বুদাপেস্ট: প্রথমার্ধের শেষদিকে একক দক্ষতায় দুর্দান্ত গোল করে হাঙ্গেরিকে এগিয়ে দেন অ্যাটিলা ফিওলা। ৬৬ মিনিটে হাঙ্গেরির রক্ষণের ভুলের সুযোগ নিয়ে গোল শোধ করে দেন আঁতোয়া গ্রিজম্যান।
গত শতাব্দীর মাঝামাঝি সময়ে যখন ফেরেঙ্ক পুসকাস জীবনের সেরা ফর্মে, তখন বিশ্বের অন্যতম শক্তিশালী দল ছিল হাঙ্গেরি। ১৯৫৪ বিশ্বকাপের ফাইনালেও উঠেছিল হাঙ্গেরি। কিন্তু তারপর থেকেই ধীরে ধীরে ফুটবল বিশ্বে নিজেদের পরিচিতি হারিয়ে ফেলে পুসকাসের দেশ। তবে এবারের ইউরোয় ফের লড়াই করছে হাঙ্গেরি। প্রথম ম্যাচে পর্তুগালের বিরুদ্ধে হেরে গেলেও, দারুণ লড়াই করেছিলেন হাঙ্গেরির ফুটবলাররা। আজও তাঁরা দুর্দান্ত পারফরম্যান্স দেখালেন। বিশ্বজয়ী ফুটবলারদের সঙ্গে সমানতালে লড়াই চালিয়ে গেলেন হাঙ্গেরির খেলোয়াড়রা। ফ্রান্স অবশ্য বেশ কয়েকটি সহজ সুযোগ নষ্ট করে। না হলে হয়তো আজই নক-আউটে যাওয়া নিশ্চিত করে ফেলতেন কিলিয়ান এমবাপে, করিম বেনজেমারা। তবে হাঙ্গেরির কৃতিত্ব কোনওভাবে খাটো করা যাবে না।
এদিনের ম্যাচের শুরু থেকেই উত্তেজনা ছিল। কিছুটা চড়া মেজাজে হচ্ছিল খেলা। কোনও দলই প্রতিপক্ষকে এতটুকু জায়গা ছাড়তে রাজি ছিল না। ৯ মিনিটেই প্রথম হলুদ কার্ড দেখেন ফরাসি ডিফেন্ডার বেঞ্জামিন পাভার্ড। ১৬ মিনিটে প্রথম সুযোগ নষ্ট করেন এমবাপে। তাঁর হেড অল্পের জন্য বাইরে চলে যায়। ৩০ মিনিটে বেনজেমার ডানপায়ের শট বাইরে চলে যায়। ২ মিনিট পরেই এমবাপের ডান পায়ের শট বাইরে চলে যায়। প্রথমার্ধের সংযোজিত সময়ে গোল করে হাঙ্গেরিকে এগিয়ে দেন ফিওলা।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকেই গোল শোধের চেষ্টা করতে থাকে ফ্রান্স। ৬৬ মিনিটে হাঙ্গেরির ডিফেন্ডারদের ভুলে বক্সের মধ্যে ফাঁকায় বল পেয়ে বাঁ পায়ের সুন্দর প্লেসিংয়ে জালে বল জড়িয়ে দেন গ্রিজম্যান। গোল শোধ করার পরেও একাধিক সুযোগ পেয়েছিল ফ্রান্স, কিন্তু আর গোল হয়নি। একটি জোরাল শট পোস্টে লেগে মাঠের বাইরে চলে যায়।
এই ম্যাচ ড্র করার ফলে ২ ম্যাচে ৪ পয়েন্ট পেয়ে গ্রুপে দ্বিতীয় স্থানে ফ্রান্স। অন্যদিকে, ২ ম্যাচে ১ পয়েন্ট পেল হাঙ্গেরি।