করাচি: সকলকে চমকে দিয়ে সীমিত ওভারের ক্রিকেটে পাকিস্তানের নেতৃত্ব ছেড়েছেন বাবর আজম (Babar Azam left captaincy)। এক বছরের মধ্যে দুবার নেতৃত্ব ছেড়ে কার্যত বিরল নজির গড়েছেন। বাবর জানিয়েছেন, তাঁর নেতৃত্ব ছাড়ার সিদ্ধান্তের নেপথ্যে রয়েছে নিজের পারফরম্যান্সে মনোনিবেশ করার পরিকল্পনা।
কিন্তু সত্যিই কি তাই? ব্যাটিংয়ে মন দেবেন বলেই নেতৃত্ব ছেড়েছেন বাবর আজম? নাকি নেপথ্যে রয়েছে অন্য কোনও অঙ্ক?
আচমকাই সামনে উঠে আসছে এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। কয়েকটি সূত্রের দাবি, জাতীয় দলের কোচ গ্যারি কার্স্টেন পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডে বিরূপ রিপোর্ট জমা দেওয়ার কারণেই নেতৃত্ব ছেড়েছেন বাবর। জুলাইয়ে টি-২০ বিশ্বকাপের পরই বাবরের নেতৃত্ব নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল। এমনকী, পাকিস্তান দলের মধ্যে বিভাজন নিয়েও একাধিক মুচমুচে খবর সেই সময় চর্চায় ছিল।
নাম প্রকাশ করা যাবে না, সেই শর্তে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের এক কর্তা বলেছেন, 'কার্স্টেনের পর্যবেক্ষণ ও রিপোর্টে মোটেও খুশি ছিল না বাবর। এমনকী, সহকারী কোচ আজহার মামুদকে নিয়েও অসন্তুষ্ট ছিল ও। বাবরের মনে হয়েছিল পাকিস্তানের যাবতীয় ব্যর্থতার দায় একমাত্র তাঁর ঘাড়ে চাপানো হয়েছে।'
ওই কর্তা আরও বলেছেন, 'কার্স্টেনের বোর্ডকে দেওয়া রিপোর্টের একটা অংশ ফাঁস হয়ে যাওয়ার পরেই বাবর জানিয়ে দিয়েছিল যে, ও আর জাতীয় দলকে নেতৃত্ব দিতে আগ্রহী নয়।' পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের কেউ কেউ বলছেন, বাবর নাকি বোর্ডের কাছে এমন অভিযোগও করেন যে, পিসিবি তাঁর অতীত পারফরম্যান্স ও ফলাফলকে কোনও গুরুত্বই দেয়নি। তাঁর ওপর আস্থাও দেখায়নি।
কী ছিল কার্স্টেনের রিপোর্টে? সূত্রের খবর, কার্স্টেন নাকি ইংল্যান্ড সফরে ও টি-২০ বিশ্বকাপের সময় পাকিস্তান ড্রেসিংরুমের আবহ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন। বাবর নেতৃত্বের চাপ সামলাতে পারবেন কি না, তা নিয়েও সন্দেহ প্রকাশ করেছিলেন কার্স্টেন।
বাবরের পরিবর্তে কাকে সীমিত ওভারের ক্রিকেটে পাকিস্তানের অধিনায়ক করা হবে, তা নিয়ে এখনই কিছু সিদ্ধান্ত নিতে চাইছে না পাক বোর্ড। ঘোষণার আগে সব দিক খতিয়ে দেখতে চান পিসিবি কর্তারা।
আরও পড়ুন: পরের ওয়ান ডে বিশ্বকাপেও অধিনায়ক থাকছেন? রোহিতকে দেখেই আব্দার জনতার, দেখুন ভিডিও