আবু ধাবি: আজ আইপিএলের দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ার। মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের সঙ্গে খেতাবের যুদ্ধে নামার ছাড়পত্র জোগাড় করার লড়াইয়ে মুখোমুখি হচ্ছে দিল্লি ক্যাপিটালস ও সানরাইজার্স হায়দরাবাদ।মোমেন্টাম বা বর্তমান ফর্মের বিচারে পাল্লা ভারী হায়দরাবাদের দিকে। অবশ্য যে কোনও জায়গা থেকে খেলার রং পালটে দেওয়ার একাধিক কুশীলব রয়েছে দিল্লি শিবিরে।


হায়দরাবাদ শিবিরে অবশ্য বর্তমানে ছন্দ তৈরির অন্যতম কারিগর ঋদ্ধিমান সাহা এই ম্যাচেও অনিশ্চিত। কুঁচকির চোট গুরুতর না হলেও, বাংলার উইকেটকিপার-ব্যাটসম্যান পাপালি খেলার মতো জায়গায় রয়েছেন কিনা, সে নিয়ে ধোঁয়াশা বজায় রেখেছে ট্রেভর বেইলিসের প্রশিক্ষণাধীন দল। ঋদ্ধি না খেললে সেক্ষেত্রে অপর বঙ্গসন্তান তথা উইকেটকিপার-ব্যাটসম্যান শ্রীবৎস গোস্বামী খেলবেন।

তবে দিল্লি বনাম হায়দরাবাদ যুদ্ধের ফলাফল ঠিক কেমন হবে, সেটা নির্ভর করবে বেশ কিছু ব্যক্তিগত ডুয়েলের উপর। ঝলকে দেখে নেওয়া যাক সেগুলো-

ডেভিড ওয়ার্নার বনাম রবিচন্দ্রন অশ্বিন 

হায়দরাবাদের হয়ে এবারও দারুণ ছন্দে ডেভিড ওয়ার্নার। প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে টানা ৬টি আইপিএলে পাঁচশোর বেশি রান করেছেন অজি এই ওপেনার। পাঁচ বছরের মধ্যে তৃতীয়বার ফাইনালে পৌঁছতে তাঁর ব্যাটের ভরসায় হায়দরাবাদ। অন্যদিকে, দিল্লির হয়ে নতুন বল তুলে নিয়ে অশ্বিন ধারাবাহিকভাবে দলকে উইকেট তুলে দিয়েছেন। প্রথমবার খেতাব জয়ের লক্ষ্যে এগিয়ে যেতে তাঁর দিকেই তাকিয়ে দিল্লি শিবির।

কাগিসো রাবাডা বনাম কেন উইলিয়ামসন 

টপ অর্ডার দারুণ ছন্দে থাকলেও গোটা মরশুমে ভুগিয়েছে হায়দরাবাদের মিডল অর্ডার। অবশ্যই একমাত্র ব্যতিক্রম উইলিয়ামসন। উইকেটে টিকে থেকে রানের গতি বজায় রাখা বা দ্রুত রান তোলা সবেতেই দক্ষ কিউই ক্যাপ্টেন। তাই তাঁকে দ্রুত সাজঘরে ফেরানোর চ্যালেঞ্জ থাকবে দিল্লি শিবিরের পেস বিভাগের মূল অস্ত্র কাগিসো রাবাডার উপর। তিনি যেমন সঙ্গে পাবেন অ্যানরিক নর্তিয়েকে, তেমনই উইলিয়ামসনের সঙ্গী হবেন জেসন হোল্ডার।

রশিদ খান বনাম শ্রেয়স আয়ার 

দিল্লির টপ অর্ডারে অজিঙ্কা রাহানে এসে ভরসা দিলেও, কোচ রিকি পন্টিংয়ের বড় ভরসা শ্রেয়স আয়ার। দিল্লির তরুণ অধিনায়ক প্রতিযোগিতার শুরু দিকে যে ছন্দে ছিলেন, গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে ফের তেমনটাই দেখতে চাইবেন কোচ। তবে কাজটা মোটেই সহজ নয়, কারণ হায়দরাবাদের কাছে রয়েছে যে কোনও প্রতিপক্ষ মিডল অর্ডারকে আটকে রাখার সেরা বাজি রশিদ খান।