Mohammed Shami: শুরুতে এলোমেলো, শেষ লগ্নে নাটকীয় ওভার, ইডেনে কেমন গেল শামির দিন?
Eden Gardens: ২১৩ রানে গুটিয়ে গেল উত্তরাখণ্ডের প্রথম ইনিংস। সব মিলিয়ে শামির সারাদিনের বোলিং পরিসংখ্যান ১৪.৫-৪-৩৭-৩।

সন্দীপ সরকার, কলকাতা: ভারতের সিনিয়র নির্বাচক কমিটির বিরুদ্ধে বোমা ফাটিয়েছিলেন মঙ্গলবার। তাঁর ফিটনেস নিয়ে খবর না রাখার জন্য অজিত আগরকর-সহ পুরো কমিটিকে রীতিমতো কটাক্ষ করেছিলেন।
তার চব্বিশ ঘণ্টার মধ্যে ইডেনে নেমেছিলেন মহম্মদ শামি (Mohammed Shami)। বাংলার ফাস্টবোলার ঘরোয়া ক্রিকেটে বাংলার জার্সিতে ফিরে কেমন বল করেন, দেখতে কৌতূহলী ছিলেন অনেকে। বুধবারই রঞ্জি ট্রফি অভিযান শুরু করল বাংলা। ইডেনে ঘরের মাঠে চার পেসার খেলানো হচ্ছে। মধ্যমণি অবশ্যই শামি। টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিং নিয়েছিলেন বাংলার অধিনায়ক অভিমন্যু ঈশ্বরণ। সকালের আবহ কাজে লাগিয়ে শামি বল হাতে আগুন ছোটান কি না, দেখার অপেক্ষায় ছিলেন সকলে।
কিন্তু প্রথম স্পেলে হতাশ করলেন বাংলার পেসার। ৪ ওভার বল করলেন। কোনও উইকেট পেলেন না। বরং কিছুটা যেন এলোমেলো লাগল। যে স্যুইং আর গতির জন্য বিখ্যাত বাংলার পেসার, বল সেই নড়াচড়া করল না। কিছুটা যেন ছন্দ হাতড়ে বেড়ালেন। শারীরিকভাবেও যে দারুণ জায়গায় আছেন, দেখে মনে হচ্ছিল না।
তবে কেন তিনি দেশের অন্যতম সেরা পেসার, কেন যশপ্রীত বুমরাকে আরও ভয়ঙ্কর দেখায় উল্টো দিক থেকে তিনি থাকলে, সেটা শেষ স্পেলে প্রমাণ করলেন শামি। নাটকীয় শেষ স্পেলে এক ওভারে তিন উইকেট তুললেন। উত্তরাখণ্ড ইনিংসের লেজ মুড়িয়ে দিলেন শামি। সব মিলিয়ে ৫টি স্পেলে বোলিং করেছেন। প্রথম স্পেল ৪ ওভারের। পরের তিনটি স্পেল ৩ ওভার করে। শেষ স্পেল ১.৫ ওভারের। সদ্য চোট সারিয়ে ফেরা ফাস্টবোলারকে ছোট ছোট স্পেলে ব্যবহার করেন বাংলার অধিনায়ক।
শেষ স্পেলে ১১ বলে ম্যাজিক দেখালেন ডানহাতি পেসার। হাই কোর্ট এন্ড থেকে বল করে এক ওভারে জানমেজয় জোশী ও দেবেন্দ্র বড়ার স্টাম্প ছিটকে দিলেন। রাজন কুমার কট বিহাইন্ড হলেন। সিএবি-র ক্লাব হাউসের দোতলায় বসে তখন খেলা দেখছেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। জাতীয় দলের প্রাক্তন অধিনায়কের সামনেই শেষ স্পেলে আগুন শামির। ২১৩ রানে গুটিয়ে গেল উত্তরাখণ্ডের প্রথম ইনিংস। সব মিলিয়ে শামির সারাদিনের বোলিং পরিসংখ্যান ১৪.৫-৪-৩৭-৩।
ম্যাচের শেষে বাংলার কোচ লক্ষ্মীরতন শুক্ল জানিয়ে গেলেন, শুরুতে আরও ভাল বোলিং করা যেত। তবে কারও দিকে আঙুল তুলছেন না। শামিকে কেমন দেখলেন? লক্ষ্মী বললেন, 'ঠিক আছে। অনেকদিন পর ম্যাচ খেলছে। চোট সারিয়ে উঠেছে কিছুদিন আগে। যত বল করবে, আরও ছন্দে ফিরবে।'



















