কানপুর: একটি মাত্র উইকেট নিলেই রেকর্ডবুকে নাম তুললেন। কিন্তু সেই এক উইকেট নিতেই সময় নিয়ে নিলেন ১০টি ওভার। টেস্ট কেরিয়ারে নিজের ৩০০ তম উইকেট তুলে নিলেন সৌরাষ্ট্রের অলরাউন্ডার। ৭৪ ম্য়াচ সময় নিলেন জাডেজা। কানপুরের গ্রিনপার্কে বাংলাদেশের প্রথম ইনিংসে খালেদ আহমেদের উইকেট নেওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই ৩০০ উইকেটের ক্লাবে ঢুকে পড়েন তারকা অলরাউন্ডার। ভারতের প্রথম বাঁহাতি স্পিনার হিসেবে এই রেকর্ড গড়লেন জাডেজা। 


ভারতের সপ্তম ক্রিকেটার হিসেবে এই নজির গড়লেন জাডেজা। তাঁর আগে রয়েছেন অনিল কুম্বলে, রবিচন্দ্রন অশ্বিন, কপিল দেব, হরভজন সিংহ, ইশান্ত শর্মা ও জাহির খান। এদিনের এই উইকেট নেওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই আরও একটি মাইলস্টোন স্পর্শ করেছেন জাডেজা। তৃতীয় ভারতীয় ক্রিকেটার হিসেবে টেস্টে তিনশো উইকেট ও তিন হাজারের বেশি রান ঝুলিতে পুড়েছেন বাঁহাতি। তাঁর আগে শুধু রয়েছেন কপিল দেব ও রবিচন্দ্রন অশ্বিন। বিশ্ব ক্রিকেটে অবশ্য অনেকেই এমন নজির গড়েছেন। ইয়ান বথাম, শেন ওয়ার্ন, ইমরান খান, স্টুয়ার্ট ব্রড, রিচার্ড হ্যাডলি, ড্যানিয়েল ভেট্টোরি, শন পোলক ও চামিন্ডা ভাস এই তালিকায় রয়েছেন। 


জাডেজা বিশ্বের দ্বিতীয় দ্রুততম ক্রিকেটার হিসেবে এই নজির গড়লেন জাডেজা। তাঁর আগে রয়েছেন ইয়ান বথাম। তিনি ৭২ টেস্ট খেলে এই নজির গড়েছিলেন। এখনও পর্যন্ত ৭৪ টেস্ট খেলে জাডেজার সংগ্রহ ৩১২২ রান। চারটি শতরান ও ২১টি অর্ধশতরান হাঁকিয়েছিলেন। বল হাতে ১৩ বার পাঁচ বা তার বেশি উইকেট নিয়েছেন এক ইনিংসে। 


শনিবার ও রবিবার একটি বলও খেলা সম্ভব হয়নি গ্রিনপার্কে। এদিন যদিও নির্ধারিত সময়েই খেলা শুরু হয়েছিল। ১০৭/৩ থেকে ব্যাটিং শুরু করেছিলেন বাংলাদেশের ২ ব্যাটার মোমিনুল হক ও মুশফিকুর রহিম। এদিনের প্রথম ওভার বল করেন আকাশ দীপ। বুমরাকে দ্বিতীয় ওভারে নিয়ে আসেন রোহিত। আর দিনের প্রথম ধাক্কাটাও দেন বুমরাই। মুশফিকুর ১১ রানের মাথায় ভারতের সেরা পেসারের শিকার হয়ে ফিরে যান। বোল্ড হয়ে যান তিনি। ১৩ রান করে ফিরে যান লিটন দাসও। তাঁকে প্যাভিলিয়নে ফেরান মহম্মদ সিরাজ। শাকিবও রান পাননি। মাত্র ৯ রান করে আউট হন তিনি। এরপর বেশিক্ষণ আর বাংলাদেশ টিকে থাকতে পারেনি। ১০৭ রানে অপরাজিত থেকে যান মোমিনুল। বাংলাদেশ ২৩৩ রানে অল আউট হয়ে যায়। ৩ উইকেট নেন বুমরা। ২ টো করে উইকেট পান অশ্বিন, সিরাজ, আকাশ দীপ।