বার্মিংহাম: আত্মবিশ্বাসের অভাবে ভুগতেন। কমনওয়েলথ গেমসের (CWG 2022) ট্রায়ালে সেরা ফল না করলে হয়তো আত্মবিশ্বাস ফিরেও পেতেন না। এমনকী, গত ২ বছরের হতাশায় অবসর নেওয়ার চিন্তাভাবনাও করেছিলেন।
সেই সাক্ষী মালিক (Sakshi Malik) শুক্রবার কমনওয়েলথ গেমসে সোনা জিতেছেন। কুস্তির ম্যাটে যেন পুনর্জন্ম হল তাঁর। ২০১৬ সালে রিও অলিম্পিক্সে ব্রোঞ্জ জয়ের পর আর বলার মতো কিছুই করেননি। কার্যত হারিয়ে যেতে বসেছিলেন। সেখান থেকে ঘুরে দাঁড়ালেন সাক্ষী। প্রমাণ করলেন, তিনি ফুরিয়ে যাননি।
চোট-আঘাতে জর্জরিত
চোট-আঘাতে দীর্ঘদিন জর্জরিত ছিলেন। সাক্ষী মালিকের কাছে এবারের কমনওয়েলথ গেমস (Commonwealth Games) ছিল প্রত্যাবর্তনের মঞ্চ। যে মঞ্চে জ্বলে উঠলেন সাক্ষী। প্রথম রাউন্ডে ০-৪ ব্যবধানে পিছিয়ে ছিলেন। তারপরেও হারিয়ে দিলেন কানাডার গডিনেজ গঞ্জালেসকে। জিতে নিলেন সোনা।
মহিলাদের ৬২ কেজি ফ্রি স্টাইল বিভাগের সেমিফাইনালে ক্যামেরনের ইটানি এনগোলে-কে টেকনিক্যাল সুপিরিয়রিটিতে ১০-০ ব্যবধানে হারিয়ে ফাইনালে পৌঁছেছিলেন সাক্ষী মালিক (Sakshi Malik)। ফাইনালে প্রথম রাউন্ডে তিনি ০-৪ পিছিয়ে পড়েন। কিন্তু তারপর এক প্যাঁচেই প্রতিপক্ষকে কাবু করে দেন। ছিনিয়ে নেন ম্যাচ। সোনা জিতেই জাতীয় পতাকা হাতে গোটা স্টেডিয়াম দৌড়লেন সাক্ষী।
কুস্তি ছাড়ার ভাবনা!
সোনা জেতার পর এক সাক্ষাৎকারে সাক্ষী বলেছেন, 'আমি আত্মবিশ্বাসের অভাবে ভুগছিলাম। আমার কোচ বলতেন, তুমিই সিনিয়র ও জুনিয়র সকলের মধ্যে সবচেয়ে ফিট। আমি ভাবতাম, কোথায় গোলমাল হচ্ছে! ভাগ্য খারাপ থাকাতেই কি এই অবস্থা?' তবে মে মাসের ট্রায়ালে ভাল ফল করার পর থেকেই ধীরে ধীরে ছন্দে ফেরা শুরু হয় সাক্ষীর। ফিরে পান হারানো আত্মবিশ্বাসও। অবশেষে সোনা জিতে ফের মূল স্রোতে ফেরা। যেন পুনর্জন্ম হল ভারতীয় পালোয়ানের।
আরও পড়ুন: বক্সিংয়ের ফাইনালে অমিত, পদক জয় নিশ্চিত