মস্কো: টাইব্রেকারে কলম্বিয়াকে হারিয়ে বিশ্বকাপের শেষ আটে ইংল্যান্ড। খেলার ফল ১-১ থাকার পর পেনাল্টি শ্যুট আউটে জেতে ইংল্যান্ড। রাশিয়ায় তাঁর ৬ নম্বর গোলে একটি বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের হয়ে সর্বোচ্চ গোলের নজির হ্যারি কেনের। ধরে ফেললেন গ্যারি লিনেকারকে।


১৯৯০, ১৯৯৮ , ২০০৬ ... বিশ্বকাপের ইতিহাসে তিনবার টাইব্রেকারে হারের রেকর্ড ছিল ইংল্যান্ডের নামে। এমনকি ১৯৯৬-র ইউরো কাপে টাইব্রেকারে গোল করতে পারেননি এখনকার ইংল্যান্ড কোচ।

সেই সাউথগেটের কোচিংয়েই ইতিহাসটা বদলে গেল। এই প্রথম টাইব্রেকারে ম্যাচ জিতে বিশ্বকাপের শেষ আটে ইংল্যান্ড।

কলম্বিয়ার বিরুদ্ধে প্রথমার্ধ গোলশূন্য থাকার পর ৫৪ মিনিটে পেনাল্টি থেকে দলকে এগিয়ে দেন হ্যারি কেন।

রাশিয়া বিশ্বকাপে তাঁর ৬ নম্বর গোল...একটি বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের হয়ে সর্বোচ্চ গোলের নজির। গ্যারি লিনেকারকে ছুঁলেন ইংল্যান্ড অধিনায়ক।

ইনজুরি টাইমের তৃতীয় মিনিটে ম্যাচে সমতা ফেরায় কলম্বিয়া।

পরের ৩০ মিনিট কোন গোল না হওয়ায় ম্যাচ গড়ায় টাইব্রেকারে। কলম্বিয়ার রাদামেল ফালকাও প্রথম শটেই গোল করেন।

ইংল্যান্ডের হয়ে টাইব্রেকারে প্রথম শট নিতে গিয়ে বল জালে জড়িয়ে দেন হ্যারি কেন।

দ্বিতীয় শটে কলম্বিয়ার হয়ে গোল করেন কুয়াদ্রাদো।

ইংল্যান্ডও ২-২ করে দেয় মার্কাস রাশফোর্ডের শটে ।

জোস পেকারম্যানের দলের হয়ে তৃতীয় শট নিতে গিয়ে কেনও ভুল করেননি লুইস মুরিয়াল।

তৃতীয় শট ইংল্যান্ডের। এবার বাঁদিকে ঝাপিয়ে জর্ডন হেন্ডারসনকে গোল করতে দেননি কলম্বিয়ার গোলকিপার ডেভিড অস্পিনা ।

গ্যালারিতে কলম্বিয়ার সমর্থকদের সেলিব্রেশন দীর্ঘস্থায়ী হল না, যখন চার নম্বর শট বারে মারলেন ম্যাতিয়াস উরিবে।

ইংল্যান্ডের হয়ে এবার শট নিতে এসে বল জালে জড়িয়ে দেন কায়রন ট্রিপিয়া।

টাইব্রেকারের শেষ শটে ইংল্যান্ডের গোলকিপার জর্ডন পিকফোর্ড বাঁচিয়ে দেন কার্লোস বাকা-র কিক্।

ম্যাচ জিততে গোল করতেই হত ইংল্যান্ডকে। এরিক ডায়ার ইংল্যান্ডকে তোলেন শেষ আটে।

কোয়ার্টার ফাইনালে ইংল্যান্ড এবার মুখোমুখি সুইডেনের। ৭ জুলাই খেলা হবে সামারায়।

১৯৯০ সালের পর ফের বিশ্বকাপের শেষ চারে ওঠার হাতছানি ইংল্যান্ডের সামনে।