Ranji Trophy: শামি-শাহবাজের দাপট সত্ত্বেও ইডেনে অস্বস্তিতে বাংলা, বৃষ্টি বাঁচিয়ে দেবে গুজরাতকে? রঞ্জি ম্যাচের আপডেট
Eden Gardens: নির্ধারিত সময়ের চেয়ে ১ ঘণ্টা ১০ মিনিট আগেই দিনের খেলায় যবনিকা পড়ল। বাংলার প্রথম ইনিংসে তোলা ২৭৯ রানের জবাবে দ্বিতীয় দিনের শেষে গুজরাতের স্কোর ১০৭/৭।

সন্দীপ সরকার, কলকাতা: দু'দিনে যেখানে হওয়ার কথা ১৮০ ওভারের খেলা, মন্দ আলো আর বৃষ্টির জন্য সেখানে দুদিন মিলিয়ে হল মোটে ১৩৪ ওভার ১ বলের খেলা। শনিবার ৭২ ওভার। রবিবার ৬২.১ ওভার। ইডেন গার্ডেন্সে (Eden Gardens) বাংলা আর গুজরাতের বিরুদ্ধে সরাসরি জয়ের সুযোগের মাঝে কাঁটার মতো দাঁড়িয়ে রয়েছে ঘূর্ণিঝড় আর আবহাওয়ার রক্তচক্ষু।
শনিবার, ম্যাচের প্রথম দিন প্রায় ৫০ মিনিটের খেলা নষ্ট হয়েছিল মন্দ আলোয়। রবিবার দুপুরে বৃষ্টি নামায় মধ্যাহ্নভোজের বিরতির পর একবার ২৫ মিনিট খেলা বন্ধ ছিল। তারপর খেলা শুরু হলেও বিকেল ৩.২০ নাগাদ ফের বন্ধ হল আলো পড়ে আসায়। তার খানিক পরেই ঝমঝমিয়ে নামল বৃষ্টি। নির্ধারিত সময়ের চেয়ে ১ ঘণ্টা ১০ মিনিট আগেই দিনের খেলায় যবনিকা পড়ল। বাংলার প্রথম ইনিংসে তোলা ২৭৯ রানের জবাবে দ্বিতীয় দিনের শেষে গুজরাতের স্কোর ১০৭/৭। বাংলার চেয়ে এখনও ১৭২ রানে পিছিয়ে গুজরাত। এমনকী, ফলো অন এড়াতেও আরও ২৩ রান করতে হবে গুজরাতকে। এখান থেকে কোথায় ইনিংস বা দশ উইকেটে জয় ও বোনাস পয়েন্টের স্বপ্ন দেখবে বাংলা, তা নয়। বরং দিনের শেষে বাংলা শিবিরে প্রার্থনা, অন্তত তিন পয়েন্ট যেন পাওয়া যায়। গুজরাতের প্রথম ইনিংস যেন শেষ করে দেওয়ার মতো সময় দেয় প্রকৃতি।
সুদীপ ঘরামি ও অভিষেক পোড়েলের সঙ্গে বাংলার হয়ে প্রথম দিন ব্যাট হাতে লড়াই চালিয়েছিলেন সুমন্ত গুপ্ত। প্রথম দিন ৫৮ রানে অপরাজিত ছিলেন সুমন্ত। সেই স্কোরের সঙ্গে আর পাঁচ রান যোগ করেই রবিবার আউট হলেন। বাংলার টেল এন্ডারদের মধ্যে শনিবার কিছুটা লড়াই করেছিলেন সূরয সিন্ধু জয়সওয়াল। রবিবার লড়াই করলেন আকাশ দীপ। ওভালে ভারতের হয়ে টেস্টে হাফসেঞ্চুরি করেছিলেন। ইডেনে করলেন ২৯ রান। বাংলার প্রথম ইনিংস শেষ হয় ২৭৯ রানে। ৪ উইকেট গুজরাতের বাঁহাতি স্পিনার সিদ্ধার্থ দেশাইয়ের।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে গুজরাত নিয়মিত ব্যবধানে উইকেট হারাতে থাকে। শামি দুরন্ত বোলিং করে ২ উইকেট তুলে নেন। আকাশ দীপ পান এক উইকেট। বাকি চার উইকেট শাহবাজ আমেদের। যাঁর এই ম্যাচে খেলারই কথা ছিল না। শেষ মুহূর্তে তাঁকে খেলানো হয় শুধু ব্যাট করানো হবে ভেবে। কিন্তু বোলিংও করলেন শাহবাজ।
ঘূর্ণিঝড় মান্থা চোখ পাকাচ্ছে। অন্ধ্র প্রদেশে আছড়ে পড়ার সম্ভাবনা থাকলেও বাংলায় বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। মঙ্গলবার আদৌ খেলা করা যাবে কি না সংশয় রয়েছে। সোমবারও কত ওভার পাওয়া যাবে, বলা যাচ্ছে না। বাংলা শিবির আপাতত চাইছে যে করেই হোক গুজরাতের বাকি তিন উইকেট দ্রুত তুলে নিয়ে আগে তিন পয়েন্ট নিশ্চিত করতে।
বাংলার কোচ লক্ষ্মীরতন শুক্ল বলছেন, 'আবহাওয়ার ওপর তো আর কারও হাত নেই। গতবারও বৃষ্টির জন্য ভুগতে হয়েছে। কাল সকালটা আমাদের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ।'




















