কলকাতা: ইস্টবেঙ্গলরে (East Bengal) ত্রিমুকুট জয়ী দলের অন্যতম সদস্য, প্রাক্তন ফুটবলার প্রবীর মজুমদার (Prabir Majumdar) প্রয়াত হলেন। বড়দিন এবং বর্ষবরণের আনন্দে যখন মেতে সবাই, তখনই শোকের ছায়া নেমে এল ময়দানে। ইস্টবেঙ্গল তাঁবুতেও স্বজন হারানোর শোক।


বৃহস্পতিবার ভোর সাড়ে তিনটে নাগাদ মৃত্যু হয়েছে ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের প্রাক্তন ফুটবলার, লেফট ব্যাক প্রবীর মজুমদারের। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৭৭ বছর। ইস্টবেঙ্গলের হয়ে স্বপ্নের ফর্মে ছিলেন ১৯৭২ এবং ১৯৭৩ সালে। দুর্দান্ত ফুটবল খেলে প্রতিপক্ষকে বোকা বানিয়েছেন তিনি। ১৯৭২ সালে একটি ম্যাচও না হেরে কলকাতা লিগ চ্যাম্পিয়ন হয় ইস্টবেঙ্গল। প্রথমবার ত্রিমুকুট জেতে লাল হলুদ। সেই দলের গুরুত্বপূর্ণ ফুটবলার ছিলেন তিনি।


ইস্টবেঙ্গলের স্বর্ণযুগের দলের লেফট ব্যাক ছিলেন প্রবীর মজুমদার। পরিবারে একমাত্র পুত্র, পুত্রবধূ ও নাতনিকে রেখে গেলেন তিনি। 


১৯৭৩ সালে কলকাতা লিগ, আইএফএ শিল্ড এবং ডিসিএম জেতে লাল হলুদ শিবির। সেখানেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন প্রবীর মজুমদার। শুধু ইস্টবেঙ্গলে খেলাই নয়, একই সঙ্গে কলকাতার প্রধানের হয়ে কোচিংও করিয়েছেন তিনি। ১৯৮১ সালে ইস্টবেঙ্গলের কোচ হন লেফট ব্যাক প্রবীর। প্রাক্তন এই ফুটবলারের মৃত্যুতে ময়দানে নেমে এসেছে শোকের ছায়া।               


প্রবীর মজুমদারের মৃত্যুতে এদিন ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের পতাকা অর্ধনমিত রাখা হয়। প্রাক্তন ফুটবলারের মৃত্যুর পর তাঁর পরিবারকে সমবেদনা জানিয়েছেন ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের কর্তারা।


  






ফুটবল থেকে অবসর নিলেও ময়দানের সঙ্গে সম্পর্ক ছাড়তে পারেননি তিনি। প্রতিনিয়ত ক্লাবে না আসলেও ইস্টবেঙ্গলের খোঁজ খবর রাখতেন তিনি। বড়দিন এবং বর্ষবরণ উৎসবের মাঝেই কলকাতা ময়দান হারালে একজন কিংবদন্তি ফুটবলারকে। ক্লাবের পক্ষ থেকে শোকবার্তায় বলা হয়েছে, 'আমরা তাঁর আত্মার শান্তি কামনা করি। তাঁর পরিবারকে সমবেদনা জানাই। ইস্টবেঙ্গল এক নক্ষত্রকে হারালে। আমরা প্রত্যেকেই খুব মর্মাহত।'    


আরও পড়ুন: ম্যাচ জিতেও ধাক্কা দক্ষিণ আফ্রিকার, দ্বিতীয় টেস্ট থেকে ছিটকে গেলেন অধিনায়ক


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে