(Source: ECI | ABP NEWS)
Bengal Pro T20: বৃষ্টিতেও মুকুটরক্ষার লড়াইয়ে সফল কলকাতা, ইডেনে মিতার দাপটে পরপর দুবার ট্রফি জয়
Kolkata Tigers: ডাকওয়ার্থ লুইস পদ্ধতিতে লাক্স শ্যাম কলকাতা টাইগার্সকে ১৬ রানে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়।

সন্দীপ সরকার, কলকাতা: একের পর এক ম্যাচ বাতিল। প্রকৃতির রোষানলে বেঙ্গল প্রো টি-২০ (Bengal Pro T20) টুর্নামেন্ট আয়োজন নিয়ে চূড়ান্ত নাজেহাল হতে হয়েছে সিএবি-কে। শনিবার ভোররাত থেকে যখন অঝোরে বৃষ্টি হচ্ছিল, অনেকেই আশঙ্কা করেছিলেন, ইডেনে বেঙ্গল প্রো টি-২০ টুর্নামেন্টের জোড়া ফাইনাল করা যাবে তো? গত মরশুমে বৃষ্টিতে পুরুষদের ফাইনাল ভেস্তে যাওয়ার তিক্ত স্মৃতি যে এখনও টাটকা!
ক্রিকেট ঈশ্বর হয়তো চেয়েছিলেন, এত আয়োজন বৃষ্টিতে ভেস্তে যেন না যায়। বেলা গড়াতেই বৃষ্টি ধরে এল। মাঠ কভারে ঢেকে রাখা ছিল। ধীরে ধীরে সেই কভারও সরানো হল ইডেনের বুক থেকে। নির্ধারিত সময়েই শুরু হল মহিলাদের বিভাগে লাক্স শ্যাম কলকাতা টাইগার্স ও সোবিস্কো স্ম্যাশার্স মালদার (Lux Shyam Kolkata Tigers vs Sobisco Smashers Malda) ফাইনাল। টস জিতে কলকাতা টাইগার্সকে প্রথমে ব্যাট করতে পাঠিয়েছিল স্ম্যাশার্স মালদা। ১৯.৫ ওভারে ১০৪ রানে অল আউট হয়ে যায় কলকাতা টাইগার্স। মিতা পাল সর্বোচ্চ ৫১ রান করেন। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ৫.২ ওভারে স্ম্যাশার্স মালদার স্কোর যখন ২২/৪, প্রবল বৃষ্টি নামে। মাঠ ফের ঢাকা পড়ে যায় প্লাস্টিকের কভারে।
বৃষ্টি আর থামেনি। চলে প্রায় ঘণ্টা দুয়েক। যখন থামল, পুরুষদের ফাইনাল শুরু করার তোড়জোড়। মাঠ শুকনো রাখতে কভার সরানোর ঝুঁকিই নেওয়া হয়নি। ডাকওয়ার্থ লুইস পদ্ধতিতে লাক্স শ্যাম কলকাতা টাইগার্সকে ১৬ রানে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়।
এ নিয়ে পরপর দুবার মহিলাদের বেঙ্গল প্রো টি-২০ টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন হল কলকাতা টাইগার্স। শনিবার যাদের জয়ের কারিগর মিতা পাল। কলকাতা টাইগার্সের অধিনায়ক ব্যাটে-বলে দাপট দেখালেন। প্রথমে ব্যাটে হাফসেঞ্চুরি। পরে বল হাতে ১২ রানে ২ উইকেট। ম্যাচের সেরা হিসাবে তাঁকে ছাড়া আর কারও নাম ভাবার অবকাশই ছিল না। কলকাতা টাইগার্সের হয়ে প্রতিভা মাণ্ডিও ১০ রানে ২ উইকেট নিয়ে নজর কাড়েন।
টি-২০ ক্রিকেটের নিয়ম হল, বৃষ্টিবিঘ্নিত ম্যাচে দুই ইনিংসের অন্তত ৫ ওভার করে খেলা হলে ম্যাচের ফয়সালা হবে। স্ম্যাশার্স মালদা ইনিংসের ৫ ওভার শেষ হতেই তাই নির্ধারিত হয়ে যায় যে, ম্যাচের ফলাফল হবে। মালদার হয়ে বল হাতে নজর কেড়েছিলেন জেনি পারভিন (৭ রানে তিন উইকেট), অরুণ বর্মন (১৭ রানে ২ উইকেট)। রিয়া কুমার মাহাতো ও ঝুমিয়া খাতুন একটি করে উইকেট নেন।




















