বেঙ্গালুরু: তিনি ক্রিকেট মাঠের কিংবদন্তি। তিনি ব্যাট করতে নামা মানে গোটা দল নিশ্চিন্ত থাকত। প্রতিপক্ষের বোলিং আক্রমণকে ভোঁতা করে দেবেন ব্যাট হাতে, স্থির বিশ্বাস ছিল কোটি কোটি ক্রিকেটপ্রেমীর।


রাহুল দ্রাবিড় (Rahul Dravid) অবশ্য সারাক্ষণ ক্রিকেট নিয়ে কচকচানি পছন্দ করেন না। বরং পছন্দ করেন ক্রিকেটের বাইরের বিষয় নিয়ে কথা বলতে। মিস্টার ডিপেন্ডেবলের একবার সুযোগ হয়েছিল টেনিসের কিংবদন্তি রাফায়েল নাদালের প্র্যাক্টিস দেখার। যা নিয়ে এখনও উচ্ছ্বসিত দ্রাবিড়।


এক সাক্ষাৎকারে ভারতীয় দলের হেড কোচ বলেছেন, ‘রাফায়েল নাদালকে সামনে থেকে প্র্যাক্টিস করতে দেখাটা এক অবিস্মরণীয় অভিজ্ঞতা। ওঁর প্র্যাক্টিস দেখলে বোঝা যায়, নিজেকে কতটা নিংড়ে দেয়। যে দেড় ঘণ্টা ওঁর প্রস্তুতি দেখার সুযোগ হয়েছিল, তা থেকে অনেক কিছু শিখেছিলাম। ওঁর কাকা টোনি নাদালের সঙ্গে কথা বলার সুযোগও হয়েছিল।’


দ্রাবিড় যোগ করেছেন, ‘ক্রিকেট নিয়ে সারাক্ষণ কথা বলতে ভাল লাগে না। আমি ক্রিকেটার ছিলাম বলেই সব সময় ক্রিকেট নিয়ে আলোচনা করব, এটা সম্পূর্ণ ভুল ধারণা। বরং আমার মনে হয় তাতে ব্যাপারটা বিরক্তিকর হয়ে দাঁড়ায়। আমি অন্যান্যদের কথাও শুনতে চাই। জানতে চাই।’


নিজে চুটিয়ে ক্রিকেট খেলেছেন। ক্রিকেট থেকে অবসর নিলেও বাইশ গজ থেকে ছুটি পাননি। ক্রিকেট ছাড়ার পর কোচিং করাচ্ছেন। ক্রিকেটের বাইরে সময় কাটান কীভাবে? সিনেমা দেখেন? দ্রাবিড় বলেছেন, ‘দেখি। তবে সিনেমার খুব একটা ভক্ত নই। মাঝে মধ্যে সিনেমা দেখতে বসে যাই। তবে শোলে দেখেছি অনেকবার। ভীষণ ভাল লাগে। এখনও শোলে হচ্ছে দেখলে বসে পড়ি টিভির সামনে।’ দ্রাবিড় যোগ করেছেন, ‘আনন্দও আমার বেশ প্রিয় একটা সিনেমা। তবে অভিনয় আমার শক্তি নয়।’


তিনি কি কুসংস্কার মানতেন খেলার মাঠে? দ্রাবিড় বলেছেন, ‘একটা সময় মানতাম। দু-একটা জিনিস করতাম। তারপর একদিন সৈয়দ কিরমানি আমাকে বলেছিল, এসবে বিশ্বাস করো, নাকি নিজের দক্ষতায়? আমার শুনে মনে হয়েছিল, লোকটা ঠিকই বলেছে। ৮৮টি ম্যাচ খেলেছে। নিশ্চয়ই উনি জানবেন। সেই থেকে আমি আর ওসব তুকতাক মানিনি।’ প্রিয় ক্রিকেটার কে ছিল? দ্রাবিড় বলছেন, ‘সুনীল গাওস্কর ও জি আর বিশ্বনাথ। ছোট থেকে ভিশি স্যরের কীর্তি শুনে এসেছি যেহেতু আমিও একই রাজ্যের হয়ে ক্রিকেট খেলেছি।’


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম টেলিগ্রামেও। যুক্ত হোন


https://t.me/abpanandaofficial