নয়াদিল্লি: দুই প্রাক্তন সতীর্থ সচিন তেন্ডুলকর ও বিরাট কোহলির মধ্যে তুলনা করতে গিয়ে একদিনের ফর্ম্যাটে ব্যাটসম্যান হিসেবে প্রথমজনকে এগিয়ে রাখলেন গৌতম গম্ভীর। ভারতীয় দলের এই প্রাক্তন বাঁ হাতি ওপেনার বলেছেন, ‘আমি একদিনের ফর্ম্যাটে সচিন তেন্ডুলকরকে এগিয়ে রাখব। সাদা বলে, ৩০ গজের মধ্যে চারজন ফিল্ডার, বাইরে পাঁচজন ফিল্ডার নয়, এই পরিস্থিতিতে আমি সচিন তেন্ডুলকরকে এগিয়ে রাখছি।’


সচিন যখন খেলতেন, তখন একদিনের আন্তর্জাতিক ম্যাচে ফিল্ডিং সংক্রান্ত নিয়ম এখনকার চেয়ে আলাদা ছিল। এখন নিয়ম বদলে গিয়েছে। এক থেকে দশ ওভারের মধ্যে প্রথম পাওয়ার প্লে-তে ৩০ গজের বাইরে দু’জন ফিল্ডার রাখা যায়। ১০ থেকে ৪০ ওভারের দ্বিতীয় পাওয়ার প্লে-তে ৩০ গজের বাইরে চারজন ফিল্ডার রাখা যায়। তৃতীয় তথা শেষ পাওয়ার প্লে-তে ৩০ গজের বাইরে পাঁচজন ফিল্ডার রাখা যায়। একটি ইনিংসে দু’টি বল ব্যবহার করা হয়।

সে কথা উল্লেখ করেই গম্ভীর বলেছেন, ‘বিরাটের চেয়ে সচিনকে এগিয়ে রাখা কঠিন। কারণ, বিরাটও অসাধারণ সাফল্য পেয়েছে। তবে একইসঙ্গে নিয়মও বদলে গিয়েছে। এর ফলে নতুন ব্যাটসম্যানদের অনেক সুবিধা হচ্ছে। দু’টি নতুন বল, কোনও রিভার্স স্যুইং নেই, ফিঙ্গার স্পিন বলে কিছু নেই, ৫০ ওভার ধরেই ৩০ গজের মধ্যে পাঁচজন ফিল্ডার নেই, এই অবস্থায় তরুণ প্রজন্মের ব্যাটসম্যানদের কাজটা সহজ হয়ে যাচ্ছে। সচিন দীর্ঘদিন ধরে খেলেছে। ও যখন খেলত, তখন নিয়ম আলাদা ছিল। সেই সময় একদিনের আন্তর্জাতিকে ২৩০ থেকে ২৪০ রানই জয়ের জন্য যথেষ্ট ছিল। ফলে সচিনকে এগিয়ে রাখতে হবে।’

গম্ভীর, সচিন ও বিরাট, তিনজনই ২০১১ সালের বিশ্বকাপজয়ী ভারতীয় দলের সদস্য ছিলেন। ২০১৩ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নেন সচিন। তিনি ৪৬৩টি একদিনের আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলে ১৮,৪২৬ রান করেন। তাঁর শতরানের সংখ্যা ৪৯। গড় ৪৪.৮৩। অন্যদিকে, বিরাট এখনও পর্যন্ত ২৪৮টি একদিনের আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলে ১১,৮৬৭ রান করেছেন। শতরান ৪৩টি। গড় ৫৯.৩৩। ভারতের এই দুই ব্যাটসম্যানের মধ্যে বেশ কিছুদিন ধরেই তুলনা চলছে। এবার এই আলোচনায় যোগ দিলেন গম্ভীরও।