কলকাতা: তিনি টিম ইন্ডিয়ার (Team India) সদস্য ছিলেন। আইপিএল (IPL) চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন কেকেআরের (KKR) জার্সিতে। দীর্ঘদিন বাংলা ক্রিকেট দলের অধিনায়ক ছিলেন। গত মরশুমে ক্রিকেট থেকে অবসর নিয়েছেন।


অবসর নিলেও বাইশ গজ থেকে দূরে নেই মনোজ তিওয়ারি (Manoj Tiwary)। সিএবি-র ভিশন প্রকল্পে ব্যাটিং পরামর্শদাতা হিসাবে যুক্ত হয়েছেন। এবার কি পুরোদস্তুর কোচ হিসাবে নতুন ইনিংস শুরু করতে চলেছেন রাজ্যের ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী?


সম্ভাবনা উড়িয়ে দিচ্ছেন না বঙ্গ ক্রিকেটের কিংবদন্তি। জাতীয় ক্রিকেট অ্যাকাডেমিতে বিশেষ ক্লাসে ডাক পেয়েছিলেন মনোজ। যে কর্মশালায় গোটা দেশ থেকে ডেকে নেওয়া হয়েছিল ২৩-২৪ জন প্রাক্তন ক্রিকেটারকে। আর পি সিংহ, ধবল কুলকার্নিরা ছিলেন শিবিরে। বাংলা থেকে ছিলেন একমাত্র মনোজ। শিবিরে যোগ দেওয়ার শর্ত ছিল, হয় ভারতের হয়ে খেলতে হবে। অথবা ৭৫টি প্রথম শ্রেণির ম্যাচ খেলতে হবে।


ক্রিকেটার হিসাবে কেরিয়ারে ইতি টানার পর নতুন ইনিংসের জন্য স্টান্স নিচ্ছেন? শুক্রবার সন্ধ্যায় বেঙ্গালুরু থেকে মোবাইল ফোনে এবিপি আনন্দকে মনোজ বললেন, 'জাতীয় ক্রিকেট অ্যাকাডেমিতে একটা ওয়ার্কশপ ছিল। হাতে সময় ছিল বলে করে রাখলাম। অবশ্যই কোচিংয়ে আসতে চাই। ক্রিকেট এখন দ্রুত গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে। আধুনিক ক্রিকেটে কোচিং আরও গঠনগতভাবে কী করে করানো যায়, বাচ্চাদের আরও ভালভাবে কী করে শেখানো যায়, সেটাই শিখে রাখছি। যা কিছু পেয়েছি, সব ক্রিকেট থেকেই পেয়েছি। যদি কিছু ফিরিয়ে দেওয়া যায়, তাই নিজেকে তৈরি রাখছি।'


চারদিন অনলাইনে ক্লাস হয়েছে। তারপর পাঁচদিন অফলাইন ক্লাস হয়েছে বেঙ্গালুরুর জাতীয় ক্রিকেট অ্যাকাডেমিতে। শুক্রবার রাতেই কলকাতায় ফিরছেন মনোজ। বেঙ্গালুরু বিমানবন্দরে যাওয়ার পথে বলছিলেন, 'ভবিষ্যতে পুরো সময়ের কোচিং করানোর প্রস্তাব পেলে কী সিদ্ধান্ত নেব, বলা তো যায় না। তাই ফাস্টট্র্যাক লেভেল টু কোচিং কোর্সটা করে নিলাম। জ্ঞানটা অর্জন করে রাখলাম। আমার হাতে তরুণ অনেক ছেলের ভবিষ্যৎ নির্ভর করে থাকতে পারে। গত বছর খেলা ছেড়েছি। এখন মাঠের বাইরে থেকে বুঝতে পারি, বাইশ গজের ঠিক ভুল হতো, কীভাবে হতো, কেন হতো।'


জাতীয় ক্রিকেট অ্যাকাডেমিতে কার কাছে কোচিংয়ের ক্লাস করলেন? 'জাতীয় ক্রিকেট অ্যাকাডেমির প্রধান ভি ভি এস লক্ষ্মণ ছিলেন। ব্যাটিংয়ের জন্য অপূর্ব দেশাই, উইকেটকিপিং ও বোলিং দেখাচ্ছিলেন সঞ্জয় মূল্যাসারি, রাজীব দত্ত, সাইকোলজির বিভিন্ন দিক বোঝালেন সুজিত সোমসুন্দর,' বলছিলেন মনোজ। যোগ করলেন, 'জ্ঞানের ভাণ্ডার পরিপূর্ণ। খেলার মধ্যে শরীর একটা বড় অংশ। বায়োমেকানিক্সের খুঁটিনাটি জেনেছি এই ওয়ার্কশপে। প্রত্যেক শট মারতে গিয়ে শরীরের বিভিন্ন অংশে ঠিক কী পরিবর্তন হয়, তা জানতে পেরেছি।'


আগামী মরশুমে কালীঘাট ক্লাবের হয়ে স্থানীয় ক্রিকেটে খেলবেন। আর কোচ হিসাবে সুযোগ পেলেই ঝাঁপাবেন, ইঙ্গিত মনোজের। বললেন, 'নিজেকে তৈরি রাখছি। খুব ভাল শিখেছি। অনেক পরিশ্রম করেছি। ভবিষ্যতের জন্য শিখে রাখছি। কোন শিক্ষা কখন কাজে দেবে কেউ বলতে পারে না।'


আরও পড়ুন: ঘরের মাঠে তুরুপের তাস, বাংলাদেশের বিরুদ্ধে মাঠে নামার আগে স্ত্রীর উপহার পেলেন অশ্বিন