মুম্বই: আগামীকাল পাকিস্তানের (Pakistan Cricket Team) বিরুদ্ধে খেলতে নামছে ভারতীয় দল (Indian Cricket Team)। আর সেই ম্যাচের আগে সবচেয়ে আলোচিত ব্যক্তিত্ব শুভমন গিল (Subhman Gill)। ডেঙ্গি (Dengue) আক্রান্ত হওয়ায় এখনও পর্যন্ত বিশ্বকাপের মঞ্চে নামতে পারেননি ডানহাতি ভারতীয় ওপেনার। অস্ট্রেলিয়া ও আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে খেলেননি তিনি। তবে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে হাইভোল্টেজ ম্য়াচের আগে নাকি পুরোপুরি সুস্থ হয়ে উঠেছেন গিল। নেটে দীর্ঘক্ষণ ব্যাটিং করেছেন। থ্রো ডাউনেও খেলেছেন। এমনকী মাঠে নামার আগে গিল শুনেছেন ২০১১ বিশ্বকাপের সময় ক্যান্সার শরীরে নিয়ে যুবরাজ সিংহের লড়াইয়ের গল্প। 


প্রাক্তন বাঁহাতি ভারতীয় অলরাউন্ডার এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, ''শুভমন গিলকে আমি সাহস জুগিয়েছি। ওকে আমি আমার নিজের জীবনের কাহিনি শুনিয়েছি। ২০১১ বিশ্বকাপের সময় ক্যান্সারের সঙ্গে লড়াই করতে করতে আমি বিশ্বকাপে খেলতে নেমেছিলাম। দলের সঙ্গে যোগ দিয়েছিলাম দ্রুত। আমি চাই গিলও দ্রুত দলের সঙ্গে যোগ দিক। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ওকে মাঠে দেখতে চাই। যখন জ্বর বা ডেঙ্গি থাকে, তখন শরীর একদমই সঙ্গ দেয় না। মাঠে নেমে খেলাটা সত্যিই চ্যালেঞ্জিং। তবুও আমি চাই গিল দ্রুত পুরোপুরি ফিট হয়ে মাঠে নামুক।'' ভারত-পাকিস্তান ম্যাচের উত্তাপ কতটা থাকে, তা খুব ভাল মতই জানেন যুবি। নিজের কেরিয়ারে এমন অসংখ্য ম্যাচ খেলেছেন। বিশ্বের সবচেয়ে বড় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে দুই দল নামছে। পাঞ্জাব তনয় বলছেন, ''এমন ম্যাচ প্রতিদিন হয় না। তাই আমি চাই দুটো দলই খেলাটা উপভোগ করুক। ভারতীয় দল প্রতিটি ম্যাচেই উপভোগ করুক, ভাল খেলুক ও সাফল্য পাক।''


১৪ অক্টোবর, শনিবার মহালয়া। সেদিন বাংলার মানুষ পুজো নিয়ে আরও অধীর আগ্রহী হয়ে পড়বেন। কলকাতায়, জেলায় অনেক বড় পুজোর উদ্বোধন সেদিন। বিশ্বকাপেরও কি ক্লাইম্যাক্স হাজির হবে সেদিন?


কারণ, আমদাবাদের নবনির্মিত নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে সেদিন বিশ্বকাপের সবচেয়ে আকর্ষণীয় লড়াই। ভারত-পাকিস্তান (Ind vs Pak) দ্বৈরথ। যে ম্যাচে কেউ কাউকে এক ইঞ্চিও জমি ছাড়বেন না। বাবররা যে দেশের অতিথি, সেদিন ভুলে থাকবেন সকলে। রাজকীয় অভ্যর্থনা সেদিনের মতো হিমঘরে। বরং কীভাবে প্রতিপক্ষকে ফালা ফালা করে ফেলা যায়, সাজানো হবে সেই নকশা।


আর তাই প্রস্তুতিতে কোনও খামতি রাখতে চায় না পাকিস্তান। এবারের বিশ্বকাপে সব দলকেই গ্রুপ পর্বে ৯টি করে ম্যাচ খেলতে হবে। পাড়ি দিতে হবে এক শহর থেকে আর এক শহর। ম্যাচ খেলে অনেক রাতে টিমহোটেলে ফিরেই পরের দিন পরের গন্তব্যে বেরিয়ে পড়া। লম্বা টুর্নামেন্টে ক্লান্তি যেন অবশ্যম্ভাবী।