে ফের একবার দক্ষিণ আফ্রিকান বোলাররা দাপট দেখাতে শুরু করেন। তবে সিরাজ একদিকে ক্রিজ আঁকড়ে বেশ খানিকটা সময় পরে থাকেন। অপরদিকে, যে পিচে সিংহভাগ ব্যাটাররা রানই পাননি, সেইখানে নিজের ব্যাটিংয়ে রাহুল প্রমাণ করে দিলেন কেন তাঁকে 'ম্যান অফ ক্রাইসিস' আখ্যা দিচ্ছেন ভারতীয় দলের ব্যাটিং কোচ।
পরিস্থিতি বুঝে তিনি প্রতিআক্রমণের রাস্তা বেছে নেন। রাহুল যে কতটা আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে ব্যাট করছিলেন, সেটা তাঁর পাঁচ উইকেট নেওয়া কাগিসো রাবাডার বিরুদ্ধে পুলে ছক্কা হাঁকানো দেখেই বোঝা যায়। ছক্কা মেরেই তিনি শতরানও পূরণ করেন। ঋষভ পন্থের পর মাত্র দ্বিতীয় ভারতীয় কিপার-ব্যাটার হিসাবে 'SENA' (দক্ষিণ আফ্রিকা, ইংল্যান্ড, নিউজ়িল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া) লাল বলের ক্রিকেটে শতরান হাঁকালেন রাহুল। তিনিই প্রথম বিদেশি ব্যাটার যিনি সেঞ্চুরিয়নে নাগাড়ে দ্বিতীয় টেস্ট ম্যাচে শতরান হাঁকালেন। রাহুলের ব্যাটিংয়ে তাঁর আত্মবিশ্বাস এবং দুরন্ত টেকনিকের উদাহরণ পাওয়া যায়।
তবে শতরানের পর তিনি আর বেশিদূর এগোতে পারেননি। ১০১ রানে আউট হন রাহুল। ২৪৫ রানেই শেষ হয়ে যায় ভারতীয় ইনিংস। এই পিচে ভারতীয় বোলাররা কেমন পারফর্ম করবেন, এবার সেটাই দেখার বিষয়।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে
আরও পড়ুন: প্রথম সেশনেই হ্যামস্ট্রিংয়ে পেয়ে মাঠ ছাড়তে বাধ্য হন, কেমন আছে প্রোটিয়া অধিনায়ক বাভুমা?