অ্যাডিলেড: গোলাপি বলে অ্যাডিলেডে (Adelaide Pink Ball Test) অপ্রতিরোধ্য অস্ট্রেলিয়া। এই মাঠে দিন-রাতের যে সাতটি টেস্ট খেলেছে অস্ট্রেলিয়া, তার প্রত্যেকটিই জিতেছে।
সেই অ্যাডিলেডে যখন গোলাপি বলে দিন-রাতের টেস্টে টস জিতে প্রথমে ব্যাটিংয়ের সাহসী সিদ্ধান্ত নিলেন ভারতের অধিনায়ক রোহিত শর্মা, অনেকেই তারিফ করেছিলেন। মনে করা হয়েছিল, পারথের মতো এখানেও ভারতীয় শিবির বিবৃতি দিতে চাইছে যে, অস্ট্রেলিয়াকে ডরাই না।
যদিও অ্যাডিলেডে প্রথম সেশনে চার উইকেট হারিয়ে বেশ চাপে ভারত। সেই অ্যাডিলেড, যেখানে চার বছর আগে গোলাপি বলের টেস্টেই দ্বিতীয় ইনিংসে ৩৬ রানে অল আউট হয়ে যাওয়ার লজ্জা ছিল ভারতের। শুরুটা হয়েছিল যশস্বী জয়সওয়ালকে দিয়ে। পারথে দ্বিতীয় ইনিংসে ১৬১ রানের বিধ্বংসী ইনিংস খেলেছিলেন যশস্বী। যে ইনিংস খেলার ফাঁকে স্লেজিং করেছিলেন অস্ট্রেলিয়ার পেসার মিচেল স্টার্ককে। বলেছিলেন, 'বল খুব মন্থর গতিতে আসছে।'
সেই উপেক্ষার জবাব বল হাতেই দিলেন অভিজ্ঞ স্টার্ক। তাঁর প্রথম বলের স্যুইংয়ের বিষ ছোবল মারল যশস্বীর পায়ে। উইকেটের সামনে ধরা পড়লেন যশস্বী। কোনও রান করার আগেই এলবিডব্লিউ হয়ে ফিরলেন। মাথা নীচু করে। ঘাড় নাড়তে নাড়তে।
যদিও তারপর ইনিংসের হাল ধরেছিলেন শুভমন গিল ও কে এল রাহুল। রাহুল স্কট বোল্যান্ডের এক ওভারে দুবার জীবন পান। প্রথমে তিনি কট বিহাইন্ড হয়ে গেলেও বল নো হওয়ায় বেঁচে যান। সেই ওভারেরই পঞ্চম বলে স্লিপে তাঁর ক্যাচ ফেলেন উসমান খাওয়াজা। রাহুলের রান তখন মোটে ২।
তবে দুবার প্রাণরক্ষার পরেও বড় ইনিংস খেলতে পারলেন না রাহুল। স্টার্কের আচমকা লাফিয়ে ওঠা বল সামলাতে না পেরে ক্যাচ দিয়ে ফিরলেন। ৩৭ রান করে। দ্বিতীয় উইকেটে গিল ও রাহুলের ৬৯ রানের পার্টনারশিপের সেখানেই ইতি।
তারপর ১২ রানের মধ্যে আরও ৩ উইকেট হারায় ভারত। যার মধ্যে রয়েছে বিরাট কোহলির উইকেটও। ঘাতক সেই স্টার্ক। মাত্র ৭ রান করে স্টার্কের শর্ট বলে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন কোহলি। শুভমনকে (৩১ রান) তুলে নেন বোল্যান্ড।
প্রথম দিন লাঞ্চ বিরতিতে ভারতের স্কোর ২৩ ওভারে ৮২/৪। ক্রিজে রয়েছেন ঋষভ পন্থ। সঙ্গে অধিনায়ক রোহিত। যিনি ব্যাট করতে নেমেছেন ৬ নম্বরে। তাঁদের কাঁধের ভারতের ইনিংসের ধস রোখার গুরুদায়িত্ব।
আরও পড়ুন: বাবাকে কাঁদতে দেখে বদলে যায় জীবন, কীভাবে ভারতের জার্সিতে খেলার স্বপ্নপূরণ নীতীশ রেড্ডির?