লিসবনঃ ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো মানেই রেকর্ডবুকে নাম তোলা। মাঠে নামলেই নিত্য নতুন মাইলফলক। এবার ফের একবার শিরোনামে পর্তুগিজ সুপারস্টার। দেশের হয়ে খেলতে নেমেই ফের রেকর্ড গড়লেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো। পর্তুগালের হয়ে ১৮১ তম ম্যাচ খেলতে নেমেছিলেন সি আর সেভেন। আর তার সঙ্গে সঙ্গেই জাতীয় দলের জার্সিতে ইউরোপীয় দেশগুলির ফুটবলারদের বিচারে সব থেকে বেশি ম্যাচ খেললেন। টপকে গেলেন স্পেনের সের্জিও রামোসকে, যিনি দেশের হয়ে ১৮০টি ম্যাচে খেলেছেন। কাতারের বিরুদ্ধে প্রীতি ম্যাচেই এই নজির গড়েন রোনাল্ডো। ম্যাচেও ৩-০ ব্যবধানে জয় পায় পর্তুগাল। এদিনের ম্যাচের প্রথম গোলই আসে রোনাল্ডোর পা থেকে। ৩৭ মিনিটের মাথায় প্রথম গোল করে দলকে এগিয়ে দেন তিনি। এরপর পর্তুগালের হয়ে আরও ২ টো গোল করেন জোসে ফন্তে ও আন্দ্রে সিলভা।
সম্প্রতি, ২০২১ সালের জন্য পুরুষদের ব্যাল ডি অর পুরস্কারের ২০ জনের মনোনয়ন তালিকা প্রকাশিত হয়েছে। সেখানে মেসির প্রতিদ্বন্দ্বীর তালিকায় রয়েছেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো। এখনও পর্যন্ত ৬ বার এই শিরোপা জিতেছেন মেসি, যা একটা রেকর্ড। পাঁচটা ব্যাল ডি অর পুরস্কার পেয়েছেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো। এই দুই মহারথীই একমাত্র তিনবারের বেশি এই পুরস্কার জিতেছেন।
২০০৯ সালে বন্ধ হয়ে যাওয়া ফিফা ওয়ার্ল্ড প্লেয়ার অফ দ্য ইয়ার-এর পর শুরু ২০১৬ সালে শুরু হওয়া ফিফার দ্য বেস্ট পুরস্কারের সঙ্গে সমান্তরালভাবে চলে ব্যাল ডি অর। ফিফা ব্যাল ডি অর তৈরির জন্য ছয় বছর ধরে পুরস্কারগুলি একত্রিত করা হয়েছিল। ২০১৮ সাল বাদ দিলে, ২০০৮ সাল থেকে মেসি বা রোনাল্ডো প্রত্যেক বছর পালা পালা করে এই পুরস্কার জিতেছেন। ২০১৮ সালে এটি জেতেন লুকা মডরিচ। গত বছর তার প্রতিষ্ঠার পর প্রথম ছিল যখন কোন বিজয়ী ছিল না।