কলকাতা: আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে ওয়ান ডে সিরিজ চলাকালীনই অবসর ঘোষণা করেছিলেন তামিম ইকবাল (Tamim Iqbal)। তবে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার (Sheikh Hasina) মধ্যস্থতায় সিদ্ধান্ত বদল করেন তিনি। জানিয়ে দেন, বাংলাদেশের হয়ে বিশ্বকাপ খেলবেন।


তবে তামিম একা নন। অবসর নিয়েও পরে সিদ্ধান্ত বদল করে ফিরে এসেছেন, দলকে জিতিয়েছেন, এরকম এক ঝাঁক উদাহরণ রয়েছে বিশ্ব ক্রিকেটে। এক ঝলকে দেখে নেওয়া যাক সেই তারকাদের তালিকা।


বব সিম্পসন


৬২ টেস্ট খেলে অবসর নিয়ে ফেলেছিলেন বব সিম্পসন। তবে ভারত সফরের জন্য ক্রিকেটারই খুঁজে পাচ্ছিল না অস্ট্রেলিয়া। সাল ১৯৭৭। ক্যারি প্যাকারের ওয়ার্ল্ড সিরিজের দাপটে তোলপাড় বিশ্ব ক্রিকেট। অবসরের প্রায় এক দশক পর, ৪১ বছর বয়সে প্রত্যাবর্তন ঘটান বব সিম্পসন। ১০ ইনিংসে ৫৩৯ রানও করেন।


তামিম ইকবাল


সাংবাদিক বৈঠকে চোখের জলে ক্রিকেটকে বিদায় জানান তামিম ইকবাল। সকলকে হতবাক করে দিয়ে। আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে প্রথম ওয়ান ডে ম্যাচের পর। ওয়ান ডে বিশ্বকাপের ঠিক তিন মাস আগে। তবে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপে সিদ্ধান্ত পাল্টেছেন তামিম।


জাভেদ মিয়াঁদাদ


 

১৯৯৪ সালে দল থেকে বাদ পড়ার পর অবসর নিয়েছিলেন জাভেদ মিয়াঁদাদ। পাকিস্তান জুড়ে বিক্ষোভ শুরু হয়, 'নো মিয়াঁদাদ, নো ক্রিকেট।' পাক প্রধানমন্ত্রী বেনজির ভুট্টোর অনুরোধে সিদ্ধান্ত বদল করেন মিয়াঁদাদ। তবে ১৯৯৬ সালের আগে তাঁর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরা হয়নি।


কেভিন পিটারসেন


২০১২ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ঠিক চার মাস আগে অবসর নেন কেভিন পিটারসেন। ইংল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ড বেশ ক্ষুব্ধই হয়েছিল। তবে বিশ্বকাপের ২ মাস আগে কেপি জানান, তিনি কখনওই বলেননি যে ফিরবেন না। পরে তিনি ইংল্যান্ডের হয়ে আরও ৮টি ওয়ান ডে ও একটি টি-টোয়েন্টি খেলেন।



কার্ল হুপার


মাত্র ৩২ বছর বয়সে টেস্ট ক্রিকেটকে বিদায় জানিয়েছিলেন কার্ল হুপার। কিন্তু ২০০১ সালে ঘরের মাঠে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে ওয়েস্ট ইন্ডিজের অধিনায়ক হিসাবে ফেরেন হুপার। পরে ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধেও সিরিজ খেলেন। ২০০৩ সালে অবসর নেন।


ভানুকা রাজাপক্ষে

 

২০২২ সালে পারিবারিক কারণে অবসর নেন ভানুকা রাজাপক্ষে। তবে শ্রীলঙ্কার ক্রীড়ামন্ত্রী সেই সিদ্ধান্ত মেনে নেননি। বৈঠকের পর জাতীয় দলের হয়ে ফের খেলার সিদ্ধান্ত নেন ভানুকা। 


ইমরান খান


১৯৮৭ বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার কাছে পরাজয়ের পর অবসর নেন ইমরান খান। তবে প্রেসিডেন্ট জিয়া উল হকের অনুরোধে পাকিস্তানের হয়ে মাঠে ফেরেন ইমরান। ১৯৯২ সালে বিশ্বকাপও জেতেন। 


মঈন আলি


২০২১ সালে টেস্ট থেকে অবসর নেন মঈন আলি। তবে ২০২৩ সালের অ্যাশেজ সিরিজের আগে জ্যাক লিচ চোটের জন্য ছিটকে যাওয়ায় ফেরানো হয় মঈনকে। চলতি অ্যাশেজে ২০০ টেস্ট উইকেটও পূরণ করে ফেললেন তিনি।


 শাহিদ আফ্রিদি

 

বারবার অবসর নিয়েছেন। বারবার ফিরেছেন শাহিদ আফ্রিদি। ২০০৬, ২০১০, ২০১১, ২০১৪ ও ২০১৭ - পাঁচবার অবসর নিয়েও ফিরেছেন পাকিস্তানের তারকা। তবে মাঠে নজরকাড়া কিছু করতে পারেননি।

 

জাভাগাল শ্রীনাথ

 

২০০২ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে সিরিজের পর অবসরের সিদ্ধান্ত নেন জাভাগাল শ্রীনাথ। তবে অধিনায়ক সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের অনুরোধে মত পরিবর্তন করেন। আরও তিনটি টেস্ট খেলেন। ২০০৩ বিশ্বকাপে ভারতীয় বোলিং আক্রমণকে নেতৃত্ব দেন। ভারত ফাইনালে উঠে হেরে যায়।

জেরোম টেলর


সীমিত ওভারের ক্রিকেটে মনোনিবেশ করবেন বলে ৪৬ টেস্ট খেলে অবসর নেন জেরোম টেলর। পরের ১৪ মাস সীমিত ওভারের ক্রিকেটে ডাক পাননি। অবসর প্রত্যাহার করেন টেলর। তবে আর টেস্ট খেলা হয়নি ক্যারিবিয়ান তারকার।


আরও পড়ুন: ABP Exclusive: আলমবাজার থেকে কিংবদন্তি ম্যাকগ্রার ক্লাসে, শামি-মুকেশের পর ফের এক কোহিনূরের সন্ধান?


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম টেলিগ্রামেও। যুক্ত হোন      


https://t.me/abpanandaofficial