নয়াদিল্লি: বিশ্বের সবথেকে ধনী ব্যক্তি ইলন মাস্ক (Elon Musk) ইতিমধ্যেই বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে নিজের আধিপত্য বিস্তার করেছেন। এবার ক্রীড়াক্ষেত্রেও প্রভাব বিস্তার করবেন মাস্ক? প্রিমিয়ার লিগের (Premier League) বিখ্যাত ক্লাব কিনতে আগ্রহী তিনি। অন্তত একাধিক রিপোর্টে এমনই দাবি করা হয়েছে। তাঁর বাবা ইরলও এ বিষয়ে মুখ খুলেছেন।


একাধিক রিপোর্ট অনুযায়ী ইলন মাস্ক ইংল্যান্ডের বিখ্যাত ক্লাব লিভারপুল (Liverpool) কিনতে আগ্রহী। ট্রফি জয়ের নিরিখে ইংল্যান্ডের সফলতম ক্লাব লিভারপুল। 
বর্তমান মরশুমেও তাঁরা প্রিমিয়ার লিগ হোক চ্যাম্পিয়ন লিগ, দুইয়েরই শীর্ষে। মার্সিসাইডের এই ক্লাব কিনতেই মাস্ক আগ্রহী বলে শোনা যাচ্ছে। এই বিষয়ে প্রকাশ্যে ইলনের বাবা ইরল কথাও বলেছেন।


ইরল দাবি করেন লিভারপুলে তাঁদের পরিবার রয়েছে যাদের সঙ্গে বিটেলসরা বেড়ে ওঠে এবং ইলনের ঠাকুমাও লিভারপুলেরই।
ইরল বলেন, 'হ্যাঁ, ও দলটা কিনতে চায়। কেই বা চাইবে না। তবে আমি এই নিয়ে বেশি কথা বলব না, ওরা দাম বাড়িয়ে দেবে। তবে এর মানে এটা নয় যে ও কিনছে সেটা।' ইরল আরও দাবি করেন যে তাঁদের পরিবারের সঙ্গে কিংবদন্তি ব্যান্ড বিটলসেরও যোগসূত্র রয়েছে।  


বর্তমানে মার্কিন মুলুকেরই ফেনওয়ে স্পোর্টস গ্রুপ লিভারপুলের প্রাথমিক মালিক। তাঁরা এই বিষয়ে মুখ খুলেছে। এমএসজির তরফে এক মুখপাত্র জানিয়ে দিয়েছেন তাঁরা ক্লাব বিক্রি করতে একেবারেই এখন রাজি নয়। তবে ২০২৩ সালে ক্লাবে অল্প বিনিয়োগের জন্য তাঁরা আগ্রহ প্রকাশ করেছিল বটে। মাস্কের লিভারপুল দল কেনার জল্পনা নিঃসন্দেহেই এখনও কেবল জল্পনার পর্যায়েই রয়েছে। তবে এই জল্পনা যে ফুটবলপ্রেমীদের মধ্যে উৎসাহ বাড়িয়েছ, তা বলাই বাহুল্য। 


ফের একসঙ্গে 'এমএসএন'!


নেমার বর্তমানে চোটের কারণে মাঠের বাইরে রয়েছেন। ২০২৩ সালে সৌদি আরবের ক্লাবে যোগ দেওয়ার পর মাত্র সাতটি ম্যাচ খেলেছেন। তাঁকে আল হিলাল আর দলে রাখতে চায় না বলেও শোনা যাচ্ছে। নেমারের প্রাক্তন দুই সতীর্থ লুইস সুয়ারেজ ও লিওনেল মেসি আপাতত একসঙ্গে ইন্টার মায়ামির হয়ে মাঠে নামছেন। নেমারের পরবর্তী গন্তব্য কি মায়ামি? আবারও কি 'এমএসএন' জুটিকে একসঙ্গে দেখা যাবে? এই বিষয়ে নেমার কিন্তু আশার বাণীই শোনালেন।


'মেসি ও সুয়ারেজের সঙ্গে আবার খেলতে পারার বিষয়টা দারুণ হবে। ওরা আমার বন্ধু এবং আমরা এখনও একে অপরের সঙ্গে কথাবার্তা বলি। ওই ত্রয়ীকে আবার একসঙ্গে মাঠে দেখাটা তো নিঃসন্দেহে বেশ ভাল বিষয় হবে। আপাতত আমি আল হিলাল, সৌদি আরবে বেশ খুশি। তবে ফুটবলে তো কোনও কিছু নিশ্চিত নয়। আমি যখন পিএসজি ছেড়েছিলাম, তখন যুক্তরাষ্ট্রের ট্রান্সফার উইন্ডো বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। তাই এই বিষয়টা সম্ভব হয়নি। আর সৌদি আরবে আমায় যে প্রজেক্টার কথা ওরা বলেছিল, তা আমার এবং আমার পরিবারের জন্য ভাল ছিল। তাই সেই বিকল্পটাই আমি বেছে নিই।' নেমারের এহেন মন্তব্যে ফুটবলপ্রেমীরা যে আশায় বুক বাঁধবেন, তা কিন্তু বলাই বাহুল্য।


আরও পড়ুন: মস্ত বড় ভুল করেছে অজ়ি বোর্ড! বিস্ফোরক ক্লার্ক, বর্ডার-গাওস্কর ট্রফি শেষেও থামছে না বিতর্ক