জামশেদপুর: ইস্পাতনগরীতে গিয়ে আশা জাগিয়েও শেষ পর্যন্ত সফল হতে পারল না মহমেডান এসসি। জামশেদপুর এফসি তিন ম্যাচে হারের মুখ দেখার পর জয়ে ফিরল কলকাতার সাদা-কালো বাহিনীকে ৩-১-এ হারিয়ে। চলতি লিগে এটি পাঁচ নম্বর জয় ভারতীয় কোচ খালেদ জামিলের প্রশিক্ষণাধীন দলের। এই জয়ের ফলে নয় ম্যাচে ১৫ পয়েন্ট নিয়ে তারা উঠে এল লিগ টেবলের সাত নম্বরে। তিন থেকে সাত নম্বরে থাকা প্রত্যেক দলেরই সংগ্রহ এখন ১৫ পয়েন্ট করে। নয় ম্যাচে পাঁচ পয়েন্ট নিয়ে মহমেডান রয়ে গেল ১২ নম্বরেই।

এ দিন প্রথমার্ধ গোলশূন্য থাকলেও দ্বিতীয়ার্ধে মাত্র আট মিনিটের মধ্যে দু-দু’টি গোল করে জামশেদপুর এফসি-কে জয়ের দিকে এগিয়ে দেন যথাক্রমে তরুণ ফরোয়ার্ড মহম্মদ সনন (৫৩ মিনিট) ও হাভিয়ে সিভেরিও (৬১)। ৭৯ মিনিটের মাথায় ব্যবধান আরও বাড়িয়ে নেন তাদের নাইজেরিয়ান ডিফেন্ডার স্টিফেন এজে। নির্ধারিত সময় শেষ হওয়ার দু’মিনিট আগে মোহনবাগানকে সান্ত্বনা গোল এনে দেন মহম্মদ ইরশাদ। শেষ মুহূর্তে পেনাল্টি থেকে ব্যবধান আরও কমানোর সুযোগ পেয়েছিলেন ব্রাজিলীয় ফরোয়ার্ড কার্লোস ফ্রাঙ্কা। কিন্তু তিনি সেই সুযোগ কাজে লাগাতে ব্যর্থ হন। এই নিয়ে টানা পাঁচটি ম্যাচে জয়হীন থাকল মহমেডান এসসি।

এ দিন প্রথমার্ধে দুই দলই ঝুঁকিহীন ফুটবল খেললেও দ্বিতীয়ার্ধে জামশেদপুরই আধিপত্য বিস্তার করে এবং ঘন ঘন আক্রমণে প্রতিপক্ষের রক্ষণকে ব্যতিব্যস্ত করে তোলে। মহমেডানও এ দিন একাধিক আক্রমণ করলেও বরাবরের মতো বেশিরভাগ গোলের সুযোগই হাতছাড়া করে। ম্যাচে তাদেরই দখলে বেশিরভাগ বল থাকলেও আক্রমণে জামশেদপুরই ছিল এগিয়ে। সারা ম্যাচে তারা ১৭টির মধ্যে ন’টি শট গোলে রাখে তারা। মহমেডানের ১২টির মধ্যে পাঁচটি শট ছিল লক্ষ্যে।

এ দিন দলে দু’টি পরিবর্তন করে প্রথম এগারো নামান মহমেডান কোচ আন্দ্রেই চেরনিশভ। লালরিনফেলার জায়গায় অমরজিৎ সিং কিয়াম ও মির্জালল কাসিমভের জায়গায় মকান চোঠে শুরু থেকে খেলেন। চেনা ৪-৩-৩ ছকেই দল সাজায় মহমেডান। অন্য দিকে জামশেদপুর প্রথম এগারোয় পাঁচটি পরিবর্তন করে খেলে এদিন।ভিচ। সেখান থেকে গোলের সামনে বল পাঠান আর এক পরিবর্ত শুভম সারেঙ্গি, যা এ বার গোলের সামনে থেকে জালে জড়াতে বিন্দুমাত্র ভুল করেননি এজে (৩-০)।

তৃতীয় গোলের সুযোগ অবশ্য এজের গোলের মিনিট দুয়েক আগেই পেয়ে যান সেমিনলেন দুঙ্গেল, যখন তিনি ওয়ান টু ওয়ান পরিস্থিতিতে পড়েন ভাস্করের সামনে। তিনি শট নিলেও তা দুর্দান্ত সেভ করেন মহমেডানের গোলকিপার।

তিন গোলে পিছিয়ে যাওয়ার পর আর ঘুরে দাঁড়ানোর ক্ষমতা ছিল না কলকাতার দলের। তবু ম্যাচের শেষ দিকে চেষ্টা চালিয়ে যান ফ্রাঙ্কা, মানজোকিরা। ৮৬ মিনিটের মাথায় বক্সের বাইরে থেকে গোলে শট নেন ফ্রাঙ্কা, যা ব্লক করেন এক ডিফেন্ডার। পরের মিনিটেই বক্সের সামনে ফ্রি কিক পায় তারা এবং আদিঙ্গার নেওয়া মাপা ফ্রিকিক থেকেই ব্যবধান কমান মহম্মদ ইরশাদ। বলের গতি নিখুঁত অনুসরণ করে গোলের সামনে গিয়ে হেড করে বল গোলে প্রবেশ করান তিনি (৩-১)।                                                                                                      তথ্য সংগ্রহ: আইএসএল মিডিয়া