ট্যুইটারে পোস্টে মুকুন্দ তাঁর ত্বকের রঙকে নিশানা করে পাঠানো কিছু মেসেজ নিয়ে তাঁর হতাশা ব্যক্ত করেছেন।
তামিলনাড়ুর এই বাঁহাতি ব্যাটসম্যান লিখেছেন, তাঁর এই পোস্টের লক্ষ্য সহানুভূতি অর্জন বা মনোযোগ আকৃষ্ট করা নয়। সমগ্র বিষয়টি নিয়ে মানসিকতার পরিবর্তনের আশা নিয়েই তিনি এই পোস্ট করেছেন। তিনি বলেছেন, ১৫ বছর বয়স থেকে তিনি দেশে ও বিদেশের বিভিন্ন স্থানে ঘোরেন। যখন তিনি একেবারেই তরুণ তখন থেকেই তাঁর গায়ের রঙ নিয়ে একশ্রেণীর মানুষের আগ্রহ তাঁকে বিস্মিত করে।
মুকুন্দ বলেছেন, দিনের প্রখম রোদে তাঁকে খেলতে বা অনুশীলন করতে হয়। কিন্তু তাঁর গায়ের রঙ কালো হওয়ার জন্য তাঁর বিন্দুমাত্র আপসোস নেই।
মুকুন্দ আরও বলেছেন, তিনি যা করেন, তা ভালোবাসেন। এখনও পর্যন্ত যা কিছু অর্জন করতে পেরেছেন তা কঠোর পরিশ্রমের জন্যই। তাছাড়াও চেন্নাই দেশের সবচেয়ে উষ্ণতম স্থান। তাঁর জীবনের বেশিরভাগ সময়টাই তিনি ক্রিকেটের ময়দানে কাটিয়েছেন। এজন্য তিনি খুবই আনন্দিত।
২৭ বছরের এই ব্যাটসম্যান আরও বলেছেন, গায়ের রঙ নিয়ে তাঁকে খোঁটা শুনতে হয় এবং এখনও তা চলছে। তবে এসব তিনি হেসে উড়িয়ে দিয়েছেন। কারণ, তাঁর সামনে রয়েছে অনেক বড় লক্ষ্য।
অনেকবারই গায়ের রঙ নিয়ে টিটকিরিকে পাত্তা দেননি তিনি। মুকুন্দ বলেছেন, এই পোস্টে তিনি শুধু নিজের জন্য নয়, দেশের অন্যান্য যাঁরা এ ধরনের উপহাসের সম্মুখীন হন, তাঁদের জন্য মুখ খুলেছেন তিনি।
মুকুন্দ আরও লিখেছেন, সোশ্যাল মিডিয়ায় দৌলতে এ ধরনের মন্তব্যের পরিমাণ আরও বেশি বেড়েছে।
মুকুন্দ বলেছেন, ফরসা হলেই শুধুমাত্র সুন্দর ও আকর্ষনীয় হয় না। সত্য পথে থাকতে হবে, লক্ষ্যে অটল থাকতে হবে এবং নিজের গায়ের রঙ নিয়ে স্বচ্ছন্দ হতে হবে।
মুকুন্দের এই বক্তব্য ব্যাপকভাবে সমর্থন পেয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। অনুরাগীরা তাঁর মন্তব্যের প্রশংসায় মুখর হয়েছেন।
বাংলার ক্রিকেটার মনোজ তিওয়ারির ট্যুইট, খুব ভালো বলেছ অভিনব।