দুবাই: প্রথম ম্য়াচে কিউয়িদের বিরুদ্ধে হার কিছুটা ব্যাকফুটে ফেলে দিয়েছে দলকে। টি-টোয়েন্টি () বিশ্বকাপে খেতাব জয়ের অন্যতম দাবিদার হিসেবে এসেছিল ভারতীয় মহিলা ক্রিকেট দল। কিন্তু নিজেদের টুর্নামেন্টে অভিযান শুরুতেই ধাক্কা খেতে হয়েছে। নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে ৫৮ রানে হার। এই পরিস্থিতিতে পাকিস্তান ম্য়াচ অনেকটাই ডু অর ডাই ছিল স্মৃতি, শেফালিদের সামনে। টস হারার পর পাকিস্তান অধিনায়ক ব্যাটিং নিলে বড় দায়িত্ব ছিল রেনুকা, আশা, শ্রেয়াঙ্কাদের ওপরে। তাঁরা কত কম রানের মধ্যে পাক ব্য়াটিংকে আটকে রাখতে পারেন, তার ওপর। সেই কাজে মোটামুটি সফল ভারতের বোলাররা। প্রথম ব্যাট করতে নেমে ৮ উইকেট হারিয়ে ১০৫ রানের বেশি বোর্ডে তুলতে পারেনি পাকিস্তান।


এদিন টস জিতে প্রথমে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন পাকিস্তান ক্যাপ্টেন ফাতিমা সানা। ম্য়াচের প্রথম ওভারেই আঘাত হানেন ভারতের রেনুকা ঠাকুর। তিনি বোল্ড করে দেন গুল ফেরােজাকে। খাতা খোলার আগেই প্যাভিলিয়নে ফিরে যান তিনি। এরপর ধারাবাহিকভাবে উইকেট হারাতে থাকেন পাকিস্তানের ব্যাটাররা। উইকেট কিপার ব্যাটার মুনিবা আলি ওপেনিংয়ে নেমে ১৭ রানের ইনিংস খেলেন। মিডল অর্ডারে কোনও ব্যাটারই ছাপ ফেলতে পারেননি। আশা শোভানা মাঝে একটি সহজ ক্য়াচ মিস করেন। ভারতের বোলারদের মধ্যে সবচেয়ে সফল অরুন্ধতী রেড্ডি। তিনি ৩ উইকেট নেন। ভারতের রেনুকা ঠাকুর ও শ্রেয়াঙ্কা পাতিল ২টো করে উইকেট নেন। তবে সবচেয়ে ইকনমিকাল বোলার ছিলেন রেনুকাই। পাক অধিনায়ক ফাতিমা ১৩ রানের ইনিংস খেলেন। পাক দলের হয়ে সর্বােচ্চ রান করেন নিদা ডার। ৩৪ বলে ২৮ রান করে আউট হন তিনি। 


নিউজিল্য়ান্ডের বিরুদ্ধে প্রথম ম্য়াচে খেলতে নেমেছিল ভারত। সেই ম্য়াচে হারের ফলে পয়েন্ট টেবিলের একেবারে তলানিতে চলে গিয়েছে হরমনপ্রীতের দল। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ম্য়াচে না জিতলে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেমিতে ওঠার দরজা খোলা প্রায় কঠিন হয়ে দাঁড়াবে ভারতের মহিলা ক্রিকেট দলের জন্য। 


হরমনপ্রীতদের সামনে পাকিস্তান ম্যাচ কিন্তু একেবারেই সহজ হবে না। একদিকে যেখানে বিরাট রানে হেরে -২.৯০০ নেট রান রেট নিয়ে পয়েন্ট তালিকায় একেবারে তলানিতে ভারত, সেখানে পাকিস্তান তালিকায় দুইয়ে। ৩১ রানে প্রথম ম্য়াচে শ্রীলঙ্কাকে পরাজিত করে আত্মবিশ্বাসে ফুটছে তাঁরা। তবে খাতায় কলমে অন্তত এই ম্যাচে ভারতকেই ফেভারিট মনে করা হচ্ছে। এক হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের কিন্তু পূর্ণ সম্ভাবনা রয়েছে।