নয়াদিল্লি :  ভারতকে নির্বাসিত করল ফিফা।



নির্বাসিত করল ফিফা
ফিফার তরফে এক প্রেস বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, অল ইন্ডিয়া ফুটবল ফেডারেশন (AIFF)-এ তৃতীয় পক্ষের হস্তক্ষেপের কারণেই এই নির্বাসন।  কয়েক মাস আগেই AIFF-এর সংবিধান সংশোধন করে দ্রুত নির্বাচন করার জন্য ৩ সদস্যের প্রশাসক কমিটি গড়ে দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। স্বয়ংশাসিত ক্রীড়া সংস্থায় তৃতীয় পক্ষের হস্তক্ষেপ ফিফার আইন বিরুদ্ধ। তাই এই কমিটির হস্তক্ষেপের বিরুদ্ধে কড়া সিদ্ধান্ত নিল ফিফা।



প্রসঙ্গত, সুপ্রিম কোর্ট নির্ধারিত কমিটি ইতিমধ্যেই দ্রুত ফেডারেশনের নির্বাচন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার জন্য তৎপর হয়েছে। এই নির্বাচন প্রক্রিয়াটি অগাস্ট মাসেরই ২৮ তারিখ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা। 


বিশ্বকাপ আয়োজন নিয়ে অনিশ্চয়তা ( India ‘cannot’ host U-17 Women’s World Cup )
চলতি বছরের ১১-৩০ অক্টোবর ভারতে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা অনূর্ধ্ব -১৭  মহিলা বিশ্বকাপ। ফিফার এই নির্বাসনের ফলে ভারতে এই বিশ্বকাপ টুর্নামেন্ট হওয়া অনিশ্চিত হয়ে পড়ল। যতদিন না সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনের কার্যকরী কমিটি সমস্ত নিয়ন্ত্রণ পুনরায় ফিরে পাচ্ছে, ততদিন এই নির্বাসন বহাল থাকবে বলে ফিফার তরফে প্রেস বিবৃতিতে জানানো হয়েছে। তাহলে বিশ্বকাপের কী হবে ? সূত্রের খবর, এই টুর্নামেন্টের বিষয় নিয়ে  ফিফা ভাববে। আগামীতে পরিস্থিতি কোনদিকে গড়ায় সেই দেখে,  পরবর্তী পদক্ষেপ নিয়ে  সিদ্ধান্ত নেবে ফিফা। সমস্যার মেঘ কাটলে ভারতে বসলেও বসতে পারে অনূর্ধ্ব -১৭  মহিলা বিশ্বকাপের আসর। জট না কাটলে বিশ্বকাপ সরানো হতে পারে অন্য কোনও দেশে। 

এই মাসের শুরুর দিকেই ফিফা সর্বভারতীয় ফেডারেশনকে নিষিদ্ধ করার পাশাপাশি ভারতের কাছ থেকে আসন্ন অনুর্ধ্ব ১৭ বিশ্বকাপ আয়োজনের অধিকারও কেড়ে নেওয়ার হুমকি দেয়। ফেডারেশনের দুর্নীতি দূর করে নতুন করে স্বচ্ছভাবে নির্বাচন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার জন্য সুপ্রিম কোর্ট এক বিশেষ কমিটিকে দায়িত্ব দিয়েছে। তবে ফিফা 'থার্ড পার্টি' হস্তান্তর একেবারেই বরদাস্ত করে না। এর জেরেই ভারতের ওপর নিষেধাজ্ঞার খাঁড়া ঝুলতে শুরু করে। এই সবের মাঝে ফুটবলারদের ওপরেও স্বাভাবিকভাবেই মানসিক চাপ তৈরি হয়। তবে ভারতীয় ফুটবলারদের আগেই আশ্বস্ত করেছেন সুনীল ছেত্রী। তিনি বেঙ্গালুরু এফসির আয়োজিত প্রাক-মরসুম সাংবাদিক সম্মেলনে বলেন, 'আমি ছেলেদের সঙ্গে এ বিষয়ে কথা বলেছি এবং সকলের জন্য আমার একটাই পরামর্শ। এই নিয়ে বিশেষ চিন্তাভাবনা করে লাভ নেই, কারণ এই বিষয়টা আমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই। যারা এই গোটা প্রক্রিয়ার সঙ্গে জড়িত, তাঁরা নিজেদের সেরাটা দিচ্ছেন যাতে আমরা দ্রুতই এই পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে আসতে পারি। '                                                                                                                         
ভারতের কেন্দ্রীয় ক্রীড়া ও যুবকল্যাণ মন্ত্রকের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছে বিশ্ব ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ামক সংস্থা। ফিফা আশাবাদী, দ্রুত সমস্যার সমাধান হবে। সমস্যা মিটলে অনূর্ধ্ব ১৭ মেয়েদের বিশ্বকাপ ভারতে হলেও হতে পারে।