হায়দরাবাদ: টানা ছ’টি ম্যাচে জয়হীন, তার ওপর শেষ দুই ম্যাচেই হার। সাম্প্রতিক এই ফল ইস্টবেঙ্গল এফসি-কে আইএসএলের ক্রমতালিকায় বেশ কোণঠাসা করে দিয়েছে। তারা এখন শুধু হায়দরাবাদ এফসি ও চেন্নাইন এফসি-র ওপরে, দশ নম্বরে। এই অবস্থা থেকে ঘুরে দাঁড়াতে না পারলে ইস্টবেঙ্গলের প্রথম ছয়ে থাকার আশা পুরোপুরি শেষ হয়ে যাবে। শনিবার হায়দরাবাদে সেই ঘুরে দাঁড়ানোর সুযোগ লাল-হলুদ বাহিনীর সামনে, যখন তারা ১৪টি ম্যাচে জয়হীন থাকা হায়দরাবাদের মুখোমুখি হবে।



চলতি লিগে এই হায়দরাবাদকে হারিয়েই প্রথম জয় পায় ইস্টবেঙ্গল। সেপ্টম্বরের শেষ সপ্তাহে সেই ম্যাচে ক্লেটন সিলভা ফর্মে ফিরতেই প্রথম জয়ের মুখ দেখে ইস্টবেঙ্গল। ফল ছিল ২-১। তার পরে আরও এগারোটি ম্যাচ খেলা হয়ে গিয়েছে লাল-হলুদ বাহিনীর। এই এগারোটি ম্যাচের মধ্যে আর মাত্র একটি ম্যাচে জিতেছে তারা, নর্থইস্ট ইউনাইটেড এফসি-র বিরুদ্ধে ৫-০-য়। নতুন বছর শুরু হওয়ার পর আইএসএলে আর একটিও জয়ের মুখ দেখতে পায়নি তারা।

শনিবার লিগে তৃতীয় জয়ের খোঁজে নামবে ইস্টবেঙ্গল। কিন্তু দলের যা অবস্থা তাতে এই লক্ষ্য পূরণ হওয়া সোজা নয়। গত শনিবারই যুবভারতীতে মোহনবাগানের বিরুদ্ধে নামে হায়দরাবাদ এফসি, যে ম্যাচে তারা ০-২-এ হারে। অনিরুদ্ধ থাপা ও জেসন কামিংসের গোলে সে দিন জেতে গতবারের কাপ চ্যাম্পিয়নরা। তবে হায়দরাবাদের তরুণ ফুটবলাররা দুর্দান্ত প্রতিরোধ গড়ে তোলায় ব্যবধান আর বাড়াতে পারেনি মোহনবাগান এসজি।

তারুণ্যে ভরা হায়দরাবাদ এফসি-কে দুর্বল দল বলে মনে করা হলেও সেই ম্যাচে প্রতিপক্ষকে যে কড়া চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেয় পুরোপুরি দেশীয় ফুটবলারে গড়া দলটি, তার পরে তাদের দুর্বল মনে করলে, তা বোকামিই হবে। ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধে তাদের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়াই করেন মহম্মদ রফি, আব্দুল রাবি-রা। যেমন রক্ষণ, তেমন গোলরক্ষা ও তার চেয়েও ধারালো প্রতি আক্রমণ। কিন্তু খেলোয়াড়দের অভিজ্ঞতার অভাবই সে দিন তাঁদের গোল করার পথে প্রধান বাধা হয়ে দাঁড়ায়।

যত দিন যাচ্ছে হায়দরাবাদের তরুণ ফুটবলাররা ক্রমশ ধারালো হয়ে উঠছে এবং যে কোনও দিনই তারা তাদের প্রথম জয়টি পেয়ে যাবে। ইস্টবেঙ্গলের বিরুদ্ধেই সেই বহু আকাঙ্খিত জয়টি পাওয়ার জন্য মরিয়া হয়ে উঠতে পারে তারা। ইস্টবেঙ্গলের সবচেয়ে বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে প্রায় প্রতি ম্যাচেই তাদের প্রথম দলের কেউ না কেউ অনুপস্থিত থাকছেন। কখনও চোট-আঘাত, কখনও কার্ড সমস্যা।

ফলে প্রথম এগারো বাছতে গিয়ে ফের সমস্যায় পড়তে হবে কোচকে। তাঁর দলে আপাতত চার জনের বেশি বিদেশি খেলার মতো অবস্থায় নেই। সদ্য দলে যোগ দেওয়া মিডফিল্ডার ভিক্টর ভাজকেজ, ফরোয়ার্ড ফেলিসিও ব্রাউন, সেন্ট্রাল ডিফেন্ডার হিজাজি মাহের ও স্ট্রাইকার ক্লেটন সিলভা। গত ম্যাচে দু’জন বিদেশীকে প্রথম দলে রাখতে পেরেছিলেন কুয়াদ্রাত। শনিবারের ম্যাচে কী ভাবে দল সাজাবেন, সেটাই দেখার। 


                                                                                                                                                                          তথ্য সংগ্রহ: আইএসএল মিডিয়া