Ranji Trophy: তিন খারাপ শটের খেসারত, ঘরের মাঠে গুজরাতের বিরুদ্ধে অস্বস্তিতে বাংলা, লড়ছেন সুমন্ত
Eden Gardens: এই ম্যাচ দেখতে ইডেনে এসেছেন জাতীয় দলের নির্বাচক রুদ্রপ্রতাপ সিংহ। প্রাক্তন পেসারের নোটবুকে বাংলার কারও নাম উঠল কি?

সন্দীপ সরকার, কলকাতা: তিনটি খারাপ শট। তিন তীর হয়ে যেন বিঁধল বাংলা শিবিরে।
প্রথমটি খেললেন এমন একজন, যিনি সারাদিন মাথা নীচু করে ক্রিজে পড়ে থাকতে সিদ্ধহস্ত। অনুষ্টুপ মজুমদার। শনিবার ইডেনে (Eden Gardens) ১৩ বল আটকে রইলেন। ১৪তম বলে সংযম হারালেন। মিড অফের ওপর দিয়ে মারতে গিয়ে উঁচু ক্যাচ দিয়ে ফিরলেন কোনও রান না করেই। অনুষ্টুপের আউট নিয়ে দিনের শেষে অভিষেক পোড়েলও বলে গেলেন, 'রুকুদাকে এরকম শট খেলতে গিয়ে আউট হতে দেখিনি কোনওদিন।'
দ্বিতীয়টি সুদীপ ঘরামির। হাফসেঞ্চুরি করে ফেলেছিলেন। ক্রিজে জমে যাওয়ার পরেও অহেতুক আগ্রাসী হতে গেলেন। বাঁহাতি স্পিনার সিদ্ধার্থ দেশাইয়ের বলে স্টেপ আউট করে বোল্ড হলেন। ৯০ বলে ৫৬ রান করে ফিরলেন।
তৃতীয় খারাপ শট এল যাঁর কাছ থেকে, তিনি এই মরশুমে পেয়েছেন বড় দায়িত্ব। অভিষেক পোড়েলকে সহ অধিনায়ক করেছে বাংলা। সব কিছু ঠিকঠাক চললে ত্রিপুরার বিরুদ্ধে পরের ম্যাচে তিনি বাংলাকে নেতৃত্বও দেবেন। অভিমন্যু ঈশ্বরণ ভারত এ দলের হয়ে খেলতে চলে যাবেন বলে। বাঁহাতি ব্যাটার এদিন হাফসেঞ্চুরি করলেন। আচমকা অফস্টাম্পের অনেক বাইরের বলে স্যুইপ মারতে গিয়ে কট বিহাইন্ড হলেন। এতই খারাপ শট যে, মাঠ থেকে বেরনোর সময় দাদা ঈশান পোড়েলের ধমকও খেতে হল চন্দননগরের তরুণকে। পাশাপাশি অভিষেকের আউট নিয়ে বিতর্কও রয়েছে। বাংলা শিবিরে চাপা গুঞ্জন, বল অভিষেকের ব্যাটে লাগেনি। তাও আঙুল তুলেছেন আম্পায়ার।
গুজরাতের বিরুদ্ধে তিন ব্যাটারের উইকেট ছুড়ে দেওয়ার খেসারত দিতে হল বাংলাকে। ঘরের মাঠে প্রথম দিন আরও স্বস্তিতে থাকার কথা ছিল কোচ লক্ষ্মীরতন শুক্লর ছেলেদের। কিন্তু আলো কমে আসার জন্য বিকেল ৩টে ৫৬ মিনিটে যখন মাত্র ৭২ ওভার খেলা হওয়ার পর আম্পায়াররা দিনের সমাপ্তি ঘোষণা করলেন, বাংলার স্কোর ২৪৪/৭। গুজরাতের বিরুদ্ধে ঘরের মাঠে কিছুটা হলেও খচখচানি রয়ে গেল। টস জিতে বাংলাকে ব্যাট করতে পাঠিয়ে বরং চাপ তৈরি করল গুজরাতই। ক্রিজে থেকে লড়াই করছেন শুধু সুমন্ত গুপ্ত। আগের ম্যাচেও হাফসেঞ্চুরি করেছিলেন। গুজরাতের বিরুদ্ধে ৫৮ রান করে ক্রিজে।
অভিষেক পোড়েল মেনে নিলেন, খারাপ শট খেলেছেন কয়েকজন। দিনের খেলার শেষে বলছিলেন, 'আমার ক্ষেত্রে লেগসাইডে গ্যাপ দেখেই স্যুইপ মারতে গিয়েছিলাম। দুর্ভাগ্য যে আউট হয়ে গেলাম। তবে ওই সময় শটটা না খেললেও হতো।'
এই ম্যাচ দেখতে ইডেনে এসেছেন জাতীয় দলের নির্বাচক রুদ্রপ্রতাপ সিংহ। প্রাক্তন পেসারের নোটবুকে বাংলার কারও নাম উঠল কি?




















