নয়াদিল্লি: আঠারোর স্পর্ধাকে কুর্নিশ জানালেন বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তিও। দাবায় নতুন বিশ্বচ্য়াম্পিয়ন হয়েছেন ডি গুকেশ (D Gukesh)। মাত্র ১৮ বছর বয়সেই এই কৃতিত্ব অর্জন করেছেন তিনি। বিশ্বের সর্বকনিষ্ঠ দাবাড়ু হিসেবে বিশ্বচ্য়াম্পিয়ন হয়েছেন গুকেশ। এমনকী বিশ্বনাথ আনন্দের পর তিনিই দ্বিতীয় ভারতীয় যে বিশ্বসেরা হয়েছেন। খেতাব জয়ের পর থেকেই বিশ্বজুড়ে বন্দিত হচ্ছেন গুকেশ। এবার তাঁকে শুভেচ্ছা জানালেন এলন মাস্ক। নিজের সোশ্য়াল মিডিয়ায় গুকেশের পোস্টকে রি পোস্ট করে সেখানে 'শুভেচ্ছা' লিখেছেন ৪০০ কোটি ডলারের সম্পত্তির মালিক।
এদিকে, গুকেশকে মোটা অঙ্কের আর্থিক পুরস্কার দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে তামিলনাড়ু সরকার। তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এমকে স্ট্যালিনের তরফে এক সোশ্য়াল মিডিয়া পোস্ট মারফৎ জানানো হয় গুকেশকে তাঁর ঐতিহাসিক জয়ের জন্য আর্থিকভাবে পুরস্কৃত করা হবে। তিনি লেখেন, 'খুবই আনন্দের সঙ্গে জানাচ্ছি যে কনিষ্ঠতম বিশ্বচ্যাম্পিয়ন গুকেশের এই অনবদ্য কৃতিত্বকে সম্মান জানাতে তাঁকে পাঁচ কোটির টাকার আর্থিক পুরস্কার দেওয়া হবে। ওর এই ঐতিহাসকি কৃতিত্ব গোটা দেশকে আনন্দ দিয়েছে এবং দেশের মুখ উজ্জ্বল করেছে। আশা করছি এভাবেই ও এগিয়ে যাবে এবং ভবিষ্যতে আরও অনেক সাফল্য পাবে। এই তরুণ প্রতিভাকে এগিয়ে যেতে সাহায্য করার জন্য উদয় স্ট্যালিন ও তামিলনাড়ু ক্রীড়ামন্ত্রককে অনেক কুর্নিশ।'
চিনের ডিং লিরেনের বিরুদ্ধে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হওয়ার লড়াইয়ে নেমেছিলেন ডি গুকেশ। একটা সময় পর্যন্ত ২ দাবাড়ুর ঝুলিতেই ছিল ৬.৫ পয়েন্ট। ১৩ গেমের পর। ১৪তম গেমে সাদা ঘুঁটি নিয়ে খেলার সুযোগ পেয়েছিলেন ডিং। যিনি খেতাবরক্ষার লড়াইয়ে নেমেছিলেন। একটা সময় পর্যন্ত মনে করা হচ্ছিল যে, ড্রয়েই সন্তুষ্ট থাকবেন ডিং। কিন্তু ৫৩তম চালে বড় ভুল করেন চিনের দাবাড়ু। শেষ পর্যন্ত গুকেশের চাপের কাছে নতিস্বীকার করেন তিনি।
পেশায় এইএনটি সার্জেন রজনীকান্ত ছেলের ম্যাচের একেবারে শেষ লগ্নে উত্তেজনার বশে বসেই থাকতে পারছিলেন না। নিরন্তর তাঁকে এক বারান্দায় হাঁটাচলা করতে দেখা যায়। আর ঠিক যেই মুহূর্তে তাঁর ছেলে চ্যাম্পিয়ন হয়, সেই সময় তাঁর যে উচ্ছ্বাস, বিস্ময়, আনন্দে ভরপুর এক প্রতিক্রিয়া দেখা যায়। প্রাথমিকভাবে যে তিনি কী করবেন, তা বুঝেই উঠতে পারছিলেন না রজনীকান্ত।
গুকেশ যেমন জয় সুনিশ্চিত জেনে কেঁদেই ফেলেন। নিজের আবেগঘন সেলিব্রেশন সম্পর্কে গুকেশকে বলতে শোনা যায়, 'আমি ১০ বছর ধরে এই মুহূর্তটার স্বপ্ন দেখেছি। সত্যি বলতে জিতব বলে আশা ছিল না, তাই একটু আবেগঘন হয়ে পড়েছিলাম। তবে তারপরেই জয়ের জন্য ঝাঁপানোর সুযোগ আসে।'