রাওয়ালপিণ্ডি: পাকিস্তানের মাটিতে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি (Champions Trophy 2025) খেলতে যাওয়ার অনুমতি মেলেনি ভারতীয় ক্রিকেট দলের (Indian Cricket Team)। ২০০৬ সালের পর থেকে নিরাপত্তা সংক্রান্ত ইস্যু নিয়ে বারবার পাকিস্তানের মাটিতে কোনও টুর্নামেন্ট খেলতে যাওয়ার বিষয়ে নিমরাজি থেকেছে বিসিসিআই ও ভারত সরকার। এই প্রসঙ্গে পিসিবির তরফে থেকেও বিসিসিআইয়ের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করে বিবৃতি প্রকাশ করা হয়েছে। কিন্তু এবার প্রাক্তন পাক পেসার শোয়েব আখতার বিজেপি সরকারকে টেনে আনলেন এই ইস্যুতে। তিনি প্রশ্ন তুলে দিলেন যে আদৌ কি বিসিসিআইয়ের হাতে কোনও ক্ষমতা আছে? পুরোটার নেপথ্যে বিজেপি সরকার এমনটাই মনে করেন রাওয়ালপিণ্ডি এক্সপ্রেস। 


আগামী বছর ফেব্রুয়ারির ১৯ তারিখ থেকে শুরু হওয়ার কথা চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি। কিন্তু এখনও সূচি প্রকাশিত হয়নি। ভারতীয় ক্রিকেট দল খেলতে আসবে না জানিয়ে দিয়েছে বিসিসিআই। এরপর থেকেই টালমাটাল পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। বুধবার ভারতের দৃষ্টিহীন ক্রিকেট দলও টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলতে সে দেশে যাবে না জানিয়ে দিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে এশিয়া কাপের মত হাইব্রিড মডেলে যদি টুর্নামেন্ট আয়োজন করা যায়, সেই ইস্যুতেও পাক সরকারের সঙ্গে আলোচনা করছে পিসিবি। কিংবদন্তি স্পিডস্টার বলছেন, ''এটা বিসিসিআইয়ের হাতে কিছুই নেই। পুরোটাই সরকারের হাতে রয়েছে। বিজেপি সরকারের উপর নির্ভর করছে পুরোটা। আমাদের একটা উপায় বের করতেই হবে আশা না হারিয়ে। তবে বিজ্ঞপনের ৯৫ শতাংশের ওপর যে ভারতের থেকেই আসে, তা কিন্তু আইসিসি জানে।''


উল্লেখ্য, কিছুদিন আগে পিসিবি ঠিক করেছিল, সেই ট্রফি নিয়ে যাওয়া হবে স্কার্দু, মুরি ও মুজফফরাবাদে। এই তিন শহরই পাক অধিকৃত কাশ্মীরে। পিসিবি এই তালিকা জানানোর সঙ্গে সঙ্গেই তীব্র আপত্তি জানায় BCCI। আইসিসি-কে ভারতের আপত্তির কথা জানান জয় শাহ। শান্তিশৃঙ্খলা বিঘ্নিত হওয়ার আশঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি। সীমান্তবর্তী এলাকায় অশান্তি তৈরি হতে পারে বলেও উদ্বেগের কথা জানায় ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড। পাশাপাশি খেলার মাঠে রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ হচ্ছে বলেও অভিযোগ করা হয়। প্রাথমিকভাবে পাকিস্তানের লাহৌর, রাওয়ালপিন্ডি ও করাচিতে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আসর বসার কথা। কিন্তু সেই নিয়ে জট অব্যাহত। তবে খবর অনুযায়ী আইসিসির তরফে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডকে (PCB) হাইব্রিড মডেলে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি আয়োজনের জন্য রাজি করানো হচ্ছে। বিসিসিআইয়ের তরফেই এক নিরপেক্ষ স্থানে ভারতের ম্যাচ আয়োজন করার জন্য বলা হয়েছিল।