CSJC Awards: দুই কিংবদন্তির হাতে পুরস্কার তুলে দিলেন সৌরভ, কৃতীবরণের সন্ধ্যায় উজ্জ্বল আকাশও
Calcutta Sports Journalist Club: বর্ষসেরা ক্রিকেটারের পুরস্কার পেলেন পেসার আকাশ দীপ। তাঁর হাতে স্মারক তুলে দিলেন সৌরভ।

সন্দীপ সরকার, কলকাতা: এক মঞ্চে খেলার মাঠের তিন মহাতারকা। একজন ক্রিকেটের কিংবদন্তি। একজন টেনিসের। আর একজন হকির। শুক্রবার সন্ধ্যায় হাজির হয়ে গিয়েছিলেন রাজারহাটে। কলকাতা ক্রীড়া সাংবাদিক ক্লাবের বার্ষিক পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে।
সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় (Sourav Ganguly), লিয়েন্ডার পেজ় (Leander Paes) ও দিলীপ তিরকে (Dilip Tirkey)। প্রথম দুজন কলকাতারই কৃতী। দিলীপের জন্ম, বেড়ে ওঠা ওড়িশায় হলেও কেরিয়ারের একটা গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় কেটেছে এই শহরে। লিয়েন্ডার ও দিলীপ - দুজনকে জীবনকৃতি সম্মান দিল সিএসজেসি। তাঁদের হাতে তুলে দিলেন সৌরভ। যিনি মেয়ের জন্মদিনে একসঙ্গে থাকবেন বলে শুক্রবার রাতেই রওনা হয়ে গেলেন লন্ডনে। তার আগে ঘুরে গেলেন অনুষ্ঠানে।
আজীবন সাফল্যের স্বীকৃতি পেয়ে উচ্ছ্বসিত ভারতীয় টেনিসের কিংবদন্তি লিয়েন্ডার। বছর ছয়েক ধরে কলকাতাতেই থাকছেন পাকাপাকিভাবে। সৌরভের হাত থেকে পুরস্কার নিয়ে লিয়েন্ডার বললেন, 'যে কয়েক দশক টেনিস খেলেছি, আমার হৃদয় ছিল কলকাতায়। ছোট থেকে আমার প্রয়াত বাবা ভেস পেজকে অনুসরণ করেছি। যিনি অলিম্পিক্স পদক জিতেছিলেন। আমি বিশ্বাস করি বাংলার প্রত্যেক বাচ্চা অলিম্পিক্স পদক জিততে পারে। কৃতজ্ঞতা জানাতে চাই সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়কে। ভারতীয় ক্রিকেট দলকে নেতৃত্ব দিয়েছেন, ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের প্রেসিডেন্ট ছিলেন এবং সিএবি প্রেসিডেন্ট হিসাবে বাংলার ক্রিকেটকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন।'
দিলীপ তিরকে বলেন, 'আমার বাড়ি ওড়িশার সুন্দরগড়ে হলেও ১৯৯১-৯২ সালে কলকাতায় দেড় বছর কাটিয়েছি, সল্ট লেকের সাই ক্যাম্পাসে। সেই থেকেই সম্পর্ক কলকাতার সঙ্গে। সবাই মিলে খেলার উন্নতির জন্য কাজ করব।'
সৌরভ বলেন, 'আমার তখন ঠিক কত বয়স ছিল মনে নেই, অনূর্ধ্ব ১৭ দলে খেলতাম। কলকাতা ক্রীড়া সাংবাদিক ক্লাবের বিচারে বর্ষসেরা ক্রীড়াবিদ হয়েছিলাম। যারা পুরস্কার পেলে, সকলকে অভিনন্দন। ১০ বছর বয়সী দাবাড়ুকে বিশেষ অভিনন্দন। আশা করব বাংলা থেকে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হবে ও। ক্রীড়া সাংবাদিকদের সঙ্গে খেলোয়াড়দের সম্পর্ক যেন স্বামী-স্ত্রীর। রাগ, মান-অভিমান হয়। আবার কেউ কাউকে ছেড়ে যেতেও পারি না।'
বর্ষসেরা ক্রিকেটারের পুরস্কার পেলেন পেসার আকাশ দীপ। তাঁর হাতে স্মারক তুলে দিলেন সৌরভ। তাঁকে দেওয়া হল একটি বড় ট্রলি ব্যাগও। সৌরভ মজা করে বললেন, 'আমার গোটা কেরিয়ারে এই ধরনের ব্যাগ সঙ্গী ছিল। এবার আকাশেরও দরকার হবে সব সময়।' যেন বুঝিয়ে দিলেন, ভারতীয় দলে লম্বা সময় দেখতে চান ডানহাতি জোরে বোলারকে।
সিনিয়র বিভাগে বর্ষসেরা ক্রীড়াবিদ হলেন ঐহিকা মুখোপাধ্যায়। জুনিয়র বিভাগে বর্ষসেরা হলেন সর্বার্থ মনি। বর্ষসেরা কোচ হলেন কিবু ভিকুনা। বর্ষসেরা ফুটবলার শুভাশিস বসু। মহিলাদের বিভাগে সঙ্গীতা বাসফোর। তারকা ফুটবলার রবি হাঁসদা। পুরুষদের বছরের সেরা অ্যাথলিট শতায়ু মণ্ডল। মহিলাদের বর্ষসেরা অ্যাথলিট মৌমিতা মণ্ডল। বর্ষসেরা জিমন্যাস্ট প্রতিষ্ঠা সামন্ত। বর্ষসেরা শ্যুটার অভিনব সাউ। বর্ষসেরা রোয়ার শ্বেতা ব্রহ্মচারী। বর্ষসেরা খো খো প্লেয়ার সুমন বর্মন। বর্ষসেরা সাঁতারু সানিথি মুখোপাধ্যায়। বর্ষসেরা হকি প্লেয়ার অভয় এক্কা। বর্ষসেরা ভবিবল প্লেয়ার কুণাল দাস।






















