বেঙ্গালুরু: লড়াই কাকে বলে দেখিয়ে দিলেন ২ তরুণ। সরফরাজ খান ও ঋষভ পন্থ। নিউজিল্য়ান্ডের বিরুদ্ধে প্রথম ইনিংসে ৪৬ রানে অল আউট হওয়ার পর হারের আশঙ্কা তৈরি হয়েছিল। প্রথম ইনিংসে কিউয়ি শিবির ৪০২ রান বোর্ডে তুলে ফেলার পর চিন্তা তো আরও বেড়ে গিয়েছিল। কিন্তু সেই চিন্তা কমিয়ে দিলেন সরফরাজ খান ও ঋষভ পন্থ। ভারতের দ্বিতীয় ইনিংসের শুরুতে রোহিত শর্মা অর্ধশতরান হাঁকিয়েছিলেন ওপেনিংয়ে নেমে। তিন নম্বরে নেমে বিরাট ৭০ রানের ইনিংস খেলেছিলেন। তবুও একটা চাপ ছিলই। চতুর্থ দিনে সরফরাজ ও পন্থ ১১৩ রানের পার্টনারশিপ গড়ে তুলে সেই চাপ কমিয়ে দিলন অনেকটাই। কেরিয়ারের প্রথম আন্তর্জাতিক টেস্ট শতরান হাঁকালেন সরফরাজ। ফিল্ডিংয়ের সময় হাঁটুতে চোট পেলেও ব্যাট হাতে নামলেন পন্থ। মারকাটারি ব্য়াটিংয়ে অর্ধশতরানের ইনিংস খেলেছিলেন। মধ্যাহ্নভোজের বিরতির ঠিক আগেই ফের বৃষ্টি নামে এদিন। ততক্ষণে ভারত বোর্ডে তুলে নিয়েছে ৩৪৪/৩। মাত্র ১২ রান এগিয়ে রয়েছে কিউয়িরা ভারতের থেকে।


শুক্রবার দিনের শেষ বলে ৭০ রানে প্যাভিলিয়নে ফিরে গিয়েছিলেন বিরাট। সমসংখ্যক রান করে অপরাজিত ছিলেন সরফরাজ। ভারত তখনও কিউয়িদের থেকে ১২৫ রানে পিছিয়ে ছিল। এদিন ২৩১/৩ থেকে খেলা শুরু হয়। সরফরাজের সঙ্গে ব্যাট করতে নামেন পন্থ। নিউজিল্যান্ডের ব্যাটিংয়ের সময় কিপিং করতে পারেননি। হাঁটু ফুলে গিয়েছিল পন্থের। যদিও এদিন সকাল থেকেই ব্যাটিং, নকিং করতে দেখা গিয়েছিল পন্থকে। সরফরাজের সঙ্গে পার্টনারশিপ গড়ার ভীষণ প্রয়োজন ছিল। এই পরিস্থিতিতে দুই তরুণই চালিয়ে খেলার সিদ্ধান্ত নেন। সরফরাজ নিজের প্রথম শতরান পূরণ করতে ১১০ বল নেন। ১৩টি বাউন্ডারি ও ৩টি ছক্কা হাঁকিয়ে শতরান হাঁকান। পন্থও পিছিয়ে ছিলেন না। পাঁচটি বাউন্ডারি ও ৩টি ছক্কার সাহায্য়ে নিজের আরও একটি অর্ধশতরান পূরণ করে ফেললেন। দলকেও বিদপসীমা থেকে বের করে নিয়ে আসেন ২ জনে। এখনও লিড নিতে না পারলেও দুজনের পার্টনারশিপে একটি বিষয় পরিষ্কার যে বড় কোনও অঘটন না হলে এই ম্যাচ ড্রয়ের দিকেই এগোচ্ছে। নির্ধারিত ভারতী সময় সকাল ১১.৩০টায় লাঞ্চ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু বেলা ১১টার দিকে বৃষ্টি নামায় খেলা আবার স্থগিত রাখা হয়। এরপর থেকে এখনও মাঠে নামতে পারেনি দু দল। কখন খেলা শুরু হয় তার ওপরই ম্য়াচের ভাগ্য নির্ভর করবে।