দোহা: ভারতীয় সময় অনুযায়ী বুধবার মধ্যরাতে (২৩ নভেম্বর) কাতার বিশ্বকাপে (FIFA WC 2022) নিজেদের প্রথম ম্যাচ খেলতে মাঠে নামবে গত বারের চ্যাম্পিয়ন দল ফ্রান্স (France Football Team)। ইউরো থেকে টুর্নামেন্টের প্রথম দিকেই ছিটকে যাওয়া, গত ছয় ম্যাচে মাত্র এক জয়, ফ্রান্সের সমর্থকদের বিশ্বকাপ শুরুর আগে বেশ চিন্তায় রাখছে। তবে দিদিয়ে দেশঁর (Didier Deschamps) থেকে বিশ্বকাপ জয়ের বিষয়ে ভাল আর কেই বা জানতে পারেন। ফ্রান্সের দুই বিশ্বকাপজয়ী দলের সঙ্গেই যুক্ত ছিলেন তিনি। ১৯৯৮ সালে অধিনায়ক হিসাবে ও চার বছর আগে রাশিয়ায় কোচ হিসাবে বিশ্বকাপ জিতেছেন দেশঁ।


খারাপ ফর্ম স্বাভাবিক


বিশ্বকাপ শুরুর আগেই তাই ডেনমার্ক, ক্রোয়েশিয়ার বিরুদ্ধে হারে বিচলিত হয়ে পড়বেন না, এমনটাই তো স্বাভাবিক। ফ্রান্সের ফর্ম নিয়ে সমালোচকদের জবাব দিয়েD দেশঁ বলেন, 'আমরা বিশ্বচ্যাম্পিয়ন। যখন কেউ একেবারে শীর্ষে থাকে, তখন তার পক্ষে আরও উন্নতি করাটা কঠিনই হয়। বাকি জাতীয় দলগুলিও তো পরিশ্রম করছে এবং অনেক উন্নতি করেছে। যে কোনও দলই কিছু সময়ের জন্য খারাপ ফর্মের মধ্যে দিয়ে যেতেই পারে। তবে ফ্রান্স নিঃসন্দেহে ইউরোপ তথা বিশ্বের সেরা দলগুলির মধ্যে পড়ে।' 


দেশঁর ফেভারিট


অবশ্য বিশ্বকাপের ফেভারিট হিসাবে দুই লাতিন আমেরিকান দলকেই কিন্তু সারিতে সবার আগে রাখছেন দেশঁ। 'বিশ্বকাপে সাত বা আটটি দল বিশ্বখেতাব জয়ের বড় দাবিদার হয়। আমি কারুর আবেগকে আঘাত করতে চাইনা। তবে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার দৌড়ে বরাবরই লাতিন আমেরিকার দুই দল আর্জেন্তিনা ও ব্রাজিল থাকেই। তারপরে ইংল্যান্ড, স্পেন, বেলজিয়াম, জার্মানি এবং ক্রোয়েশিয়ার মতো ইউরোপের পাঁচ, ছয়টি দল রয়েছে। এই দলগুলি ভীষণ শক্তিশালী এবং এই দলগুলির মধ্যেই অভিজ্ঞতা, দক্ষতা তো আছেই, ওরা সাম্প্রতিক সময়ে বিভিন্ন টুর্নামেন্টেও নিজেদের প্রমাণ করেছে।' মত বিশ্বচ্যাম্পিয়ন খেলোয়াড় তথা কোচের।


তবে ফ্রান্সের সামনে অপেক্ষা করে আছে বড় চ্যালেঞ্জ। বিগত তিন বিশ্বকাপ ধরে চলে আসা এক 'অভিশাপ' মুছে ফেলার লক্ষ্যে উগো লরিসরা। বিগত তিন বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ইতালি, স্পেন এবং জার্মানি, কেউই পরের বিশ্বকাপে প্রথম রাউন্ডের গণ্ডিও টপকাতে পারেনি। সেই ইতিহাস বদলে ফেলার লক্ষ্যে ফরাসি দল। অবশ্য বিশ্বকাপের আগে চোটের জেরে নাজেহাল লরিসরা। অনুশীলনে চোট পেয়েই বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে গিয়েছেন করিম বেঞ্জেমা এবং ক্রিস্টোফার এনকুঙ্কু। চোটের জেরে দলে নেই গতবারের দুই বিশ্বচ্যাম্পিয়ন মিডফিল্ডার পল পোগবা ও এনগোলো কঁতেও। তা সত্ত্বেও এক মজবুত দল নিয়ে পুনরায় বিশ্বজয়ের লক্ষ্যে মাঠে নামবেন লরিসরা। ব্রাজিল, ইতালির কীর্তির পুনরাবৃত্তি ঘটাতে পারবে ফ্রান্স? তার জবাব সময়ই দেবে।


আরও পড়ুন: অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে বিশ্বকাপ অভিযান শুরু গত বারের চ্যাম্পিয়ন ফ্রান্সের, কোথায়, কখন দেখবেন ম্য়াচ?