নয়াদিল্লি: ২০১৬-র আইপিএলে রয়্যাস চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর হয়ে গুজরাত লায়ন্সের বিরুদ্ধে বিরাট কোহলি ও এবি ডিভিলিয়ার্সের লড়াই স্মরণীয় হয়ে রয়েছে। এখন এই কঠিন সময়ে বাইশ গজের জুটি করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে অভূক্তদের পাশে দাঁড়াতে প্রস্তুত। ২০১৬-র আইপিএলের ওই ম্যাচ যে ব্যাটে খেলেছিলেন, যে শার্ট ও গ্লাভস পরেছিলেন, তা নিলাম করবেন কোহলি ও ডিভিলিয়ার্স। নিলাম থেকে প্রাপ্ত অর্থ ব্যবহৃত হবে করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে। এই সংকটের সময়ে যাঁদের খাওয়ার জুটছে না তাঁদের মুখে খাবার তুলে দেওয়ার কাজ করছে, এমন একটি সংস্থার হাতে ওই অর্থ তুলে দেওয়া হবে।

অভাবগ্রস্তদের জন্য কাজ করে ওই অনলাইন সংস্থা, যা ডিভিলিয়ার্সের সামাজিক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত। ওই সংস্থার সঙ্গে এই কাজে তাঁর ফাউন্ডেশনের হাত মেলানোর  আশ্বাস দিয়েছেন ভারতীয় দলের অধিনায়ক কোহলি, যাতে তা ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকা-উভয় দেশেরই দুর্গত মানুষদের কাজে আসে।

২০১৬-র ১৪ মে ডিভিলিয়ার্স খেলেছিলেন ৫২ বলে ১২৯ রানের ইনিংস। কোহলি করেছিলেন ৫৫ বলে ১০৯ রান। তাঁদের বিধ্বংসী জুটিতে ভর করে আরসিবি ম্যাচ জিতেছিল ১৪৪ রানে। আরসিবি-র ৪ উইকেটে ২৮৪ রান আইপিএলের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ স্কোর হয়ে রয়েছে।

ইনস্টাগ্রামে লাইভ চ্যাটে কোহলি বলেছেন, সারা বিশ্বজুড়ে ক্ষুদার প্রকোপ আমাকে মর্মাহত করে তুলেছে। ওরা খাবার পাচ্ছে না। তাদের পাশে আমি দাঁড়াতে চাই। এটা আমার লক্ষ্য এবং সারাজীবন এই লক্ষ্যে কাজ চালিয়ে যাব।

ডিভিলিয়ার্স বিশদ জানিয়ে বলেছেন, গুজরাত লায়ন্সের বিরুদ্ধে ওই ইনিংস খুবই উপভোগ করেছিলাম। ওই জুটিতে আমরা দুজনেই সেঞ্চুরি করেছিলাম। সেজন্য আমি তোমার (বিরাট) ওই ব্যাটটা চাইছি, আমারটাও দিচ্ছি। এবার আমরা ওই ম্যাচে আমাদের শার্ট ও ব্যাটে সই করছি। অনলাইনে নিলামের জন্যই এই পরিকল্পনা।

নিলাম থেকে প্রাপ্ত অর্থ কোভিড-১৯-এর বিরুদ্ধে লড়াইয়ের খাতে যাবে এবং নিরন্নদের মুখে খাবার তুলে দেওয়ার কাজে ব্যবহৃত হবে বলেও ডিভিলিয়ার্স জানান।

কোহলি বলেন, এটা দারুণ একটা পরিকল্পনা। আমার ফাউন্ডেশনকেও এই কাজে লাগাতে পারি। আমরা একসঙ্গে কাজ করতে পারি।