দোহা: ব্যাট হাতে মোট ২৩৪ রান করে রাইজিং স্টার্স এশিয়া কাপের সর্বোচ্চ স্কোরার বৈভব সূর্যবংশী। শুক্রবারও ব্যাট হাতে ঝড় তুলল সেমিফাইনালে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে। তার পরেও তাকে সুপার ওভারে ব্যাটই করতে পাঠাল না ভারত। বাংলাদেশের কাছে সেমিফাইনালে হেরে বিদায় নিল ভারত। কেন বৈভবকে এভাবে উপেক্ষা করা হল সুপার ওভারে, কেউ কোনও যুক্তিগ্রাহ্য কারণই খুঁজে পাচ্ছেন না। কী যুক্তি দিলেন ভারত অধিনায়ক জিতেশ শর্মা?

Continues below advertisement

ম্যাচের পর জিতেশ বলেছেন, 'ভাল ম্যাচ। আমাদের কাছে বড় শিক্ষা। আমি দায় নিচ্ছি। সিনিয়র হিসাবে আমার উচিত ছিল ম্যাচটা শেষ করে আসা। তবে হার নয়, শিক্ষাটাই বড়। এই ছেলেরাই হয়তো একদিন ভারতের হয়ে বিশ্বকাপ জিতবে। প্রতিভার দিক থেকে ওরা গগনচুম্বী। শেখা আর অভিজ্ঞতার ওপর সব কিছু নির্ভর করছে। আমার উইকেটটাই ম্যাচের টার্নিং পয়েন্ট। আমি জানি কীভাবে এই ধরনের পরিস্থিতি সামলাতে হয়।'

এরপরই ভারত অধিনায়কের সংযোজন, 'কাউকে দোষারোপ করছি না। ২০ ওভার আমাদের নিয়ন্ত্রণেই ছিল ম্যাচ। বৈভব ও প্রিয়াংশ পাওয়ার প্লে-র ওস্তাদ। তবে ডেথ ওভারে আমি, আশু ও রামন নিজেদের ইচ্ছেমতো বল ওড়াতে পারি। তাই সুপার ওভারে কাদের ব্যাট করানো হবে সেটা দলের ও আমার সিদ্ধান্ত।'

Continues below advertisement

ভারতের যুব দলের বা এ দলের জার্সি পরেও বিধ্বংসী বৈভব। এশিয়া কাপ রাইজিং স্টার্স টুর্নামেন্টেও দুরন্ত ছন্দে ছিল। শুক্রবার সেমিফাইনালে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে বৈভবই ভারতের সর্বোচ্চ স্কোরার। ইনিংস ওপেন করে মাত্র ১৫ বলে ৩৮ রানের ঝোড়ো ইনিংস। ৪টি ছক্কা। ২৫৩.৩৩ স্ট্রাইক রেটে রান করেছে বৈভব।

অথচ সেই বৈভবকেই সুপার ওভারে ব্যাট করতে পাঠাল না ভারত। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে নাটকীয় ম্যাচের ফয়সালা হল সুপার ওভারে। যেখানে প্রথমে ব্যাট করে কোনও রান না করেই অল আউট হয়ে গেল ভারত। সুপার ওভারের নিয়ম হল, ৬ বলের মধ্যে ২ উইকেট পড়ে গেলেই সেই দলকে অল আউট ঘোষণা করা হবে। ভারত রিপন মণ্ডলের পরপর ২ বলে হারায় জিতেশ শর্মা ও আশুতোষ শর্মাকে। বোর্ডে কোনও রানই ওঠেনি। ০ রানে অল আউট ভারত।

আর বৈভব ড্রেসিংরুমে বসে বসে দেখল যে, ব্যাটিং ব্যর্থতার লজ্জাজনক ছবি উপহার দিচ্ছে সতীর্থরা। স্নায়ুর চাপ ধরে রাখতে না পেরে সুপার ওভারে ২ বলেই শেষ লড়াই।